Skip to main content

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পূর্ণ তথ্য

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
🍄তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়🍄

✒কলমেঃ ইউসুফ মোল্লা


🍁জন্ম: ২৫ জুলাই, ১৮৯৮ (৮ শ্রাবণ, ১৩০৫ বঙ্গাব্দ)

🍁জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে। এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। যদিও সেটা ক্ষয়িষ্ণু ছিল।
পরে ১৯৪০ সালে তিনি ও তাঁর পরিবার নিয়ে কলকাতার বাগবাজারে চলে আসেন এবং ১৯৪১ সালে চলে যান বরানগরে।

🍁পিতা: হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। (বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ হলে তিনি মা ও বিধবা পিসির কাছে পালিত হয়)।

🍁মাতা: প্রভাবতী দেবী

🍁পত্নী: উমাশশী দেবী (১৯১৬ সালে বিবাহ হয়)

🍁পিসিমা: শৈলজা দেবী(ধাত্রীদেবতা উপন্যাসে অমর হয়ে আছেন)

🍁মৃত্যু: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

🍁নামকরণের তাৎপর্য:

লেখকের জন্মের আগেই তাঁর বড়োভাই মৃত্যুবরণ করেন। তাই, 'তারা' মায়ের পূজো করেন। সেই পূজোর ঠিক দশমাস পরেই জন্ম নিয়েছিলেন বলে মায়ের প্রতি সন্মান রেখে নামকরণ করা হয় তারাশঙ্কর।

🍁তারাশঙ্কর বিভ্রান্তি:

'শ্রীময়ী' উপন্যাসের জনকও শ্রীতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ইনি আমাদের আলোচিত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নন। তাই একই নামেই দুজন তারাশঙ্করের আবির্ভাব দেখে বিপদে পড়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি অপর তারাশঙ্করকে অনেক বুঝিয়ে যখন নাম পরিবর্তন করাতে পারলেন না, তখন তিনি একটা নামকরা পত্রিকায় নিজের ছবিসহ  বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, আমি আপনাদের পরিচিত শ্রী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে অপর একজন শ্রী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে লেখকের আবির্ভাব হয়েছে, 'শ্রীময়ী' তাঁহারই অমর সৃষ্টি। পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে "শ্রী ময়ী " গ্রন্থের লেখক শ্রী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রী যুক্তই থাকুন, আমি নাহয় শ্রী হীন হইলাম। এরপর থেকে নিজের নাম থেকে শ্রী বাদ দিয়ে দিলেন । তাই সবাই এরপর থেকে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও শ্রীহীন নামযুক্ত স্বাক্ষর দেখে বই কিনতে শুরু করলেন। তবে শ্রী ময়ী উপন্যাসের শ্রীতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনেক ভালো লেখক ছিলেন।

🍁ছদ্মনাম:

কামন্দক,

হাবু শর্মা।

🍁উপাধি: পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ

🍁শিক্ষালাভ:

লাভপুরের যাদবলাল হাইস্কুল থেকে ১৯১৬ সালে এন্ট্রান্স পাস করে প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়া শুরু করেন। তারপর সাউথ সুবার্বন কলেজে (বর্তমানে আশুতোষ কলেজ) ভর্তি হন। কিন্তু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য পড়া শেষ করতে পারেন নি। ফলে তাঁর প্রথাগত শিক্ষাজীবন এখানেই শেষ হয়ে যায়।

🍁কর্মজীবন:

তিনি কিছুকাল কলকাতায় কয়লার ব্যবসা এবং কিছুকাল কানপুরে চাকরি করেন।

🍁লেখালেখির হাতেখড়ি:

 তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সাত বছর বয়সেই যার কবিতার শুরু-
"আমার জীবনের প্রথম রচিত কবিতা খড়ি দিয়ে লিখেছিলাম আমাদের বৈঠকখানা বাড়ির একটি খড়খড়িওয়ালা দরোজার গায়ে। তখন বয়স আমার সাত বছর। আটে পড়েছি। আমার দরজায় লেখা কবিতাটি কিন্তু ব্যঙ্গ কবিতা নয়। যাকে বলে জাত কবিতা, তাই দস্তুর মতো করুণরস অবলম্বন করে লেখা। তিন বন্ধুতে খেলা করছিলাম, হঠাৎ আমাদের বৈঠকখানার সামনের বাগানে একটা গাছের ডালে পাখির বাসা থেকে একটি পাখির বাচ্চা মাটিতে পড়ে গেল। তিন বন্ধুতে ছুটে গিয়ে তাকে সযত্নে তুলে এনে বাঁচাবার এমনই মারাত্মক চেষ্টা করলাম যে, বাচ্চাটি বারকয়েক খাবি খেয়েই মরে গেল। বালক মনে একটি করুণরসের ধারা সঞ্চারিত করে গেল। আমার সঙ্গীদের মধ্যে একজন ছিল পাঁচু। সে একটা খড়ি দিয়ে আমাদের দরজায় খণ্ড খণ্ড করে দুই লাইন কবিতা রচনা করে ফেলল। আমিও পাঁচুর খড়িটি নিয়ে পাঁচুর কবিতা নিয়ে লিখলাম-

'পাখির ছানা মরে গিয়েছে
মা ডেকে ফিরে গিয়েছে
মাটির তলা দিলাম সমাধি
আমরাও সবই মিলিয়া কাঁদি।’

 তারপর স্কুল জীবনে লেখেন আগমনী। "

(বই- আমার সাহিত্য জীবন)

🍁রাজনৈতিক জীবন:

মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে ১৯২১ সালে তিনি এক বছরের জন্য অন্তরীণ থাকেন। এরপর পুরোপুরিভাবে কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে প্রায় এক বছর কারাবরণ করেন ১৯৩০ সালে।
এরপর একবার তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে আট বছর দায়িত্ব পালন করেন।


🍁সাহিত্যে প্রবেশ:

'কল্লোল' পত্রিকায়(১৩৩৪, ফাল্গুন সংখ্যায়) 'রসকলি' নামক ছোটগল্প প্রকাশের মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন।

🍁সাহিত্য কর্ম:

🍂কাব্যগ্রন্থ:

ত্রিপত্র -১৫ ফ্রেব্রুয়ারি, ১৯২৬ (তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ)। 

🍂উপন্যাস:

চৈতালি ঘূর্ণি [১৯২৮,অনেক জায়গায় ১৯৩১(আশ্বিন,১৩৩৮),১৯৩২ ও আছে]- গ্রামের দরিদ্র চাষী গোষ্ঠ ও তার স্ত্রী দামিনী গ্রাম্য শোষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য শহরে যায়। গোষ্ঠ কারখানায় চাকরি নেয়। স্বামী স্ত্রী বস্তিতে থাকে। ধনতান্ত্রিক যাঁতাকলে পড়ে গোষ্ঠের পিষ্ট হবার কাহিনি এখানে উল্লেখ্য।

নীলকন্ঠ ( আশ্বিন, ১৩৪০, ইং-১৯৩৩)

