Skip to main content

বুদ্ধদেব বসুর সম্পূর্ণ তথ্য

 বুদ্ধদেব বসু বুদ্ধদেব বসু বুদ্ধদেব বসু

-ইউসুফ মোল্লা

#জন্ম : নভেম্বর ৩০, ১৯০৮
কুমিল্লা, অবিভক্ত ভারতবর্ষ

#মৃত্যু : মার্চ ১৮, ১৯৭৪
কলকাতা, ভারত

#দাম্পত্যসঙ্গী : প্রতিভা সোম (বিবাহ-পরবর্তীতে : প্রতিভা বসু)

#পিতা : ভূদেব বসু

#মাতা : বিনয়কুমারী

#মাতামহ : চিন্তাহরণ সিংহ

#মাতামহী : স্বর্ণলতা সিংহ

#শিক্ষাজীবন:
       বুদ্ধদেব বসু ১৯২৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯২৫ সালে ঐ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম বিভাগে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আই. এ. পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি থেকে ইংরেজিতে ১৯৩০-এ প্রথম শ্রেণীতে বি. এ. অনার্স এবং ১৯৩১-এ প্রথম শ্রেণীতে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন।

#কর্মজীবন:
   ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা রিপন কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৫২ সালে দিল্লী ও মহিশূরে ইউনেস্কোর প্রকল্প উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গের পেনসিলভেনিয়া কলেজ ফর উইমেনে শিক্ষকতা করেন তিনি। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধদেব বসু তুলনামূলক ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

#পত্রিকা_সম্পাদনা:
    তাঁর ও অজিত দত্তের যৌথ সম্পাদনায় ১৯২৭ - ১৯২৯ পর্যন্ত সচিত্র মাসিক 'প্রগতি' (১৯২৭) মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন এবং 'কল্লোল' (১৯২৩) গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কলকাতায় বসবাসকালে তিনি প্রেমেন্দ্র মিত্রের সহযোগিতায় ১৯৩৫ সালে ত্রৈমাসিক কবিতা (আশ্বিন ১৩৪৪) পত্রিকা সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন। পঁচিশ বছরেরও অধিককাল তিনি পত্রিকাটির ১০৪টি সংখ্যা সম্পাদনা করে আধুনিক কাব্যআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তৃতীয় বর্ষ ১ম সংখ্যা (আশ্বিন ১৩৪৪) থেকে বুদ্ধদেব ও সমর সেন এবং ষষ্ঠ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা (চৈত্র ১৩৪৭) থেকে বুদ্ধদেব বসু একাই এর সম্পাদক ছিলেন।
  ১৯৩৮ সালে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে ত্রৈমাসিক "চতুরঙ্গ" সম্পাদনা করেন।
   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্র অবস্থায় তিনি যে পত্রিকার সম্পাদনা করতেন যা আজও প্রকাশিত হয় – "বাসন্তিকা" পত্রিকা ।

    রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত সব্যসাচী লেখক হিসেবে বিবেচনা করা হয় – বুদ্ধদেব বসুকে ।

    জগদীশ ভট্টাচার্য যথার্থই বলেছেন,
বস্তুত শুধু নিজে অজস্র রূপ ও রীতির কবিতা লিখেই নয়, সহযাত্রী এবং উত্তরসূরি আধুনিক কবি সমাজকে কবি মর্যাদায় সমুন্নীত করে কবিতা সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু একালের বাংলা কাব্যের ইতিহাসে অমর হয়ে রইলেন।

#ছদ্মনাম: বু . ব. এবং  বিপ্রদাস মিত্র

#কবিতা :
মর্মবাণী (১৯২৫),
বন্দীর বন্দনা (১৯৩০),
পৃথিবীর পথে (১৯৩৩),
কঙ্কাবতী (১৯৩৭),
দময়ন্তী (১৯৪৩),
দ্রৌপদীর শাড়ি (১৯৪৮),
শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৩),
শীতের প্রার্থনা: বসন্তের উত্তর (১৯৫৫),
যে-আঁধার আলোর অধিক (১৯৫৮),
দময়ন্তী: দ্রৌপদীর শাড়ি ও অন্যান্য কবিতা (১৯৬৩),
মরচেপড়া পেরেকের গান (১৯৬৬),
একদিন: চিরদিন (১৯৭১),
স্বাগত বিদায় (১৯৭১)

