Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2020

🍁মহাশ্বেতা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য 🍂

মহাশ্বেতা দেবী - ইউসুফ মোল্লা  #জন্ম:‌ ১৪ জানুয়ারি ১৯২৬ #জন্মস্থান:  ঢাকা, বাংলাদেশ #পিতা: মণীশ ঘটক । তিনি ছিলেন খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও সম্পাদক। তিনি 'যুবনাশ্ব' ছদ্মনামে লিখতেন।        মণীশ ঘটকের ভাই ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক।  #মাতা : ধরিত্রীদেবী। সমাজসেবী ও সাহিত্যপ্রেমী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ভাইয়েরা হলেন শঙ্খ চৌধুরী, যিনি ছিলেন বিশিষ্ট ভাস্কর এবং শচীন চৌধুরী ছিলেন 'দি ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।      নয় ভাইবোনের মধ্যে মহাশ্বেতা জ্যেষ্ঠ। #সন্তান: নবারুণ ভট্টাচার্য। #পিতামহ: সুরেশচন্দ্র ঘটক। #মাতামহ: নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী। #দিদিমা: কিরণময়ী দেবী #মায়ের মামাতো ভাই: কবি অমিয় চক্রবর্তী #শিক্ষা:‌     ঢাকায় ইডেন মন্তেসরি স্কুলে শিক্ষা শুরু। পরে মেদিনীপুরে মিশন স্কুল,১৯৩৬ সালে প্রথমবার শান্তিনিকেতন,তারপর ১৯৩৯ সালে কলকাতার বেলতলা বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস হয়ে  তারপর ১৯৪২ আশুতোষ কলেজে,এই সময় ১৯৪৩ সালে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় ' Girls student association' এবং দুর্ভিক

বনফুলের সম্পূর্ণ তথ্য

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল)  - ইউসুফ মোল্লা( কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)  #জন্ম: ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই। #জন্মস্থান: বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বনফুলের পূর্বপুরুষদের আদি নিবাস ছিল হুগলি জেলার শিয়ালখালায়। #পিতা: সত্যচরণ মুখোপাধ্যায়। তিনি পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন। #মাতা: মৃণালিনী দেবী। #ছোট ভাই: অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় #ভ্রাতুষ্পুত্র: অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় #স্ত্রী: লীলাবতী বন্দ্যোপাধ্যায়(মুখোপাধ্যায়) #সন্তান: #বড়োমেয়ে: কেয়া মুখোপাধ্যায় #বড় ছেলে: অসীম মুখোপাধ্যায় #ছোটছেলে: রঞ্জন মুখোপাধ্যায় #ছোটমেয়ে: করবী মুখোপাধ্যায় (স্বামী: কাজলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের) #মৃত্যু: ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি কলকাতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। #ছদ্মনাম: বনফুল #সম্পাদনা:   ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত 'বিকাশ' নামে হাতে-লেখা একটি সাহিত্য পত্রিকা। #শিক্ষাজীবন:       তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় প্রথমে মণিহারী স্কুলে। পরে সাহেবগঞ্জ উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯১৮ খ্রিষ

সতীনাথ ভাদুড়ীর সম্পূর্ণ তথ্য

সতীনাথ ভাদুড়ী - ইউসুফ মোল্লা #জন্ম :    ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯০৬, #জন্মস্থান: বিহারের পূর্ণিয়ার ভাট্টাবাজারে অঞ্চলে। পিতা ইন্দুভূষণের আদিবাড়ি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। #পিতা : ইন্দুভূষণ ভাদুড়ী #মাতা: রাজবালা দেবী। #মৃত্যু:     ১৯৬৫ সালের ৩০ মার্চ সতীনাথ ভাদুড়ীর প্রয়াণ ঘটে। মাত্র আটান্ন বছর বয়সে । #শিক্ষাজীবন:     সতীনাথের স্কুলজীবন শুরু হয় পূর্ণিয়া জেলা স্কুলে, ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে পাটনা সায়েন্স কলেজ থেকে আই এসসি পাস করেন। ১৯২৮ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক, ১৯৩০ সালে অর্থনীতিতে এম এ পাশ করেন এবং পরের বছরেই পাটনা আইন কলেজ থেকে বি এল পাশ করেন। #কর্মজীবন:    ১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত সতীনাথ পিতার সহকর্মীরূপে পূর্ণিয়া কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। #রাজনীতি:    স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনি কংগ্রেসের একজন সক্রিয়কর্মী ছিলেন এবং পূর্ণিয়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদকের পদে আসীন ছিলেন ; কিন্তু দলের আভ্যন্তরীন কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে সমাজতন্ত্রী দলে যোগ দেন।      ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে সতীনাথ ভাদুড়ী প্রথমবারের জন্

বুদ্ধদেব বসুর সম্পূর্ণ তথ্য

 বুদ্ধদেব বসু  বুদ্ধদেব বসু   বুদ্ধদেব বসু - ইউসুফ মোল্লা #জন্ম : নভেম্বর ৩০, ১৯০৮ কুমিল্লা, অবিভক্ত ভারতবর্ষ #মৃত্যু : মার্চ ১৮, ১৯৭৪ কলকাতা, ভারত #দাম্পত্যসঙ্গী : প্রতিভা সোম (বিবাহ-পরবর্তীতে : প্রতিভা বসু) #পিতা : ভূদেব বসু #মাতা : বিনয়কুমারী #মাতামহ : চিন্তাহরণ সিংহ #মাতামহী : স্বর্ণলতা সিংহ #শিক্ষাজীবন:        বুদ্ধদেব বসু ১৯২৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯২৫ সালে ঐ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম বিভাগে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আই. এ. পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি থেকে ইংরেজিতে ১৯৩০-এ প্রথম শ্রেণীতে বি. এ. অনার্স এবং ১৯৩১-এ প্রথম শ্রেণীতে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। #কর্মজীবন:    ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা রিপন কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৫২ সালে দিল্লী ও মহিশূরে ইউনেস্কোর প্রকল্প উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৫৩ সালে