প্রেম ও প্রয়োজন (আশ্বিন, ১৩৪২)

আগুন (৯ অক্টোবর,১৯৩৭, আশ্বিন ১৩৪৪)

ধাত্রীদেবতা (৭ অক্টোবর,১৯৩৯,  আশ্বিন ১৩৪৬)

কালিন্দী (৭ নভেম্বর ১৯৪০, ভাদ্র ১৩৪৭)

গণদেবতা (অক্টোবর,১৯৪২, আশ্বিন ১৩৪৯)

রাইকমল (৪ অক্টোবর,১৯৪৩) অনেক জায়গায় আশ্বিন, ১৩৪২

 মন্বন্তর (২৫ জানুয়ারি,১৯৪৪)- ভয়াবহ মন্বন্তরের যে চিত্র তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তা তুলে ধরেছেন।

পঞ্চগ্রাম (২৬ জুন,১৯৪৪, মাঘ ১৩৫০)

 কবি (৪ সেপ্টেম্বর,১৯৪৪, ফাল্গুন ১৩৪৮)

সন্দীপন পাঠশালা (২১ মার্চ,১৯৪৬, মাঘ ১৩৫২)

 ঝড় ও ঝরাপাতা (২৫ নভেম্বর,১৯৪৬, অগ্রহায়ণ ১৩৫৩)

অভিযান (১৫ ফ্রেব্রুয়ারি,১৯৪৭,  পৌষ ১৩৫৩)

সন্দীপন পাঠশালা (বাল্যপাঠ্য সংস্করণ) (২৮ মার্চ,১৯৪৮)

তামস তপস্যা (১২ এপ্রিল, ১৯৪৯,চৈত্র ১৩৫৪)

পদচিহ্ন (১৯৫০, বৈশাখ ১৩৫৭)

উত্তরায়ণ (১৯৫০, বৈশাখ ১৩৫৭)

হাঁসুলীবাঁকের উপকথা (১৮ জুন,১৯৫১, আষাঢ় ১৩৫৪)- মহাকাব্যিক উপন্যাস। এখানে ভূমি নির্ভর আভিজাত্য বোধে জারিত জীবন ব্যবস্থার মাঝে বিত্ত মর্যাদা সচেতন অর্থদৃপ্ত অহমিকার অনুসঙ্গ আছে।

মহাশ্বেতা (১৯৫১, আষাঢ় ১৩৫৭)

নাগিনী কন্যার কাহিনী (সেপ্টেম্বর,১৯৫১)

আরোগ্য নিকেতন (১৩ এপ্রিল,১৯৫৩,  চৈত্র ১৩৫৯)

না (১৯৫৩, বঙ্গাব্দ-১৩৬০)

চাঁপাডাঙার বৌ (১৯৫৪, শ্রাবণ ১৩৬১)

পঞ্চপুত্তলি (১৯৫৬, শ্রাবণ ১৩৬৩)

বিচারক (১৯৫৭, শ্রাবণ ১৩৬৩)

সপ্তপদী (১৯৫৮, পৌষ ১৩৬৪)

বিপাশা (১৯৫৯, মাঘ ১৩৬৪)

রাধা (১৯৫৯, চৈত্র ১৩৬৪)

ডাকহরকরা (১৯৫৯, বৈশাখ ১৩৬৫)

যোগভ্রষ্ট (১৯৬১, বঙ্গাব্দ ১৩৬৭)

নিশিপদ্ম (১৯৬২, মাঘ ১৩৬৮)

যতিভঙ্গ (১৯৬২, বৈশাখ ১৩৬৯)

 কান্না (১৯৬২, বৈশাখ ১৩৬৯)

কালবৈশাখী (১৯৬৩, জ্যৈষ্ঠ ১৩৭০)

 একটি চড়ুইপাখি ও কালো মেয়ে (১৯৬৩, আশ্বিন ১৩৭০)

জঙ্গলগড় (১৯৬৪, ফাল্গুন ১৩৭০)

মঞ্জরী অপেরা (১৯৬৪, বৈশাখ ১৩৭১)

চিন্ময়ী(বৈশাখ ১৩৭১)

 সংকেত (১৯৬৪, আষাঢ় ১৩৭১)

ভুবনপুরের হাট (১৯৬৪, আষাঢ় ১৩৭১)

বসন্তরাগ (১৯৬৪,  অগ্রহায়ণ ১৩৭১)

বিচিত্রা (১৯৬৫)

গন্না বেগম (১৯৬৫, আষাঢ় ১৩৭২)

অরণ্যবহ্নি (১৯৬৬, ১৩৭২)- উৎসর্গ: নন্দগোপাল
সেনগুপ্ত

হীরাপান্না (১৯৬৬, জ্যৈষ্ঠ ১৩৭২)

 মহানগরী (১৯৬৬, আষাঢ় ১৩৭৩)

গুরুদক্ষিণা (১৯৬৬, শ্রাবণ ১৩৭৩)

শুকসারী কথা (১৯৬৭, ভাদ্র ১৩৭৪)

শক্করবাঈ (১৯৬৭, রাস পূর্ণিমা ১৩৭৪)

ছায়াপথ (১৯৬৯, আষাঢ় ১৩৭৬)

কালরাত্রি (এপ্রিল,১৯৭০)

অভিনেত্রী (১৯৭১)

 ফরিয়াদ (১৯৭১)

শতাব্দীর মৃত্যু (১৯৭১, অগ্রহায়ণ ১৩৭৮)

১৯৭১ (১৩৭৮ বঙ্গাব্দ)

ব্যর্থ নায়িকা (১৩৭৯)

জনপদ (১৩৮০)

কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ড (কিশোর উপন্যাস) (১৯৭২)


🍂ছোটোগল্প-সংকলন:

পাষাণপুরী(১৪ জুলাই, ১৯৩৩)

নীলকণ্ঠ (৪ সেপ্টেম্বর,১৯৩৩)

প্রেম ও প্রয়োজন (১০ জুলাই,১৯৩৬)

ছলনাময়ী (৫ অক্টোবর,১৯৩৬, বৈশাখ ১৩৪৩) - প্রথম গল্প সংকলন প্রকাশ। 

জলসাঘর (৩ অক্টোবর,১৯৩৭, শ্রাবণ ১৩৪৪)

রসকলি (২১ মে, ১৯৩৮, বৈশাখ ১৩৪৫)

তিন শূন্য (১৬ এপ্রিল,১৯৪১)

প্রতিধ্বনি (১৯৪৩)

বেদেনী (১৯৪৩, ১৩৪৭ বঙ্গাব্দ)

 দিল্লী কা লাড্ডু (১৯৪৩),

 যাদুকরী (১৭ জানুয়ারি,১৯৪৪, ফাল্গুন, ১৩৫০),

স্থলপদ্ম (১২ এপ্রিল,১৯৪৪,১৩৫০ বঙ্গাব্দ),

১৩৫০ (২৮ জানুয়ারি,১৯৪৫,অগ্রহায়ণ ১৩৫১),

 প্রসাদমালা (৭ আগষ্ট,১৯৪৫,১৩৫২ বঙ্গাব্দ),

হারানো সুর (২০ সেপ্টেম্বর,১৯৪৫, অগ্রহায়ণ ১৩৪৭)

