বিষ্ণু দে
-ইউসুফ মোল্লা
#জন্ম: ১৮ জুলাই ,১৯০৯ (২ শ্রাবণ, ১২১৬ বঙ্গাব্দ)কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত(পটলডাঙ্গা)
#পিতা : অবিনাশ চন্দ্র দে
#মাতা: মনোহারিণী দেবী।
#ঠাকুরদা: বিমলাচরণ দে বিশ্বাস। তিনি ছিলেন মধুসূদন-ভূদেবের বন্ধু।
#স্ত্রী : প্রণতি দে।
তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ১৯৩৪ সালে।
#ছদ্মনাম :
তিনি মূলত দুটি ছদ্মনামে তাঁর সাহিত্য রচনা করতেন। সেগুলি হল :-
১) "শ্যামল রায়"
২) "বিপ্রদাস মিত্র" [এই ছদ্মনামটি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুও ব্যবহার করেছেন।]
#শিক্ষা: কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট এবং সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল-এ পড়াশোনা করেন । ১৯২৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর বঙ্গবাসী কলেজে আইএ পড়তে যান। ১৯৩২ সালে সাম্মানিক ইংরাজি বিষয়ে স্নাতক হন সেন্ট পল্স কলেজ থেকে। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে এম এ করেন।
#পেশা: ১৯৩৫ সালে তিনি রিপন কলেজে (অধুনা সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) যোগদান করেন শিক্ষক হিসেবে। এরপর তিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি মৌলানা আজাদ কলেজে পড়ান। এরপর তিনি কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজেও অধ্যাপনার কাজ করেছেন।
#মৃত্যু :৩ ডিসেম্বর, ১৯৮২
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
কবি বিষ্ণু দে শৈশবেই রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা সংক্রান্ত রচনাগুলো পাঠ করে এতটাই আলোড়িত হলেন যে, তিনি ঠিক করলেন স্কুলের পড়ালেখাই ছেড়ে দেবেন। ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সব ভুল’ বলে মনে করে তিনি স্কুল জীবনেই চরম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিরোধী হয়ে ওঠেন।
মার্কসীয় তত্ত্বকে জীবনাবেগ ও শিল্পসম্মত করে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য অপরিসীম।
বিষ্ণু দের মধ্যেই প্রথম রাবীন্দ্রিক কাব্যবলয় অতিক্রমণের প্রয়াস লক্ষ করা যায়।
তিরিশের কাব্যধারায় বাংলা কবিতায় নতুন ভাব ও নতুন ভঙ্গি দেখা দেয় । যারা প্রধানত এই নতুন ভাবভঙ্গি এনেছিলেন, তাদের বলা হয় তিরিশের কবি। বিষ্ণু দে এদেরই একজন। অন্যরা হলেন জীবনানন্দ দাশ, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী ও বুদ্ধদেব বসু।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কবি বিষ্ণু দে পালন করেছেন গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।
চলচ্চিত্র সমালোচক বিষ্ণু দে ১৯৭১ সালে তাঁর ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেছিলেন।
'In the sun and the Rain'(১৯৭২) নামে রচনা সংকলনের প্রাপ্য রয়্যালটি তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে দান করেছিলেন।
তিনি ছবিও আঁকতেন।
কবি টি এস এলিয়টের রচনাশৈলী এবং ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।
বিষ্ণু দে প্রবোধচন্দ্র বাগচীর কাছ থেকে ফ্রেঞ্চ শিখেছিলেন।