বিষ্ণু দের সম্পূর্ণ তথ্য

বিষ্ণু দে - ইউসুফ মোল্লা  #জন্ম: ১৮ জুলাই ,১৯০৯ (২ শ্রাবণ, ১২১৬ বঙ্গাব্দ) কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত(পটলডাঙ্গা) #পিতা : অবিনাশ চন্দ্র দে #মাতা: মনোহারিণী দেবী। #ঠাকুরদা:  বিমলাচরণ দে বিশ্বাস। তিনি ছিলেন মধুসূদন-ভূদেবের বন্ধু। #স্ত্রী : প্রণতি দে। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ১৯৩৪ সালে। #ছদ্মনাম : তিনি মূলত দুটি ছদ্মনামে তাঁর সাহিত্য রচনা করতেন। সেগুলি হল :- ১) "শ্যামল রায়" ২) "বিপ্রদাস মিত্র" [এই ছদ্মনামটি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুও ব্যবহার করেছেন।] #শিক্ষা: কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট এবং সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল-এ পড়াশোনা করেন । ১৯২৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর বঙ্গবাসী কলেজে আইএ পড়তে যান। ১৯৩২ সালে সাম্মানিক ইংরাজি বিষয়ে স্নাতক হন সেন্ট পল্‌স কলেজ থেকে। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে এম এ করেন। #পেশা: ১৯৩৫ সালে তিনি রিপন কলেজে (অধুনা সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) যোগদান করেন শিক্ষক হিসেবে। এরপর তিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি মৌলানা আজাদ কলেজে পড়ান। এরপর তিনি কৃষ্ণনগর সরকার

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য

আ শাপূর্ণা দেবী - ইউসুফ মোল্লা   #কথা_মতো_ভোর_ভোর_চলে_এসেছি #আশাপূর্ণা_দেবীকে_নিয়ে #জন্ম : ৮ ই জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর কলকাতায় মাতুলালয়ে। #পিতা : হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। #মাতা : সরলাসুন্দরী দেবী। #আদি_নিবাস : হুগলি জেলার বেগমপুর। #জীবনসঙ্গী : কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস সেনগুপ্তের সঙ্গে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৫ বছর ৮ মাস বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। #মৃত্যু : ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫।         ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।        বড়োদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী”। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়।       আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।    ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন - “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।     বড়োদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন গ্রন্থ " জল আর আগুন "। ১৯৪০ সালে এটি প

লীলা মজুমদারের সম্পূর্ণ তথ্য

 লীলা মজুমদার - ইউসুফ   মোল্লা #আজ_সকাল_সকাল_চলে_এসেছি #লীলা_মজুমদার_নিয়ে  (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭)         আমাদের দেশে ‘শতায়ু হও’ বলে আশীর্বাদ করা হয়ে থাকে। বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার। তবে শত বর্ষের কাছাকাছি আয়ুতে পৌঁছালে অনেক ক্ষেত্রেই সুখের চেয়ে দুঃখ বেদনাই বেশী থাকে। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী প্রায় পুরো সময়টাকেই লেখা পড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার শেষের প্রায় এক দশক বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু লীলা মজুমদার নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে। বিশেষতঃ শিশু সাহিত্যে লীলা মজুমদার একটি অপ্রতিদ্বন্দী নাম। এখানে লীলা মজুমদারের পূর্ণাঙ্গ জীবন , তাঁর সাহিত্য কর্মগুলির আলোচনার সাথে সাথে তাঁর রচনা বৈশিষ্ট্য ও বর্তমান প্রজন্মে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।  ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি লীলা মজুমদার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা জেলার

সমরেশ বসুর সম্পূর্ণ তথ্য

সমরেশ বসু - ইউসুফ মোল্লা #জন্ম: ১১ই ডিসেম্বর, ১৯২৪ সালে ঢাকার বিক্রমপুরে ।  #পিতৃদত্ত_নাম(প্রকৃত নাম) : সুরথনাথ বসু  #পিতা : মোহিনীমোহন বসু  #মাতা : শৈবালিনী দেবী  #স্ত্রী : গৌরী দেবী  #ছদ্মনাম :  “কালকূট” এবং “ভ্রমর”  #মৃত্যু : ১৯৮৮ সালের ১২ই মার্চ কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে।     সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে “আনন্দ পুরষ্কার” লাভ করেন।     কালকূট ছদ্মনামে লেখা  “শাম্ব”(১৯৭৮) উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে “সাহিত্য আকাদেমি” পুরষ্কার লাভ করেন।      তাঁর প্রথম ছোটগল্প “আদাব” ১৯৪৬ সালে শারদীয়া “পরিচয়” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটিই তাঁর প্রথম রচনা ।     তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস “নয়নপুরের মাটি” ১৯৪৬ সালে রচনা করেন, কিন্তু প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে।      তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস “উত্তরঙ্গ” ১৯৫১ সালে প্রকাশিত হয় 'দেশ' পত্রিকায়।    তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস “দেখি নাই ফিরে” যা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। এটি শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজকে নিয়ে লেখা। তিনি উপন্যাসটি ধারাবাহিক 'দেশ'  পত্রিকায় লিখতে শুরু করেছিলেন । পাঁচটি পর্বের নামকরণও