ইমারত (২২ মে, ১৯৪৬,মাঘ ১৩৫৩),

রামধনু(১৭ আগষ্ট,১৯৪৭,বৈশাখ ১৩৫৪),

তারাশঙ্করের শ্রেষ্ঠ গল্প (পৌষ, ১৩৫৪) 

শ্রীপঞ্চমী (শ্রীপঞ্চমী, ১৩৫৪)

মাটি (২৩ অক্টোবর,১৯৫০, ১৩৫৭)

শিলাসন (১৯৫২, মাঘ ১৩৫৮),

কামধেনু (৩০ ডিসেম্বর,১৯৫৩, ভাদ্র ১৩৫৫) ,

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প (বৈশাখ, ১৩৫৭) ,

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় গল্প (আশ্বিন ১৩৬০) ,

স্ব-নির্বাচিত গল্প (শ্রাবণ ১৩৬১) ,

গল্প সঞ্চয়ন (পৌষ ১৩৬১),

বিস্ফোরণ (১৯৫৫, জ্যৈষ্ঠ ১৩৬২) ,

 কালান্তর (১৯৫৬),

বিষপাথর (১৯৫৭, অগ্রহায়ণ ১৩৬৪),

প্রেমের গল্প ( ভাদ্র ১৩৬৬),

রবিবারের আসর (১৯৫৯, শ্রাবণ ১৩৬৭)

 পৌষলক্ষ্মী (১৯৬১, ১৩৬৭) - '১৩৫০' গল্পগ্রন্থের নব রূপায়ণ

নাগরিক (১৯৬১)

আলোকাভিসার (অগ্রহায়ণ ১৩৬৭) ,

চিরন্তনী (১৯৬২, ফাল্গুন ১৩৬৮),

অ্যাক্সিডেন্ট (১৯৬২, বৈশাখ ১৩৬৯) ,

গল্প পঞ্চাশৎ (ভাদ্র ১৩৭০) 

 তমসা (১৯৬৩, বৈশাখ ১৩৭০) ,

 আয়না (১৯৬৩, অগ্রহায়ণ ১৩৭০)

চিন্ময়ী (১৯৬৪),

একটি প্রেমের গল্প (১৯৬৫, মাঘ ১৩৭১),

স্বর্গমর্ত্য (১৯৬৫)

 তপোভঙ্গ (শ্রাবণ ১৩৭৩),

দীপার প্রেম (১৯৬৬,অগ্রহায়ণ ১৩৭৩),

 নারী  রহস্যময়ী (১৯৬৭, শ্রাবণ ১৩৭৪),

পঞ্চকন্যা (১৯৬৭),

শিবানীর অদৃষ্ট (১৯৬৭, ভাাদ্র ১৩৭৪),

গোবিন সিংয়ের ঘোড়া (১৯৬৮),

 জায়া (১৯৬৮, ফাল্গুন ১৩৭৪) ,

এক পশলা বৃষ্টি (১৯৬৯, জ্যৈষ্ঠ ১৩৭৫),

মিছিল (১৯৬৯, জ্যৈষ্ঠ ১৩৭৬),

মণিবৌদি (১৯৬৯)

রূপসী বিহঙ্গিনী (১৯৭০, শ্রাবণ ১৩৭৭) ,

মানুষের মন (১৯৬৯, বঙ্গাব্দ ১৩৭৬)

নবদিগন্ত (১৯৭৩)

🍂নাটক:

কালিন্দী (১০ আগষ্ট,১৯৪১)- চার অঙ্ক- নাট্যনিকেতন ও স্টার রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয়।

দুইপুরুষ (২০ জুন,১৯৪২)- চার অঙ্ক- নাট্য ভারতীতে।

পথের ডাক (১৯৪৩)- চার অঙ্ক- নাট্য ভারতীতে অভিনীত হয়।

বিংশ শতাব্দী (১১ মে, ১৯৪৫)- তিন অঙ্ক - রঙমহলে অভিনীত হয়।

দ্বীপান্তর (৩০ মার্চ,১৯৪৬)- চার অঙ্ক- কালিকা থিয়েটারে অভিনীত হয়।

যুগবিপ্লব (১৯৫১)- তিন অঙ্ক

কালরাত্রি (১৯৫৭)- একাঙ্ক

সংঘাত (১৯৬২)- তিন অঙ্ক

কবি(চার অঙ্ক) - রংমহল মঞ্চে অভিনীত হয়। আষাঢ়, ১৩৬৩

আরোগ্য নিকেতন(চার অঙ্ক) -বিশ্বরূপা মঞ্চে অভিনীত হয়।ফাল্গুন, ১৩৭৪

উমানন্দের মন্দির( একাঙ্ক) - বেতারে অভিনয়ের জন্য

ডাইনির মায়া( একাঙ্ক) -বেতারে অভিনয়ের জন্য

অভিশপ্ত( একাঙ্ক) -বেতারে অভিনয়ের জন্য

বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা (একাঙ্ক) - সাধনকুমার ভট্টাচার্য ও অজিত কুমার ঘোষ সম্পাদিত " একাঙ্ক সঞ্চয়ন"(১৯৬০)  এর অন্তর্ভুক্ত আছে।

🍂প্রহসন:

চকমকি (১৯৪৫)-দুই অঙ্কের প্রহসন- শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় কে উৎসর্গ করা হয়।

🍂প্রবন্ধ সংকলন:

 সাহিত্যের সত্য (১৯৬০) অনেক জায়গায় ১৯৬১

ভারতবর্ষ ও চীন (১৯৬৩, শ্রাবণ ১৩৭০),

বিচিত্র (১৯৬৫)- উৎসর্গ: অমলেন্দু দাশগুপ্ত

 রবীন্দ্রনাথ ও বাংলার পল্লী (সেপ্টম্বর,১৯৭১)- প্রফুল্ল চন্দ্র গুপ্তকে উৎসর্গ করা হয়।

🍂 স্মৃতিকথা:

 আমার কালের কথা (১৯৫১),

 বিচিত্র স্মৃতিকাহিনী (১৯৫৩),

 আমার সাহিত্য জীবন, প্রথম খণ্ড (১৯৫৩),

কৈশোর স্মৃতি (১৯৫৬)- উৎসর্গ: লক্ষ্মী নারায়ণ মুখোপাধ্যায়

 আমার সাহিত্য জীবন, দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৬২)।

🍂ভ্রমণসাহিত্য:

মস্কোতে কয়েক দিন (১৯৫৯)।


🍂রচনা-সংকলন:

 তারাশঙ্করের শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৪৭),

 তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৫০),

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় গল্প (১৯৫৩),

স্বনির্বাচিত গল্প (১৯৫৪),

 গল্প-সঞ্চয়ন (১৯৫৫),

 ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৫৬),

 রচনাসমগ্র- প্রথম খণ্ড (১৯৫৯),

 প্রেমের গল্প (১৯৬১),

 ছোটদের ভালো ভালো গল্প (১৯৬২),

গল্প-পঞ্চাশৎ (১৯৬৩),

 কিশোর সঞ্চয়ন (১৯৬৬),

 ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৬৯)

