Skip to main content

Posts

Showing posts from 2020

ছেদচিহ্নের ব্যবহার জেনে নিন

  ছেদচিহ্নের সঠিক ব্যবহার কীভাবে করবেন: ✒ ইউসুফ মোল্লা     প্রথমেই বলে রাখি ছেদচিহ্ন আর যতিচিহ্ন এক জিনিস নয়। এই ভুলটা প্রায় সকল শিক্ষার্থী করে থাকে।       এবার বলি ছেদচিহ্নের সঠিক ব্যবহার কেন দরকার। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে: একটি দোকানের পাশে পরিত্যক্ত জায়গা পেয়ে সবাই প্রস্রাব করতে থাকে, ফলে দোকানদার প্রস্রাবের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। দোকানদার সেই জায়গার দেওয়ালে লিখে দিলেন, "এখানে প্রস্রাব করিবেন না, করিলে ৫০০ টাকা জরিমানা হইবে।" কিন্তু ভুল করে কমাটা 'না' শব্দের আগে হয়ে যায়। ফলে সবাই পড়তে থাকে, "এখানে প্রস্রাব করিবেন, না করিলে ৫০০ টাকা জরিমানা হইবে।" আসলে বাক্য, শব্দ সবকিছু ঠিক থাকলেও ছেদচিহ্নের  ভুল ব্যবহারের ফলে অর্থ সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে পারে। তাই ছেদচিহ্নের সঠিক ব্যবহার জানা একান্ত প্রয়োজন। নিম্নে তাই ছেদচিহ্নের সঠিক ব্যবহার বোঝানোর চেষ্টা করলাম:- ১) পূর্ণচ্ছেদ (।) :    প্রাচীন কাব্যে লক্ষ করা যায়, পংক্তি শেষ হলেই পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করা হয়। বাক্য শেষ হোক বা না হোক তার উপর নির্ভর করতো না।  কিন্তু এখন ছেদচিহ্নের সঠিক

রুশ সাহিত্যের জন্ম ও তার উৎকর্ষতা

#প্রবন্ধ রুশ সাহিত্যের জন্ম ও তার উৎকর্ষতা _ ইউসুফ মোল্লা     ইতিহাস মানবসভ্যতাকে আরো সৃজনশীল করতে সাহায্য করে। ইতিহাসের মধ্যে আমরা আমাদের শিকড়কে খুঁজে পাবো। আর যে সমাজ বা ব্যক্তি তার শিকড়কে ভুলে যায়, সে আর যাইহোক উন্নত হতে পারে না। আমাদেরকে আরো উন্নত হতে সাহায্য করে এই ইতিহাস । কারণ ইতিহাস থেকে নানা ভুল ত্রুটির শিক্ষা নিয়ে সেগুলো শুধরে নিয়ে থাকি, ফলে নান্দনিক সমাজ গড়ে ওঠে।    সেইরকম এক ইতিহাসের পাতায় পদচারণা করবো আজ। বিশ্বের সবচেয়ে পড়ুয়া জাতি নামে পরিচিত সেই সংস্কৃতিকে জানার চেষ্টা করবো। প্রথমেই জানবো সেই সংস্কৃতি কোথা থেকে এসেছে। ইন্দো-ইরোরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এই রুশ ভাষা। প্রাচীন পূর্ব স্লাভিক (প্রাচীন রুশ) ভাষার লিখিত কাগজপত্র পাওয়া যায় দশম শতাব্দীর পর থেকে।    প্রামাণ্য দলিল হিসেবে রুশ সাহিত্যের ইতিহাসের পথচলা শুরু হয় দশম শতাব্দী থেকে কিন্তু তা তখন পরিপুষ্ট ছিল না। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মিখাইল লোমোনোসোভ ও দেনিস ফনভিজিনের রচনার মধ্য দিয়ে তা বিকাশ লাভ করতে শুরু করে এবং ঊনিশ শতাব্দী থেকে আধুনিক ধ্যান ধারণার জন্ম হলে কিছু সেরা লেখকদের আবির্ভাব ঘটে। যার ফলে

জানা অজানা সমর সেন (সম্পূর্ণ)