১৯২৩ সালে কল্লোল পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে যে সাহিত্য আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল কবি বিষ্ণু দে তার একজন দিশারী। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতায় তার অবদান বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে। ১৯৩০ সালে কল্লোলের প্রকাশনা বন্ধ হলে তিনি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের পরিচয় পত্রিকায় যোগদান করেন এবং সেখানে একজন সম্পাদক হিসাবে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।
চঞ্চলকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় ‘সাহিত্যপত্র’ নামে একটি রুচিশীল পত্রিকা সম্পাদনা করেন (১৯৪৮)। তিনি নিজেও 'নিরুক্ত' নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
#বিষ্ণু_দের_কাব্যগ্রন্থসমূহ:
*উর্বশী ও আর্টেমিস (পত্রিকায় প্রকাশিত - ১৯৩২/১৩৪০ এবং গ্রন্থাগারে প্রকাশিত -১৯৩৩)
*চোরাবালি (১৯৩৮/১৩৪৪) এই কাব্যগ্রন্থের অনেক কবিতায় বিশিষ্ট সব মানুষদের কবি স্মরণ করেছেন। প্রথম কবিতা ''ঘোড়সওয়ার'' শ্রীবরেন্দ্রপ্রসাদ রায়কে, দ্বিতীয় কবিতা ''ওফেলিয়া'' আবু সয়ীদ আইয়ুবকে, ''টপ্পা-ঠুংরি'' কবিতা শ্রীসমর সেনকে, ''ক্রেসিডা'' কবিতায় শ্রীহীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করেছেন তিনি।
*পূর্বলেখ (১৯৪১)
*সাত ভাই চম্পা (১৯৪৪)
*সন্দীপের চর (১৯৪৭/১৩৫৪)
*অন্বিষ্ট (১৯৫০/১৩৫৭)
*নাম রেখেছি কোমল গান্ধার (১৯৫০/১৩৫৭)
*আলেখ্য (১৯৫৮/১৩৬৫)
*তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ (১৯৫৮/১৩৬৫)
*স্মৃতি সত্ত্বা ভবিষ্যৎ (১৯৬৩/১৩৭০)(জ্ঞানপীঠ পুরস্কার-১৯৭১)
*সেই অন্ধকার চাই(১৯৬৬/১৩৭৩)
*সংবাদ মূলত কাব্য (১৯৬৯/১৩৭৬)
*ইতিহাসে ট্রাজিক উল্লাসে উল্লাসে (১৯৭০/১৩৭৭)
*রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশে (১৯৭১/১৩৭৮) - ভারতীয় সংস্করণ: ঈশাবস্য দিবানিশা (১৯৭৪)
*ইন দ্য সান অ্যান্ড দ্য রেন(In the sun and the Rain)-(১৯৭২)
*চিত্ররূপমত্ত পৃথিবীর (১৯৭৫/১৩৮২)
*উত্তরে থাকে মৌন (১৯৭৭)
*আমার হৃদয়ে বাঁচো (পত্রিকায়:১৯৮০, গ্রন্থাগারে:১৯৮১/১৩৮৮)
#আত্মজীবনী:
*ছড়ানো এই জীবন
#প্রবন্ধগ্রন্থ:
১) রুচি ও প্রগতি (১৯৪৬)
২) সাহিত্যের ভবিষ্যৎ (১৯৫২)
৩) এলোমেলো জীবন ও শিল্প সাহিত্য (১৯৫৮)
৪) সাহিত্যের দেশ ও বিদেশ(১৯৬২)
৫) রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্য আধুনিকতার সমস্যা (১৯৬৬)
৬) মাইকেল রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য জিজ্ঞাসা (১৯৬৭)
৭) জনসাধারণের রুচি(১৯৭৫)
৮) যামিনী রায়(১৯৭৭)
৯) সেকাল থেকে একাল (১৯৮০)
#ছোটগল্প:
১) পুরানের পুনর্জন্ম-বিপ্রদাস মিত্র ছদ্মনামে লেখা। (প্রগতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়)
২) সৌর ট্রাজেডি
৩) সুর রসিক
৪)বাসর রাত্রি
৫) হিরো পৌরাণিক প্রশাখা
#অনুদিত_কাব্যগ্রন্থ :
১) "সমূদ্রের মৌন"(১৯৪৬) -ফরাসি লেখক ভেরকর Ie silence de le mre অনুবাদ।
২) "এলিয়টের কবিতা" (১৯৫৩/১৩৬০)
৩) "হে বিদেশি ফুল" (১৯৫৬)
৪) তুমি রবে কি বিদেশিনী (১৯৫৮)
#উৎসর্গীকৃত_কাব্যগ্রন্থ :
১) "উর্বশী ও আর্টেমিস" (পত্রিকায় প্রকাশিত : ১৯৩২/১৩৪০ এবং গ্রন্থাগারে প্রকাশিত : ১৯৩৩) - নীরেন্দ্রনাথ রায়কে।
২) "চোরাবালি" (১৯৩৭/১৩৪৪) - রবীন্দ্রনারায়ন ঘোষকে।