সোনার মলাট- তারাশঙ্কর (১৯ জুলাই, ১৯৭৩)- উৎসর্গ: অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়।

🍂অন্যান্য গ্রন্থ:

পাষাণ পুরী (জুলাই, ১৯৩৩) - জেলখানার জীবন চিত্র।



🍁তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থাগারে অপ্রকাশিত গ্রন্থসমূহ :

সমাপ্তি (ছোটগল্প) -চৈত্র, ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে বঙ্গলক্ষ্মী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

ডাইনি(ছোটগল্প) -বৈশাখ, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দে মৌচাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

সাপুড়ের গল্প (ছোটগল্প) - বৈশাখ, ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে তরুণের স্বপ্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।

শবরীর প্রতীক্ষা,

কিছু গান ( যেগুলো বিভিন্ন উপন্যাস থেকে নেওয়া),

🍂স্মৃতিমূলক রচনা:

শিল্পীর স্বাধীনতা

মনের আয়নায় নিজের ছবি

বাঙলা দেশের হৃদয় হতে

আমার জীবনে সুভাষচন্দ্র

সাবিত্রী প্রসঙ্গ

অপরাজিত বিভূতিভূষণ

সপ্তপদী প্রসঙ্গে

তারণীসেন

কি চেয়েছি, কি পেয়েছি


🍁লেখার ধরন:

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় শহরের ছোঁয়া যেমন আছে, তেমনি গ্রামের চিত্রও আছে। কারণ, কৃষকদের কষ্ট, গ্রামের গল্প, শহরের কাহিনি, সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদ- সবকিছুই দেখেছেন তিনি। গ্রাম্যজীবনের যে সুখ দুঃখ সেই ভাগটি 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা' পর্যন্ত বিস্তৃত। আর দ্বিতীয় ভাগ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে মন্বন্তর হয়ে বর্তমান কাল পর্যন্ত বিস্তৃত।

🍁রচনার চলচ্চিত্র রূপায়ণ:

@জলসাঘর(১৯৫৮) - সত্যজিৎ রায়

@অভিযান(১৯৬২) - সত্যজিৎ রায়

@অগ্রদানী(১৯৮৩) -পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

@আগুন(১৯৬২) - অসিত সেন

@আরোগ্য নিকেতন (১৯৬৯) - বিজয় বসু[ জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত],

@ উত্তরায়ণ(১৯৬৩) -অগ্রদূত,

@ কবি (দেবকী বসু, ১৯৪৯ এবং সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৯৭৫),

@ কান্না(১৯৬২) -অগ্রগামী,

@ কালিন্দী (১৯৫৫)-নরেশ মিত্র,

@ গণদেবতা(১৯৭৯) -তরুণ মজুমদার,

@চাঁপাডাঙার বউ (১৯৫৪)-নির্মল দে,

@ জয়া (১৯৬৫)-চিত্ত বসু,

@ ডাকহরকরা(১৯৫৮) -অগ্রগামী,

@ দুই পুরুষ (সুবোধ মিত্র, ১৯৪৫ এবং সুশীল মুখোপাধ্যায়, ১৯৭২)

@ ধাত্রীদেবতা(১৯৪৮) -কালীপ্রসাদ ঘোষ,

@ না (১৯৫৪)-শ্রীতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়,

@ফরিয়াদ (১৯৭১)-বিজয় বসু,

@ বিচারক(১৯৫৯) -প্রভাত মুখোপাধ্যায়,

@বিপাশা(১৯৬২) -অগ্রদূত,

@মঞ্জরী অপেরা(১৯৭০) -অগ্রদূত,

@রাইকমল (১৯৫৫)-সুবোধ মিত্র,

@ শুকসারী [হারানো সুর গল্প অবলম্বনে] (১৯৬৯)-সুশীল মজুমদার পরিচালিত,

@সন্দীপন পাঠশালা(১৯৪৯) -অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়,

@সপ্তপদী (১৯৬১) -অজয় কর,

@ হার মানা হার [মহাশ্বেতা উপন্যাস অবলম্বনে] (১৯৭২)- সলিল সেন পরিচালিত,

@ হাঁসুলীবাঁকের উপকথা (১৯৬২)- তপন সিংহ,

@ বেদেনি (২০১০) প্রভৃতি।

🍁সন্মাননা ও পুরস্কার:

@১৯৪২ সালে তিনি বীরভূম জেলা সাহিত্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

@সেখানেই তাঁকে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী লেখক ও শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মনোনীত করা হয়।

@১৯৪৪ সালে তিনি কানপুরে বসবাসকারী বাঙালিদের দ্বারা পরিচালিত 'কানপুর বাংলা সাহিত্য সম্মেলন'- এ সভাপতি পদ অলংকৃত করেন।

@১৯৪৭ সালে প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।

@১৯৫৭ সালে চিন সরকারের আমন্ত্রণে চিন ভ্রমণে যান তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

@১৯৫৮ তিনি এফ্রো- এশিয়ান লেখক সঙ্ঘের কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে যান।

@তাসখন্দে অনুষ্ঠিত এফ্রো- এশিয়ান লেখক সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

@১৯৭০ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন।

@'শরৎ স্মৃতি পুরস্কার'(কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৪৭)

@ জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ( কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের, ১৯৫৬)

@ আরোগ্য নিকেতনের জন্য 'রবীন্দ্র পুরস্কার' ( পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ১৯৫৫)

@আরোগ্য নিকেতনের জন্য আবার 'সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার' (১৯৫৬)

@গণদেবতার জন্য 'জ্ঞানপীঠ পুরস্কার'(১৯৬৬)

@ভারত সরকার কর্তৃক 'পদ্মশ্রী'(১৯৬২)

@ভারত সরকার কর্তৃক 'পদ্মভূষণ'(১৯৬৮) উপাধি লাভ করেন।

🍁নানা গ্রন্থের পূর্বনাম বা পরিবর্তিত নাম:

১. 'রাইকমল' গল্পের পূর্বনাম 'স্বৈরিনী'।

২.যোগবিয়োগ এর পরিবর্তিত নাম 'নীলকণ্ঠ'।

৩.' প্রেম ও প্রয়োজন 'রচনার পূর্বনাম ছিল 'বেনের বেসাতী'।

৪.'আগুন' উপন্যাসের পূর্বনাম ছিল 'কালপুরুষ'।

৫." ধাত্রীদেবতা " উপন্যাসের পূর্বনাম ছিল ' জমিদারের মেয়ে '।

৬.' মা' গল্পটির পরিবর্তিত নাম ছিল 'ফল্গু'।

৭.'গনদেবতা' উপন্যাসের পূর্বনাম ছিল ' চণ্ডীমণ্ডপ'। ওই নাম ছিল ৩০ অধ্যায় পর্যন্ত।

৮.' সন্দীপন পাঠশালা' রচনাটির পূর্বনাম ছিল ' উদয়াস্ত'।

৯.' কালবৈশাখী' উপন্যাসটির পূর্বনাম ছিল 'ঝড় ও ঝরাপাতা '।

১০. 'আরোগ্য নিকেতন' উপন্যাসটির পূর্বনাম ছিল ' সঞ্জীবন ফার্মেসী'।

১১.' হেডমাস্টার' বীজগল্পটি পরে বর্ধিত করে লেখেন ' গুরু দক্ষিণা'।

১২. 'দীপান্তর'- এর পূর্বনাম 'সোনার পদ্ম'।

১৩. 'যোগভ্রষ্ট' পূর্বনাম 'যবনিকা'।

🍁রচনার উৎসর্গিত ব্যক্তিগণ:

🍂  কথাসাহিত্য :

১.চৈতালী ঘুর্ণি - সুভাষচন্দ্র বসু

২.নীলকণ্ঠ - শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়

৩.রাইকমল - উমাদেবী

৪.প্রেম ও প্রয়োজন - সাবিত্রী প্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় (দেবী)

৫.ছলনাময়ী - বুলু(তারাশঙ্করের মৃত কন্যা)

৬.জলসাঘর - দুর্গাশঙ্কর ও পার্বতীশঙ্কর

৭.আগুন - পিতৃদেব হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

৮.রসকলি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯.ধাত্রীদেবতা - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা ও পিসিকে

১০.কালিন্দী - সজনীকান্ত দাশ

১১.গণদেবতা - সরোজ কুমার রায়চৌধুরী

১২.মন্বন্তর - বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল)

১৩.হারানো সুর - সুবল বন্দ্যোপাধ্যায়

১৪.সন্দীপন পাঠশালা - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী

১৫.ইমারত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৬.অভিযান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

১৭.ঝড় ও ঝরাপাতা - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
শ্রী পঞ্চমী - রাণী মা

১৮.হাঁসুলী বাঁকের উপকথা - কালিদাস রায়

১৯.পদচিহ্ন - প্রেমেন্দ্র মিত্র

২০.উত্তরায়ণ - প্রবোধকুমার সান্যাল

২১.শিলাসন - প্রমথনাথ বিশী

২২.নাগিনী কন্যার কাহিনী - নারায়ণ চৌধুরী, সন্তোষ কুমার ঘোষ, অনিল চক্রবর্তী

২৩.আরোগ্য নিকেতন - মনোজ বসু

২৪.জীবন কাহিনী - পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়

২৫.না - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে

২৬.চাঁপাডাঙার বৌ - শচীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

২৬.পঞ্চপুত্তলী - উমার করকমলে

২৭.বিচারক - রাজশেখর বসু

২৮.বিপাশা - রমাপদ চৌধুরী

২৯.রাধা - প্রেমেন্দ্র মিত্র

৩০.যোগভ্রষ্ট - অতুলচন্দ্র গুপ্ত

৩১.যতিভঙ্গ - বিশ্বনাথ রায়

৩২.কান্না - শশিভূষণ দাশগুপ্ত

৩৩.একটি চড়ুই পাখি ও কালো মেয়ে - সত্যজিৎ রায়

৩৪.জঙ্গলগড় - হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

৩৫.বসন্তরাগ - শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

৩৬.গন্নাবেগম - মধুসূদন মজুমদার

৩৭.ছায়াপথ - হজরত সারমাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে

৩৮.কালরাত্রি - নির্মল খাঁ

৩৯.অভিনেত্রী - অহীন্দ্র চৌধুরী

৪০.ব্যর্থ নায়িকা - শ্রীকৃষ্ণ কৃপালনী

৪১.ছলনাময়ী - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত কন্যা

৪২.জলসাঘর - দুর্গাশঙ্কর ও পার্বতীশঙ্কর

৪৩.রসকলি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৪.হারানো সুর - সুবলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

৪৫.প্রতিধ্বনি - জগবন্ধু দত্ত

৪৬.বেদিনী - নির্মল কুমার বসু

৪৭.যাদুকরী - শিশির মল্লিক

৪৮.স্থলপদ্ম - পশুপতি ভট্টাচার্য

৪৯.ইমারত -বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

৫০.শিলাসন - প্রমথনাথ বিশী

৫১.গল্পপঞ্চাশৎ - জগদীশ ভট্টাচার্য

৫২.নারী রহস্যময়ী - বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়

৫৩.রূপসী বিহনঙ্গিনী - সুধারানী দেবী

৫৪.ভুতপুরাণ - যতীন্দ্রমোহন দত্ত

৫৫.বিচিত্রা - অমলেন্দু দাশগুপ্ত

৫৬.সোনার মলাট - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়

৫৭. ১৩৫০- মহাত্মা গান্ধীকে।

৫৮. পঞ্চগ্রাম- কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

৫৯. কবি - মোহিতলাল মজুমদার

৬০. মহাশ্বেতা- গজেন্দ্রকুমার মিত্র

🍂  নাটক :

৬১.দুই পুরুষ - শান্তিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়, সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

৬২.পথের ডাক - জগদীশ ভট্টাচার্য

৬৩.বিংশ শতাব্দী - মহাত্মা গান্ধী

৬৪.কবি - মোহিতলাল মজুমদারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে

৬৫.কালিন্দী - নির্মলশিব বন্দ্যোপাধ্যায়

৬৬. দীপান্তর - দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী

৬৭. যুগ বিপ্লব - বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র

🍂  অন্যান্য (আত্মস্মৃতি) :

৬৮.আমার কালের কথা - শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়,  নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী,নরেন্দ্রনাথ মিত্র

৬৯. রবীন্দ্রনাথ ও বাংলার পল্লী - অতুলচন্দ্র গুপ্ত

৭০. কৈশোর স্মৃতি - লক্ষীনারায়ণ মুখোপাধ্যায়


🍁বিশেষ তথ্য:

@তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে অন্যতম হলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

 @বাংলা সাহিত্যে আঞ্চলিক উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন বলে তাকে বাংলার পাঠককূল "আধুনিককালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক" হিসাবে অভিহিত করে ।

@ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যোগ্যতম উত্তরসুরী হয়ে বাংলা সাহিত্যজগতে আবির্ভূত হন তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় ।

@১৯৩২ সালে রবীন্দ্রনাথের সাথে পরিচয় হয় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

