Skip to main content

জ্ঞানপীঠ পুরস্কার(ইউসুফ)

💝💝জ্ঞানপীঠ পুরস্কার💝💝

--লিখেছেন-◆◆ইউসুফ মোল্লা◆◆


★ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারের নাম এই জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।

★"জ্ঞানপীঠ" শব্দের অর্থ হলো--"জ্ঞানের বেদী"।

★'দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া' পত্রিকার প্রকাশক সাহু জৈন পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অছি পরিষদ এই পুরস্কার প্রদান করেন।

★এই জ্ঞানপীঠ পুরস্কার-এর অর্থমূল্য হলো--সাত লক্ষ টাকা (সঙ্গে জ্ঞান, শিল্পকলা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর প্রতিমূর্তি এবং মানপত্র)।

★এই জ্ঞানপীঠ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় 1961 সালে, কিন্তু প্রথম প্রাপক তা পান 1965 সালে। তাই 1965 সালে প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে প্রচলিত হয়ে যায়।

★জ্ঞানপীঠ পুরস্কারের প্রথম প্রাপক হলেন--জি. শঙ্কর কুরুপ। এটি তিনি পান 1965 সালে।

★দ্বিতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক হলেন একজন বাঙালি। তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান।

★বাংলা ভাষায় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপকগনের নাম সূত্রাকারে নিচে দেওয়া হলো----

1)তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় "গণদেবতা" উপন্যাস লেখেন 1942 সালে, কিন্তু জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান 1966 সালে। যা বাংলা ভাষার প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক হিসাবে স্মরণীয় হয়ে গেলেন।

2)বিষ্ণু দে "স্মৃতি সত্ত্বা ভবিষ্যৎ" কাব্যগ্রন্থ লেখেন 1963 সালে, কিন্তু জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান 1971 সালে। যা বাংলা ভাষায় দ্বিতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক হিসাবে স্মরণীয় হয়ে গেলেন।

3)আশাপূর্ণা দেবী "প্রথম প্রতিশ্রুতি" উপন্যাস লেখেন 1964 সালে, কিন্তু জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান 1976 সালে। যা বাংলা ভাষায় তৃতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। কিন্তু প্রথম বাংলা ভাষায় ও বাঙালি মহিলা হিসাবে এই জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন।

4)সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "পদাতিক" লেখেন 1940 সালে, কিন্তু জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান 1991 সালে। যা চতুর্থ
জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। যদিও পুরুষদের মধ্যে তা তৃতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।

5)মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাস "হাজার চুরাশির মা" লেখা হয় 1974 সালে, কিন্তু তার জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান 1996 সালে। তিনি বাংলা সাহিত্যে পঞ্চম  জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক হলেও মহিলাদের মধ্যে কিন্তু দ্বিতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক উপন্যাসিক।

6)শঙ্খ ঘোষ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান 2016 সালে। যদিও এটা তাঁনাকে কোনো একটি নির্দিষ্ট গ্রন্থকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় নি। তাঁনার জীবনব্যাপী বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য দেওয়া হয় এই জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। দীর্ঘ 20 বছর পর ষষ্ঠ বাঙালি সাহিত্যিক হিসাবে শঙ্খ ঘোষ এই জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান। যদিও পুরুষদের হিসাবে চতুর্থ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক বাংলা ভাষায়।


অ্যাডমিন, স্কুল শিক্ষক, পত্রিকা সম্পাদক, গ্রন্থ লেখক

পাঠাভ্যাস অধিবেশন, ঝাঁপবেড়িয়া হাই স্কুল, স্বপ্ন সন্ধানী, SLST বাংলা

ইউসুফ মোল্লা

Comments

  1. তাঁনার না লিখে তাঁকে লিখুন দাদা। আপনার এই পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

লীলা মজুমদারের সম্পূর্ণ তথ্য

 লীলা মজুমদার - ইউসুফ   মোল্লা #আজ_সকাল_সকাল_চলে_এসেছি #লীলা_মজুমদার_নিয়ে  (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭)         আমাদের দেশে ‘শতায়ু হও’ বলে আশীর্বাদ করা হয়ে থাকে। বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার। তবে শত বর্ষের কাছাকাছি আয়ুতে পৌঁছালে অনেক ক্ষেত্রেই সুখের চেয়ে দুঃখ বেদনাই বেশী থাকে। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী প্রায় পুরো সময়টাকেই লেখা পড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার শেষের প্রায় এক দশক বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু লীলা মজুমদার নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে। বিশেষতঃ শিশু সাহিত্যে লীলা মজুমদার একটি অপ্রতিদ্বন্দী নাম। এখানে লীলা মজুমদারের পূর্ণাঙ্গ জীবন , তাঁর সাহিত্য কর্মগুলির আলোচনার সাথে সাথে তাঁর রচনা বৈশিষ্ট্য ও বর্তমান প্রজন্মে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।  ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ...

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য

আ শাপূর্ণা দেবী - ইউসুফ মোল্লা   #কথা_মতো_ভোর_ভোর_চলে_এসেছি #আশাপূর্ণা_দেবীকে_নিয়ে #জন্ম : ৮ ই জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর কলকাতায় মাতুলালয়ে। #পিতা : হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। #মাতা : সরলাসুন্দরী দেবী। #আদি_নিবাস : হুগলি জেলার বেগমপুর। #জীবনসঙ্গী : কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস সেনগুপ্তের সঙ্গে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৫ বছর ৮ মাস বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। #মৃত্যু : ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫।         ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।        বড়োদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী”। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়।       আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।    ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন - “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।     বড়োদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশি...

নবম শ্রেণীর উৎস সন্ধানে

∆সকল গল্প,কবিতা,নাটক,প্রবন্ধের উৎস নির্দেশ∆ #নবম_শ্রেণীর_সাহিত্যসঞ্চয়ন_সাহিত্যসম্ভার_ও_প্রফেসর_শঙ্কুর_ডায়রি **সাহিত্য সঞ্চয়ন নবম শ্রেণী** ১."কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি" কবি - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী । উৎস : চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ড তথা কালকেতুর উপাখ্যান অন্তর্ভুক্ত "কলিঙ্গ দেশে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ"। ২."ধীবর বৃত্তান্ত" লেখক - কালিদাস । উৎস :অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক ।  তর্জমা : সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী । ৩."ইলিয়াস" লেখক : লিও টলস্টয় উৎস : Twenty Three Tales (১৮৮৫) তর্জমা :মণীন্দ্র দত্ত । ৪."সাত ভাই চম্পা" কবি : বিষ্ণু দে । উৎস : সাত ভাই চম্পা । ৫."দাম" লেখক : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় উৎস : ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "তরুণের স্বপ্ন" তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল । ৬."এই জীবন" কবি : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । উৎস : "দেখা হলো ভালোবাসা বেদনায়" । ৭."নব নব সৃষ্টি" লেখক : সৈয়দ মুজতবা আলী । উৎস : এটি "মাম্ দোর পুনর্জন্ম" প্রবন্ধের সম্পাদিত অংশ । মূল ...