৩) "পূর্বলেখ" (১৯৪১) -বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
৪) "সাত ভাই চম্পা" (১৯৪৪) - চিত্রশিল্পী যামিনী রায়কে।
৫) "সন্দীপের চর" (১৯৪৭/১৩৫৪) - কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
৬) "অন্বিষ্ট" (১৯৫০/১৩৫৭) - নবযুগ আচার্যকে।
৭) "নাম রেখেছি কোমল গান্ধার" (১৯৫০/১৩৫৭) - জন অরউইন, মার্টিন ককম্যান, পাসি ও এপ্রিল মার্শালকে।
৮) "আলেখ্য" (১৯৫৮/১৩৬৫) - প্রশান্তচন্দ্র ও নির্মলকুমারী মহলানবীশকে।
৯) "তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ" (১৯৫৮/১৩৬৫) - চঞ্চলকুমার চট্টোপাধ্যায় ও কমলকুমার মজুমদারকে।
১০) "স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" (১৯৬৩/১৩৭০) - শিশুসাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়কে।
১১) "সেই অন্ধকার চাই" (১৯৬৬/১৩৭৩) -অশোক মিত্রকে।
১২) "সংবাদ মূলত কাব্য" (১৯৬৯/১৩৭৬) - শামসুর রহমান ও আবুবকর সিদ্দিকিকে।
১৩) "ইতিহাসে ট্রাজিক উল্লাসে" (১৯৭০/১৩৭৭) - পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও মণীন্দ্র রায়কে।
১৪) "রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশে" (১৯৭১/১৩৭৮) - বাংলাদেশের নবলব্ধু বন্ধুদের।
[এই কাব্যগ্রন্থটির পরিবর্ধিত ভারতীয় সংস্করণ : "ঈশাবস্য দিবানিশা" (১৯৭৪)।]
১৫) "ঈশাবস্য দিবানিশা" (১৯৭৪) - বাংলাদেশের নবলব্ধু বন্ধুদের।
১৬) "চিত্তরূপ মত্ত পৃথিবীর" (১৯৭৫/১৩৮২) - বিরাম মুখোপাধ্যায় ও হীরেন মিত্রকে।
১৭) "উত্তরে থাকা মৌন" (১৯৭৭) - প্রবীরচন্দ্র বসুমল্লিক ও সৌরীন্দ্রনাথ দত্তকে।
১৮) "আমার হৃদয়ে বাঁচো" (পত্রিকায় প্রকাশিত : ১৯৮০, গ্রন্থাগারে প্রকাশিত : ১৯৮১/১৩৮৮) - কালীপদ মিত্র, হৃষিকেশ ঘোষ, পীযূসকুমার বসু, মাধব দে, সুবীর দে, কনকেন্দ্রনাথ মিত্র, রজতেন্দ্রনাথ মিত্র ও কল্যানকুমার দাশগুপ্তকে।
#উৎসর্গীকৃত_অনুবাদ/অনূদিত কাব্যগ্রন্থ :
১) "এলিয়টের কবিতা" (১৯৫৩/১৩৬০) - অপূর্বকুমার চন্দকে।
#সম্পাদিত গ্রন্থ : এ কালের কবিতা।
#অঙ্কন_শিল্পের_উপর_রচিত_গ্রন্থ:
*Art of Jamini Ray (১৯৪৪),
*'The paintings of Rabindranath Tagore' (১৯৫৮),
*'India and Modern Art' (১৯৫৯)
#কবিতার_মূল_উপজীব্য:
মানুষ, তার সংগ্রাম ও রাজনীতি, সেখানে সমকালীন জীবনের, দেশ ও কালের, রাজনীতি ও সমাজের প্রতিধ্বনি। প্রথমদিকে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের দুই সংস্কৃতিরই প্রভাব পড়েছে তার লেখায়। দেশীয় পুরাণ, ইতিহাস, দর্শন, শিল্পসাহিত্য থেকে ইউরোপীয় ক্লাসিক ও আধুনিক শিল্প সাহিত্যের প্রভাব এবং পরে দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানের সময়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, তেভাগা-আন্দোলন ইত্যাদি থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরের ঘটনাবহুল জীবন ও আন্দোলন তার কবিতায় সরাসরি ছায়া ফেলেছে।
ক্যালকাটা গ্রুপ সেন্টারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। সোভিয়েট সুহূদ সমিতি, প্রগতি লেখক শিল্পী সংঘ, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