@শারদীয় পত্রিকার জন্য লেখা চেয়ে প্রথম দফা পদ্ধতির চিঠি ছাড়ার সাত দিন পরে তারাশঙ্কর বাবুর চিঠি এসে হাজির। তিনি লিখেছেন-
পরমকল্যাণবরেষু,
সাগময়, শারদীয়া সংখ্যায় লেখা দেবার জন্য তােমার আমন্ত্রণলিপি পেলাম। তােমাদের সঙ্গে দীর্ঘকাল দেখাসাক্ষাৎ নাই। আগামী বুধবার নয়টার মধ্যে যদি আমার বাড়ি আসতে পার, তাহলে সাক্ষাতে কথা হবে। আমার এখান থেকেই তুমি অফিসে চলে যেয়ো। তােমার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করি।
ইতি-
চিঠি পেয়েই উত্তরে জানিয়ে দিলাম বুধবার যথাসময়েই আমি তাঁর বাড়ি উপস্থিত হচ্ছি ।
আমি থাকি টালিগঞ্জে আজ, তারাশঙ্করবাবু তখন থাকতেন টালা নয়,বাগবাজারে আনন্দ চ্যাটার্জি লেন-এ, অমৃতবাজার পত্রিকা অফিসের সন্নিকটে।
এখন সমস্যা সকাল নটার মধ্যে তার বাড়ি হাজির হতে হলে আমাকে বেরােতে হয় সকাল আটটায়। সুতরাং খেয়ে দেয়ে বেরোনোর প্রশ্নই ওঠে না।
আমার গৃহিণীকে তারাশঙ্করবাবুর চিঠিটা দেখিয়ে প্রশ্ন করলাম-
‘তােমার কি মনে হয়? না খেয়েই বেরােব ?
গৃহিণী বললেন—খেয়েদেয়ে বেরোনোর মত কোন যুক্তি তাে চিঠিতে পাচ্ছিনা। অত সকালে ভাত খেয়ে যাবেই বা কি করে।
আমি বললাম,—কেন? এই যে লিখেছেন—আমার এখান থেকেই তুমি অফিসে চলে যেয়াে—এই কথাটার মধ্যে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতটা ধরতে পারছ না?
অবাক হয়ে গৃহিণী বললেন-“এর মধ্যে আবার ইঙ্গিত তুমি পেলে কোথায়।
মেয়েরা গল্প-উপন্যাসের একনিষ্ঠ পাঠিকা হতে পারেন কিন্তু তাঁরা যে আভাস-ইঙ্গিত বোঝেন না বা বুঝতে চান না এ ধারণা আমার অনেককালের এবং তা বদ্ধমূল। তাই গৃহিণীকে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ঠাট্টা করে বললাম- ‘স্ত্রীবুদ্ধি কি শাস্ত্রে বলে সাধে। ইংরেজীতে একটা কথা আছে—টু রীড বিটুইন দি লাইনস। সে-ভাবে যদি পড়তে জানতে তাহলে তােমার চোখে ও-দুটি লাইনের মাঝে “চারটি ডাল-ভাত খেয়ে" কথাটা জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠত। গৃহিণী আর কথা বাড়ালেন না। বুদ্ধি নিয়ে ইঙ্গিত করলে তিনি নীরব থাকাই পছন্দ করেন।
বুধবার সকালে তাড়াহুড়ো করে স্নান সেরে বেরােতে যাচ্ছি, গৃহিণী একথালা লুচি আর বেগুনভাজা এনে বললেন—‘পেট ভরেই খেয়ে যাও, সাহিত্যিকদের কথায় আমার বেশি ভরসা নেই।'
স্ত্রীবুদ্ধি সম্বন্ধে আরেকবার নিঃসন্দেহ হয়ে গােটা দুই লুচি মুখে পুরে রওয়ানা হলাম বাগবাজার অভিমুখে। আনন্দ চ্যাটার্জি লেন-এ তারাশঙ্করবাবুর বাড়িতে যখন উপস্থিত হয়েছি তখন প্রায় নটা বাজে। কড়া নাড়তেই দরজা খুলে বঁড়ালেন স্বয়ং তারাশঙ্কর-বাবু। অনাবৃত দেহে শ্বেতশুভ্র উপবীত যেন ধনকৃষ্ণ মেঘের গায়ে বিঙ্গতা। প্রণাম করতেই বুকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন- তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি, এস, এস, বস।
আমাকে চেয়ারে বসিয়েই ভিতরের ঘরের দরজার কাছে গিয়ে চেঁচিয়ে বললেন- সনৎ, শীগগির প্লেট নিয়ে আয়, সাগর এসেছে।
তাহলে ডাল-ভাত নয়, জলযােগের ভূরি আয়ােজনই হয়েছে অনুমান করলাম। কিন্তু বসতে না বসতেই খেতে হবে ? পূজা সংখ্যার লেখা সম্পর্কে কোন কথাই হল না। অথচ আসা মাত্রই পাওয়া? আর, এ খাওয়ানাের উপলক্ষ্যটাই বা কি। প্লেট-এর বন্দোবস্তু যখন, তখন উপলক্ষ্য একটা কিছু আছেই। সেক্ষেত্রে অন্যান্য আমন্ত্রিতরাই বা কোথায় ? তারা কি আগেই খাওয়া-দাওয়া সেরে চলে গেল? গৃহিণীর উপর রাগ হতে লাগল। এসেই যদি খেতে বসতে হবে তাহলে বাড়ি থেকে বেরােবার সময় লুচি-ই বা গিলতে গেলাম কেন? সাতসতেরাে প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরছে, তারাশঙ্করবাবু তখনও দরজার কাছে দাঁড়িয়ে পরিত্রাহি চেঁচিয়ে বলছেন- “সনৎ, দেরি করছিস কেন? প্লেট-টা তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়। কতক্ষন সাগরকে বসিয়ে রাখব।
খুবই অস্বস্তি বােধ করতে লাগলাম আমাকে খাওয়ার জন্যে ওঁর ব্যস্ততা দেখে। মৃদুস্বরে বললাম- ‘আপনি ব্যস্ত হচ্ছেন কেন। আসুন গল্পগুজব করি। ওটা পরেই হবে। আমার তো তেমন কিছু তাড়া নেই।'
আরও ব্যস্ত হয়ে উনি বলে উঠলেন-'না না, সে কি করে হয়। যে-জন্যে তােমাকে ডেকে পাঠালাম আগে সেটা সেরে নাও, পরে গল্প করা যাবে। কথা শেষ হতে না হতেই তারাশঙ্করবাবুর জ্যেষ্ঠ পুত্র সৌম্যদর্শন সনৎ হস্তদন্ত হয়ে ঘরে এসে উপস্থিত, হাতে বৃহদাকারের একটা কালাে খাম।
খাম দেখে আমি তাে উল্লসিত। যেন হাতে স্বর্গ পেয়ে গেছি। পূজা সংখ্যার গল্প তাহলে লেখা হয়ে গেছে? মধুর বিস্ময়ে আমার দুই বিস্ফারিত চোখ খামের অভ্যন্তরে গল্পের পাণ্ডুলিপি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। পুত্রের হাত থেকে থামটা নিয়েই তারাশঙ্কর বাবু চলে গেলেন পুবদিকের খােলা জানলাটার কাছে। আমাকে বললেন- ‘জানালার কাছে সরে এস, আলো না হলে দেখতে অসুবিধা হবে।
ওঁর পাশে গিয়ে দাড়াতেই তারাশঙ্করবাবু খামের ভিতর হাত ঢুকিয়ে ফস করে টেনে বার করলেন একটা প্লেট। সেই বিখ্যাত প্লেট যার গল্প বহুবার আমাকে অনেক বৈঠকে বলতে হয়েছে, তা আপনাদের আবার শােনাতে বসেছি। খামের ভিতর থেকে একটি এক্স-রে প্লেট বার করে তারাশঙ্করবাবু সেটা চোখের উপর সূর্যকে আড়াল করে মেলে ধরলেন। একটি শীর্ণকায় মানুষের নাড়ীভুড়ি সমেত জট-পাকানাে জঠরের ছবি চোখের উপর ভেসে উঠল। মানচিত্রের উপর ছড়ি বুলিয়ে মাস্টারমশাই যেমন ভূগোল পড়ান, প্রায় তেমনি ভাবেই তারাশঙ্করবাবু আঙুল বুলিয়ে আমাকে উদরের ভূগােল শেখাতে লাগলেন। গলার কাছে আঙুল ধরে বলে চললেন- কণ্ঠনালী দেখতে পাচ্ছি। এই হচ্ছে কণ্ঠনালী। আমরা যখন আহার করি তখন তা এই কণ্ঠনালী দিয়ে পাকস্থলীতে এইভাবে ঘুরে আসছে। ছবির একেবারে তলায় ওটা হচ্ছে পায়ু। পাকস্থলী থেকে খাদ্যবস্তু এখান দিয়ে নিঃসারিত হয়। স্বাভাবিক লােকের পাকস্থলী থেকে পায়ুদ্বারে খাদ্যবস্তু এসে পৌছুতে লাগে ছয় ঘণ্টা, আমার লাগছে চার ঘণ্টা। নিজের চোখেই তো দেখলে আমার শরীরের অবস্থা। এক্স-রে করিয়েছি, চিকিৎসাও চলছে, এখন ডাক্তারের কথাতেই দিনসাতেকের মধ্যে চেঞ্জে যাচ্ছি দাজিলিং-এ। এই অবস্থায় পূজা সংখ্যায় এবার তাে লিখতে পারব না ভাই। এমনি বললে তাে আর বিশ্বাস করতে না, ভাবতে, আমি ফাঁকি দিচ্ছি। তাই ডেকে পাঠিয়েছিলাম।
জট পাকানাে নাড়ী-ভুড়ির ছবি দেখে আমার নাড়ী-ভূঁড়ি উল্টোবার অবস্থা। অফিসের জরুরী কাজের অছিলায় তখন বেরােবার জন্য ব্যস্ত হয়ে বিদায় চাইলাম।
বিস্মিত হয়ে তারাশঙ্করবাবু বললেন—এর মধ্যেই উঠবে কি, এক কাপ চা অন্তত খেয়ে যাও।
আমি প্রবল আপত্তি জানিয়ে বললাম-না, চা আর এখন খেতে পারব না। একটু আগেই বাড়ি থেকে পেট ভরে খেয়েদেয়ে বেরিয়েছি।”
বাগবাজারের মোড়ের লড়ুইয়ের চপের দোকানের সামনে এসে ঢুকবো কি না ভাবছি, চোখের উপর ভেসে উঠল সেই এক্স-রে প্লেট। আর কালক্ষেপন না করে বাসেই চেপে বসলাম। আপনাদের কাছে কবুল করতে লজ্জা নেই, স্ত্রীবুদ্ধি সম্বন্ধে আমার সেই বহুকালে ধারণাটা সেদিনের ঘটনার পর বাধ্য হয়েই বদলাতে হয়েছে।
বই: সম্পাদকের বৈঠকে
লেখক: সাগরময় ঘোষ