#উপন্যাস :
সাড়া (১৯৩০),
সানন্দা (১৯৩৩),
লাল মেঘ (১৯৩৪),
বাসরঘর (১৯৩৫)
পরিক্রমা (১৯৩৮),
কালো হাওয়া (১৯৪২),
তিথিডোর (১৯৪৯),
নির্জন স্বাক্ষর (১৯৫১),
মৌলিনাথ (১৯৫২),
নীলাঞ্জনের খাতা (১৯৬০),
পাতাল থেকে আলাপ (১৯৬৭),
রাত ভ'রে বৃষ্টি (১৯৬৭),
গোলাপ কেন কালো (১৯৬৮),
বিপন্ন বিস্ময় (১৯৬৯),
রুক্‌মি"" (১৯৭২)

#গল্প :
রজনী হ'ল উতলা(১৯২৬),
অভিনয়,
অভিনয় নয় (১৯৩০),
রেখাচিত্র (১৯৩১),
হাওয়া বদল (১৯৪৩),
শ্রেষ্ঠ গল্প (১৩৫৯),
একটি জীবন ও কয়েকটি মৃত্যু (১৯৬০),
হৃদয়ের জাগরণ (১৩৬৮),
ভাসো আমার ভেলা (১৯৬৩),
প্রেমপত্র (১৯৭২)

#প্রবন্ধ :
হঠাৎ-আলোর ঝলকানি (১৯৩৫),
কালের পুতুল (১৯৪৬),
সাহিত্যচর্চা (১৩৬১),
রবীন্দ্রনাথ: কথাসাহিত্য (১৯৫৫),
স্বদেশ ও সংস্কৃতি (১৯৫৭),
সঙ্গ নিঃসঙ্গতা ও রবীন্দ্রনাথ (১৯৬৩),
প্রবন্ধ-সংকলন (১৯৬৬),
কবি রবীন্দ্রনাথ (১৯৬৬)
সমুদ্রতীর (১৯৩৭),
আমার ছেলেবেলা (১৯৭৩),
আমার যৌবন (১৯৭৩)
আমি চঞ্চল হে (১৯৩৭)
সব পেয়েছির দেশে (১৯৪১)
উত্তর তিরিশ (১৯৪৫)
জাপানি জার্নাল (১৯৬২)
দেশান্তর (১৯৬৬)
কবি রবীন্দ্রনাথ (১৯৬৬)
মহাভারতের কথা (১৯৭৪)
কবিতার শত্রু ও মিত্র (১৯৭৪)

#নাটক :
মায়া-মালঞ্চ (১৯৪৪),
তপস্বী ও তরঙ্গিণী (১৯৬৬),
কলকাতার ইলেক্ট্রা ও
সত্যসন্ধ (১৯৬৮)

#অনুবাদ :
কালিদাসের মেঘদূত (১৯৫৭),
গহীন বালুচর (১৯৫৮),
বোদলেয়ার: তার কবিতা (১৯৭০),
হেল্ডালিনের কবিতা (১৯৬৭),
রাইনের মারিয়া রিলকের কবিতা (১৯৭০)

#ভ্রমণ কাহিনি :
সব-পেয়েছির দেশে (১৯৪১),
জাপানি জার্নাল (১৯৬২),
দেশান্তর (১৯৬৬)

#স্মৃতিকথা :
আমার ছেলেবেলা (১৯৭৩),
আমার যৌবন (১৯৭৬)

#সম্পাদনা :
আধুনিক বাংলা কবিতা (১৯৬৩)

#সম্মাননা :
১৯৭০ সালে পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন।
১৯৬৭ সালে তপস্বী ও তরঙ্গিণী কাব্যনাট্যের জন্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৭৪ সালে স্বাগত বিদায় গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র-পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।