সমর সেন _ ✒কলমে- সুব্রত লাহা (এম. এ. বাংলা)  বর্তমানে SRMS vidyapith-HS স্কুলের Group C পদে কর্মরত।  শখ- নতুন নতুন তথ্য জানা ও সংগ্রহ করা। তাই নিজেকে "শখের পড়ুয়া" বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন।  বাস করেন- Bakshi    ১৯১৬ খৃষ্টাব্দের ১০ অক্টোবর কলকাতার বাগবাজারের বিশ্বকোষ লেনে(পৃথিবীতে বইয়ের নামে এই একটিই রাস্তা আছে, কারন এখানেই প্রাচ্যবিদ্যার্ণব নগেন্দ্রনাথ বসুর বাড়ি , ইনিই বিশ্বকোষের সংকলক।) সমর সেনের জন্ম। তিনি কালজয়ী দীনেশচন্দ্র সেনের পৌত্র। তাদের আদি নিবাস ছিল ঢাকার মানিকগঞ্জ থানার সুয়াপুর অঞ্চল। গৃহস্থবিলাপ কবিতায় কবি তার প্রপিতামহের পরিচিয় দিয়েছেন। এদের পূর্বপুরুষ ছিলেন পবনদূত কাব্যের ধোয়ী। সমর সেনের পিতা – অরুনচন্দ্র সেন,  মাতা – চন্দ্রমুখী দেবী।( সমর সেনের বাবা ও মায়ের ঘটকালি করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) নিজের জন্ম নিয়ে সমরসেনের কবিতা টি বেশ: শুনেছি পঞ্জিকা মতে শুভক্ষণে জন্ম অভাগার সে লগ্নে গৃধিনী মুখে বাজেনি অশুভ চিৎকার কিম্বা অদৃষ্টের ব্যাঙ্গে অতি ধূর্ত কাক সহসা কর্কশ ডাকে ভাঙেনিকো জননীর প্রসব আবেশ। সপ্তম সন্তান আমি ---গৃহস্থবিলাপ –এক/তিন

আরাকান রাজসভার গোপন ইতিহাস (দৌলত কাজী, সৈয়দ আলাওল)

প্রথমেই আসি আরাকান রাজসভার আলোচনায়। আরাকানের অধিবাসীদের "মগ" বা "মঘ" বলা হয়। যেহেতু এদের পূর্বসূরীরা "মগধ" থেকে এসেছিলেন,তাই তাদের মগ বলা হয়। একটা রাজবংশ থেকে আসার জন্য অনেক সমালোচক রাজবংশীও বলে থাকেন। কিন্তু সবর্ত্র সন লেখার সময় "মঘী" সন লেখা হয়ে থাকে।তাই বাকি আলোচনাতে আমি(ইউসুফ মোল্লা) "মঘ" শব্দের ব্যবহার করাকে সমীচীন মনে করেছি।   আশ্চার্যের বিষয় যখন জ্ঞানদান, গোবিন্দ দাস, নরহরি সরকার,যদুনন্দন দাস,প্রেমদাস,কবিশেখর প্রভৃতি খ্যাতনামা কবিগণ দেবদেবীর বন্দনা ছাড়া অন্য কিছু রচনার কথা ভাবতে পারেন নি, তখন আরাকান রাজসভার মুসলমান কবিদের হাতে প্রথম দেবদেবী ছেড়ে মানুষের কথা উঠে এলো। যার ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা নতুন রূপ ও নবীন প্রেরণা লাভ করলো।    সুলায়মান (৮৫১ খ্রিস্টাব্দে জীবিত),আবু জায়দুল হাসান,ইবনু খুরদবা(মৃত ৯১২ খ্রিস্টাব্দে),আল মাসূদী(মৃত ৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে),ইবনু হাওকল,আল ইদরিসী প্রভৃতি প্রাচীন আরব পরিব্রাজক ও ভৌগোলিকদের লিখিত বিবরণ থেকে জানা যায় যে, আরব বণিকরা বাণিজ্য করতে এসে "রামরী" দ্বীপে জাহাজ ভেঙে যাওয়ায় আশ্রয়