 @তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় চমকে উঠলেন সত্যজিৎ রায়ের কথা শুনে।টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে সত্যজিৎ রায় তাকে জানালেন তিনি তার জলসাঘর খুঁজে পেয়েছেন।আসলে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় তার “জলসাঘর” চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যটা লিখেছিলেন।চিত্রনাট্য লিখে ফেললেও তিনি প্রকৃত জলসাঘর খুঁজে পাচ্ছিলেন না।পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের তিরিশটির উপর লোকেশন দেখে একটি জায়গাকেও পছন্দ না করতে পেরে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।তখন কাকতালীয়ভাবে সত্যজিৎ রায় মুর্শিদাবাদের নিমতিতার জমিদারবাড়িটি আবিষ্কার করেন।কলকাতা ফিরে গিয়েই তিনি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেলিফোন করেন।তিনি জানান যে তাঁর মনের মতো জায়গা তিনি নিমতিতায় খুঁজে পেয়েছেন। বিস্মিত তারাশঙ্কর সত্যজিৎকে জিজ্ঞাসা করেন যে জায়গাটি উপেন্দ্রনারায়ন চৌধুরীদের জমিদারবাড়ি কিনা।সত্যজিৎ যখন বলেন যে, হ্যাঁ ঠিক সেই বাড়িটিই, তখন তারাশঙ্কর অবাক হয়ে যান।তিনি জানান যে তিনি নিজে কখনও নিমতিতায় যাননি।বাংলাদেশের জমিদারদের নিয়ে লেখা একটি ইতিহাসের বইতে তিনি ঐ পরিবারটির এবং সংগীতপ্রেমিক উপেন্দ্রনারায়ন চৌধুরীর কথা পড়েছিলেন।সেই চৌধুরী মশাইকে কেন্দ্র করেই তিনি বিশ্বম্ভর রায়ের চরিত্রটি সৃষ্টি করেছেন।লেখক ও চলচ্চিত্রকারের কল্পনার এই অদ্ভুত সমাপতনের ফল নিমতিতার জমিদারবাড়িতে চিত্রায়িত জলসাঘর।


@তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ অবলম্বনে প্রথম একটি নাটক লেখেন । নাটকটির নাম "মারাঠাতর্পন"।

@আর্ট থিয়েটারের অধ্যক্ষ অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় " মারাঠাতর্পন " নাটকের পান্ডুলিপি না পড়ে ফিরিয়ে দিলে তিনি ভীষণ ব্যথা পান। এবং স্থির করে ফেলেছিলেন আর কখনও নাটক লিখবেন না। কিন্তু পরেও নাটক লিখেছিলেন।

@"নুটু মোক্তারের সওয়াল " গল্প অবলম্বনে "দুই পুরুষ" নাট্যরূপ করেন।

@ "পিতা পুত্র" গল্পটি "সংঘাত" নাটকের আদিবীজ।

@ "দ্বীপান্তর" নাটকের শেষাংশ " আখড়াইয়ের দীঘি " গল্পটিকে মনে করিয়ে দেয়।

@ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস "দীনার দান"। এটি ধারাবাহিক ভাবে " এক পয়সার শিশির " - এ প্রকাশিত হয়।

@তারাশঙ্করের প্রথম গল্প 'স্রোতের কুটো' ১৯২৭ 'পূর্ণিমা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় যার সহ সম্পাদক তিনি নিজে ছিলেন । রসকলি আসলে তার চতুর্থ গল্প। তিনি নিজে বাকি গল্প গুলি কে মর্যাদা দিতে চাননি বলেই হয়তো রসকলি কে স্বীকৃতি দিয়েছেন নিজের বই আত্মজীবনীতে ।