#তথ্য সংগ্রহ:
১)সাহিত্য-সমালোচক বুদ্ধদেব বসু (২০১৩)- হিমেল বরকত
২) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (পঞ্চম খন্ড) -সুকুমার সেন
৩)বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা (চতুর্থ পর্যায়) -শ্রীভূদেব চৌধুরী
৪) অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৫) উইকিপিডিয়া
৬) বিকাশপিডিয়া
৭) বাংলাপিডিয়া
৮) বিভিন্ন ব্লগ
৯) ওয়েবসাইটের নানা পেজ
১০) বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত- মহম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান


Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

লীলা মজুমদারের সম্পূর্ণ তথ্য

 লীলা মজুমদার - ইউসুফ   মোল্লা #আজ_সকাল_সকাল_চলে_এসেছি #লীলা_মজুমদার_নিয়ে  (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭)         আমাদের দেশে ‘শতায়ু হও’ বলে আশীর্বাদ করা হয়ে থাকে। বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার। তবে শত বর্ষের কাছাকাছি আয়ুতে পৌঁছালে অনেক ক্ষেত্রেই সুখের চেয়ে দুঃখ বেদনাই বেশী থাকে। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী প্রায় পুরো সময়টাকেই লেখা পড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার শেষের প্রায় এক দশক বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু লীলা মজুমদার নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে। বিশেষতঃ শিশু সাহিত্যে লীলা মজুমদার একটি অপ্রতিদ্বন্দী নাম। এখানে লীলা মজুমদারের পূর্ণাঙ্গ জীবন , তাঁর সাহিত্য কর্মগুলির আলোচনার সাথে সাথে তাঁর রচনা বৈশিষ্ট্য ও বর্তমান প্রজন্মে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।  ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ...

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য

আ শাপূর্ণা দেবী - ইউসুফ মোল্লা   #কথা_মতো_ভোর_ভোর_চলে_এসেছি #আশাপূর্ণা_দেবীকে_নিয়ে #জন্ম : ৮ ই জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর কলকাতায় মাতুলালয়ে। #পিতা : হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। #মাতা : সরলাসুন্দরী দেবী। #আদি_নিবাস : হুগলি জেলার বেগমপুর। #জীবনসঙ্গী : কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস সেনগুপ্তের সঙ্গে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৫ বছর ৮ মাস বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। #মৃত্যু : ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫।         ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।        বড়োদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী”। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়।       আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।    ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন - “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।     বড়োদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশি...

নবম শ্রেণীর উৎস সন্ধানে

∆সকল গল্প,কবিতা,নাটক,প্রবন্ধের উৎস নির্দেশ∆ #নবম_শ্রেণীর_সাহিত্যসঞ্চয়ন_সাহিত্যসম্ভার_ও_প্রফেসর_শঙ্কুর_ডায়রি **সাহিত্য সঞ্চয়ন নবম শ্রেণী** ১."কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি" কবি - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী । উৎস : চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ড তথা কালকেতুর উপাখ্যান অন্তর্ভুক্ত "কলিঙ্গ দেশে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ"। ২."ধীবর বৃত্তান্ত" লেখক - কালিদাস । উৎস :অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক ।  তর্জমা : সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী । ৩."ইলিয়াস" লেখক : লিও টলস্টয় উৎস : Twenty Three Tales (১৮৮৫) তর্জমা :মণীন্দ্র দত্ত । ৪."সাত ভাই চম্পা" কবি : বিষ্ণু দে । উৎস : সাত ভাই চম্পা । ৫."দাম" লেখক : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় উৎস : ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "তরুণের স্বপ্ন" তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল । ৬."এই জীবন" কবি : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । উৎস : "দেখা হলো ভালোবাসা বেদনায়" । ৭."নব নব সৃষ্টি" লেখক : সৈয়দ মুজতবা আলী । উৎস : এটি "মাম্ দোর পুনর্জন্ম" প্রবন্ধের সম্পাদিত অংশ । মূল ...