🌺প্রথম বাংলা অভিধানের সন্ধানে 🌺

🍁 ধান ভানতে শিবের গীত🍁 🌻প্রথম_বাংলা_অভিধান🌻 ✒ কলমে- সুব্রত লাহা (এম. এ. বাংলা)  বর্তমানে SRMS vidyapith-HS স্কুলের Group C পদে কর্মরত।  শখ- নতুন নতুন তথ্য জানা ও সংগ্রহ করা। তাই নিজেকে "শখের পড়ুয়া" বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন।  বাস করেন- Bakshi         বিষয়টা অনেকটা ধান ভানতে শিবের গীত এর মতোই হয়ে গেল। উত্তর খুঁজছিলাম রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ এর বঙ্গভাষাভিধান প্রথম বাংলা অভিধান কি না, কিন্তু এ কেঁচো খুঁড়তে কেউটের আমদানি। বিষ টুকু আমার, অমৃত এর ভাঁড় তুলেদিলাম আপনাদের হাতে । বাংলা অভিধান – শব্দ বন্ধটিতে একথা টি পরিস্কার যে এটি বাংলা শব্দের অভিধান । এখন অভিধান কী? এবং সেই কর্মপ্রচেষ্টার শুরু কার হাতে? এই প্রশ্নের সমাধান খুঁজব বাকি আপনারা স্বয়ং বিচার করুন। অভিধান কথার বুৎপত্তিগত অর্থ হল অভি-ধা+অন , অর্থাৎ যার দ্বারা বা যার মধ্যে অর্থ যথার্থরূপে প্রকাশ পায় । তাই শব্দার্থ প্রকাশক গ্রন্থকে অভিধান বলা হয় (প্রশ্ন ১। প্রকাশিত অর্থ কী অন্য ভাষায় হলে অভিধান বলা যাবে না? যদি যায় তাহলে।।) অভিধান এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হিসেবে Dictionary, Glossary, Vocabulary শব্দগুলি ব্যাবহার

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পূর্ণ তথ্য

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় 🍄 তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়🍄 ✒কলমেঃ ইউসুফ মোল্লা 🍁 জন্ম: ২৫ জুলাই, ১৮৯৮ (৮ শ্রাবণ, ১৩০৫ বঙ্গাব্দ) 🍁 জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে। এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। যদিও সেটা ক্ষয়িষ্ণু ছিল। পরে ১৯৪০ সালে তিনি ও তাঁর পরিবার নিয়ে কলকাতার বাগবাজারে চলে আসেন এবং ১৯৪১ সালে চলে যান বরানগরে। 🍁 পিতা: হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। (বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ হলে তিনি মা ও বিধবা পিসির কাছে পালিত হয়)। 🍁 মাতা: প্রভাবতী দেবী 🍁পত্নী: উমাশশী দেবী (১৯১৬ সালে বিবাহ হয়) 🍁পিসিমা: শৈলজা দেবী(ধাত্রীদেবতা উপন্যাসে অমর হয়ে আছেন) 🍁মৃত্যু: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ 🍁নামকরণের তাৎপর্য: লেখকের জন্মের আগেই তাঁর বড়োভাই মৃত্যুবরণ করেন। তাই, 'তারা' মায়ের পূজো করেন। সেই পূজোর ঠিক দশমাস পরেই জন্ম নিয়েছিলেন বলে মায়ের প্রতি সন্মান রেখে নামকরণ করা হয় তারাশঙ্কর। 🍁তারাশঙ্কর বিভ্রান্তি: 'শ্রীময়ী' উপন্যাসের জনকও শ্রীতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ইনি আমাদের আলোচিত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নন। তাই একই নামেই দুজন তারাশঙ্করের আবির্ভ

🌻রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-র সম্পূর্ণ তথ্য🌻

📚 রাজশেখর বসু (পরশুরাম) 📚 - ইউসুফ মোল্লা (কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)  রাজশেখর বসু # জন্ম:   ১৬ মার্চ, ১৮৮০ (১২৮৬ বঙ্গাব্দের ৪ চৈত্র)  # জন্মস্থান: বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে। মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।  # পৈতৃক নিবাস: নদীয়া  জেলার কৃষ্ণনগরের কাছে উলা বীরনগর।  # পিতা: দার্শনিক পণ্ডিত চন্দ্রশেখর বসু (দ্বারভাঙ্গা রাজ-এস্টেটের ম্যানেজার।) জন্ম: ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে।  # মাতা:  লক্ষ্মীমণি দেবী # স্ত্রী: মৃণালিনী দেবী (শ্যামাচরণ দে'র পৌত্রী)  # কন্যা: প্রতিমা # নাতনি: আশা # প্রদৌহিত্র: দীপঙ্কর # ভাই: শশীশেখর, কৃষ্ণ শেখর, গিরীন্দ্র শেখর।  #মৃত্যু: ২৭ এপ্রিল , ১৯৬০ কলকাতায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে।   # ছদ্মনাম: পরশুরাম , উপরিচর। (বাল্যকালে 'ফটিক' নামে পরিচিত ছিলেন)  # নামের রহস্য:       রাজশেখর বসুর বড় ভাই শশীশেখরের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় "পিতা চন্দ্রশেখর দ্বারভাঙ্গা থেকে ঘুরে এসে বলেন ফটিকের নাম ঠিক হয়ে গেছে। তখন মহারাজ লক্ষীশ্বর সিংহ জিজ্ঞাসা করেন, তোমার দ্বিতীয় ছেলের নামও একটা শেখর হবে নাকি? আমি বললাম, ইওর হাইনেস,