দীপ্তি ত্রিপাঠি তাঁর "আধুনিক বাংলা কাব্য পরিচয়" শিরোনামের গ্রন্থটিতে বিষ্ণু দে সম্পর্কে বলেন : ‘শুধু সাহিত্য নয় – চিত্র, সংগীত, নৃত্য, নাট্য, শিল্পের বিভিন্ন বিভাগের নব নব আন্দোলন থেকে রস আহরণ করে বিষ্ণু দে-র কবিমানস সমৃদ্ধ। সেজান থেকে পিকাসো, মনে থেকে মাতিস, যামিনী রায় থেকে গোপাল ঘোষ, বালা সরস্বতী ও রুক্সিনি অ্যারুন্ডেল, আইজেনস্টাইন ও সত্মানিসস্নাভস্কি – সকলের সম্বন্ধেই বিষ্ণু দে-র চৈতন্য জাগর।
#কবি_ব্যক্তিত্বের_বৈশিষ্ট্য :
কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত বিষ্ণু দের কবি ব্যক্তিত্বের চারটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন। সেগুলো হল ---
(ক) ''প্রবাহমান ব্যক্তিগত বিকাশের মাধ্যমে 'বৈচিত্র্যের সন্ধান'।"
(খ) "বিষয়াতিরিক্ত কাব্যচর্চা ও নৈর্ব্যক্তিক পুরুষ সিদ্ধি।"
(গ) "অন্তঃপ্রেরণার তাড়নে কবিতা রচনা নয়।"
(ঘ) "ভাবাবেশের উপযোগী বহিরাশ্রমের সন্ধানে আধুনিক সংস্কৃতির দিগ্বিদিক ভ্রমণ।"
#গুরুত্বপূর্ণ_তথ্যাবলী/তথ্যাদি :
* "বিপ্রদাস মিত্র" ছদ্মনামে এই প্রথিতযশা কবির রচিত প্রথম গল্প হল "পুরানের পুনর্জন্ম", যা "প্রগতি" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই গল্লটি ছাড়াও এই প্রথিতযশা কবির রচিত ছোটগল্পগুলির মধ্যে - "সৌর ট্রাজেডি", "সুররসিক", "বাসররাত্রি" প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
*১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে (১৩৭৮ বঙ্গাব্দ) বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর "রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশে" কাব্যগ্রন্থটি।
* "রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশে" (১৯৭১/১৩৭৮) কাব্যগ্রন্থটির পরিবর্ধিত ভারতীয় সংস্করণ হল - "ঈশাবস্য দিবানিশা" (১৯৭৪)।
* তাঁর "আমার হৃদয়ে বাঁচো" কাব্যগ্রন্থটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে এবং গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয় ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে (১৩৮৮ বঙ্গাব্দ)
*"চোরাবালি" কাব্যগ্রন্থে "রিরংসা" কথাটি তিনিই প্রথম ব্যবহার করলেন।
*"য়ুং"-এর উল্লেখও প্রথম তিনিই করলেন।
#পুরস্কার:
১)১৯৫৯ সালে বিষ্ণু দে’কে কবি-সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। ২)সাহিত্য কৃতির জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৬) পান ("স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" কাব্যগ্রন্থের জন্য) ।
৩)নেহেরু স্মৃতি পুরস্কার (১৯৬৭) পান বিষ্ণু দে।
৪) রাষ্ট্রীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৭১) লাভ করেন "স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ" কাব্যগ্রন্থের জন্য।
৫) তিনি ‘রুশতী পঞ্চশতী’র জন্য ‘সোভিয়েত ল্যান্ড পুরস্কার’ পেয়েছেন।
#তথ্যসূত্র:
১. বিষ্ণু দে: অরুণ সেন
২. বিষ্ণু দে: কবিতায় ও শিল্পে- আবুল হাসনাত ও বিশ্বজিৎ ঘোষ
৩.দৈনিক কালের কণ্ঠ
৪.কালি ও কলম
৫. "আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস" (দ্বিতীয় খণ্ড) - অধ্যাপক শ্রী তপনকুমার চট্টোপাধ্যায়।
৬. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৭.সুকুমার সেন
৮. বিভিন্ন ব্লগ
৯. উইকিপিডিয়া
১০. বাংলাপিডিয়া
১১. বিকাশপিডিয়া
১২. ইন্টারনেটের বিভিন্ন পেজ
১৩.আধুনিক বাংলা কাব্য পরিচয়- দীপ্তি ত্রিপাঠী
Comments
Post a Comment