@ ধাত্রীদেবতা উপন্যাসের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসের কথা আছে।

@ ধাত্রীদেবতা উপন্যাসে অসহযোগ আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে।

@ ধাত্রীদেবতা উপন্যাসটি শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত হয়।

@ ধাত্রীদেবতা উপন্যাসে নিজের জীবন, মায়ের জীবন ও পিসিমার জীবনের চিত্র উঠে এসেছে।

@ ধাত্রীদেবতা উপন্যাসটি হিন্দিতে ১৯৫৩ সালে "ধরতি মাতা" নামে অনুদিত হয়।

@ ধাত্রীদেবতা উপন্যাসটি তামিল ভাষায় " নীলাঙিন গীতম " নামে অনুদিত হয়।

@ আরোগ্য নিকেতন উপন্যাসটি গুজরাটি ও হিন্দিতে ওই একই নামে অনুদিত হয়।

@ বিচারক উপন্যাসটি মালয়ালম ভাষায় "জাজজী" নামে অনুদিত হয়।

🍁তথ্য সংগ্রহ:


১.তারাশঙ্করের শিল্পিমানস - ডঃ নিতাই বসু।

২.সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - প্রথম খণ্ড - সংশোধিত পঞ্চম সংস্করণ - সাহিত্য সংসদ
 "জন্ম ও শিক্ষা"।

 ৩.সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - প্রথম খণ্ড - সংশোধিত পঞ্চম সংস্করন - সাহিত্য সংসদ

 ৪.তারাশঙ্কর ও বাংলা চলচ্চিত্র : ধ্রুবগোপাল মুখোপাধ্যায়।

৫.সাহিত্য ও সংস্কৃতি:তারাশঙ্কর স্মৃতি সংখ্যা,

৬.বিশ শতকের বাংলা ছবি : সম্পাদনা তপন রায়,

৭.বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- শ্রী ভূদেব চৌধুরী

৮.তারাশঙ্কর- হরপ্রসাদ মিত্র

৯.তারাশঙ্কর বিথীকা- বিশ্বনাথ দে

১০. নিমতায় সত্যজিৎ- রবীন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী

১১.ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে- সৌমেন জানা

১২.তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রসঙ্গ অনুসঙ্গ- মৃণাল কান্তি দাস( ইসলামপুর কলেজ)

১৩.জীবনী গ্রন্থমালা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়- জাকির তালুকদার

১৪.তারাশঙ্কর সাহিত্য সমীক্ষা- গৌরমোহন রায়।

১৫.ইন্টারনেটের বিভিন্ন পেজ
[3/6, 11:23 PM] You Suf: [3/11, 11:18 AM] You Suf: [3/11, 11:20 AM] You Suf: [3/11, 11:31 AM] You Suf:
[3/11, 4:30 PM] You Suf: google.com, pub-9150759165799348, DIRECT, f08c47fec0942fa0

Comments

  1. Replies
    1. ধন্যবাদ বন্ধু। নতুন কোনো তথ্য যদি যুক্ত করার থাকে, তাহলে বলো একটু

      Delete
  2. আমিই তুহিন শুভ্র । এটা খুবই সুন্দর তথ্যবহুল হয়েছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ🙏💕
      তোমার মন্তব্য পেয়ে আমি প্রিত হলাম। সবসময় পাশে থাকার অনুরোধ রইল

      Delete
    2. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন কন্যার নাম কি

      Delete
  3. খুব সুন্দর ।সাহায্য পেলাম।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

লীলা মজুমদারের সম্পূর্ণ তথ্য

 লীলা মজুমদার - ইউসুফ   মোল্লা #আজ_সকাল_সকাল_চলে_এসেছি #লীলা_মজুমদার_নিয়ে  (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭)         আমাদের দেশে ‘শতায়ু হও’ বলে আশীর্বাদ করা হয়ে থাকে। বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার। তবে শত বর্ষের কাছাকাছি আয়ুতে পৌঁছালে অনেক ক্ষেত্রেই সুখের চেয়ে দুঃখ বেদনাই বেশী থাকে। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী প্রায় পুরো সময়টাকেই লেখা পড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার শেষের প্রায় এক দশক বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু লীলা মজুমদার নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে। বিশেষতঃ শিশু সাহিত্যে লীলা মজুমদার একটি অপ্রতিদ্বন্দী নাম। এখানে লীলা মজুমদারের পূর্ণাঙ্গ জীবন , তাঁর সাহিত্য কর্মগুলির আলোচনার সাথে সাথে তাঁর রচনা বৈশিষ্ট্য ও বর্তমান প্রজন্মে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।  ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ...

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য

আ শাপূর্ণা দেবী - ইউসুফ মোল্লা   #কথা_মতো_ভোর_ভোর_চলে_এসেছি #আশাপূর্ণা_দেবীকে_নিয়ে #জন্ম : ৮ ই জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর কলকাতায় মাতুলালয়ে। #পিতা : হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। #মাতা : সরলাসুন্দরী দেবী। #আদি_নিবাস : হুগলি জেলার বেগমপুর। #জীবনসঙ্গী : কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস সেনগুপ্তের সঙ্গে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৫ বছর ৮ মাস বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। #মৃত্যু : ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫।         ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।        বড়োদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী”। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়।       আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।    ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন - “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।     বড়োদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশি...

নবম শ্রেণীর উৎস সন্ধানে

∆সকল গল্প,কবিতা,নাটক,প্রবন্ধের উৎস নির্দেশ∆ #নবম_শ্রেণীর_সাহিত্যসঞ্চয়ন_সাহিত্যসম্ভার_ও_প্রফেসর_শঙ্কুর_ডায়রি **সাহিত্য সঞ্চয়ন নবম শ্রেণী** ১."কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি" কবি - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী । উৎস : চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ড তথা কালকেতুর উপাখ্যান অন্তর্ভুক্ত "কলিঙ্গ দেশে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ"। ২."ধীবর বৃত্তান্ত" লেখক - কালিদাস । উৎস :অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক ।  তর্জমা : সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী । ৩."ইলিয়াস" লেখক : লিও টলস্টয় উৎস : Twenty Three Tales (১৮৮৫) তর্জমা :মণীন্দ্র দত্ত । ৪."সাত ভাই চম্পা" কবি : বিষ্ণু দে । উৎস : সাত ভাই চম্পা । ৫."দাম" লেখক : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় উৎস : ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "তরুণের স্বপ্ন" তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল । ৬."এই জীবন" কবি : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । উৎস : "দেখা হলো ভালোবাসা বেদনায়" । ৭."নব নব সৃষ্টি" লেখক : সৈয়দ মুজতবা আলী । উৎস : এটি "মাম্ দোর পুনর্জন্ম" প্রবন্ধের সম্পাদিত অংশ । মূল ...