🥤দ্বাদশ শ্রেণীর উৎস সন্ধানে🥤

🎄দ্বাদশ শ্রেণীর সাহিত্যচর্চার  সকল গল্প,কবিতা,নাটক,আন্তর্জাতিক কবিতা,ভারতীয় গল্প,পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থের উৎস একত্রে দেওয়া হলোঃ🎄

📖গল্পঃ📖

১) "কে বাঁচায়, কে বাঁচে"
গল্পকার: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
উৎস: "কে বাঁচায়, কে বাঁচে" গল্পটি কোনো গল্পগ্রন্থে সংকলিত হয়নি।
   এটি প্রথম ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে/১৩৫০ বঙ্গাব্দে সারদাকুমার দাস সম্পাদিত "ভৈরব" পত্রিকার প্রথম বর্ষের শারদ সংখ্যায়  প্রকাশিত হয়।
   পরবর্তীকালে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে পরিমল গোস্বামী সম্পাদিত "মহামন্বন্তর" পত্রিকায় এই গল্পটি স্থান পায়।
   এছাড়া 'মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প' শীর্ষক সংকলনেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

২) "ভাত"
গল্পকার: মহাশ্বেতা দেবী
উৎস: ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে "ম্যানিফেস্টো" পত্রিকায় গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
   পরবর্তীকালে  দে'জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত মহাশ্বেতা দেবীর "শ্রেষ্ঠ গল্প" সংকলনে এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

৩) "ভারতবর্ষ"
গল্পকার: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
উৎস: দে'জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত "সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের শ্রেষ্ঠ ৫০টি গল্প" সংকলন থেকে "ভারতবর্ষ" গল্পটি নেওয়া হয়েছে।

🍁কবিতাঃ🍁

৪) "রূপনারানের কূলে"
কবি:  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উৎস: পাঠ্য কবিতাটি কবি রবীন্দ্রনাথের "শেষ লেখা" কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা।
   ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই মে, রাত্রি ৩টা ১৫ মিনিটে শান্তিনিকেতনের 'উদয়ন' বাড়িতে এই কবিতাটি রচিত হয়েছিল।
  "শেষ লেখা" কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর ঠিক এক বছর পরে, অর্থাৎ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে।

৫) "শিকার"
কবি: জীবনানন্দ দাশ
উৎস: বুদ্ধদেব বসু  সম্পাদিত "কবিতা" পত্রিকার ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যায় জীবনানন্দ দাশ রচিত "শিকার" কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
   এরপর এটি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে/১৩৫১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত "মহাপৃথিবী" কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয়েছিল।
   তবে পরবর্তীতে বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত "বনলতা সেন" কাব্যগ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণেও স্থান পায়।

৬) "মহুয়ার দেশ"
কবি: সমর সেন
উৎস: "মহুয়ার দেশ" কবিতাটি সমর সেনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ "কয়েকটি কবিতা"  থেকে নেওয়া হয়েছে।
  ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ২১ বছর বয়সে কবি এই কবিতাটি লিখেছিলেন।

৭) "আমি দেখি"
কবি: শক্তি চট্টোপাধ্যায়
উৎস:  "আমি দেখি" কবিতাটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের "অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল" কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।     এই কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় জুলাই, ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে/ শ্রাবণ, ১৩৮৭ বঙ্গাব্দে।

৮) "ক্রন্দনরতা জননীর পাশে"
কবি: মৃদুল দাশগুপ্ত
 উৎস: ২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে "সিঙ্গুর" আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা মৃদুল দাশগুপ্ত রচিত "ক্রন্দনরতা জননীর পাশে" কবিতাটি নেওয়া হয়েছে তাঁর "ধানক্ষেত থেকে" নামক কবিতা-পুস্তিকা (কাব্যগ্রন্থ) থেকে গৃহীত।
     এই কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে।

🌺নাটকঃ🌺

৯) "বিভাব"
নাট্যকার: শম্ভু মিত্র
উৎস: 'বহুরূপী' নাট্যদলের প্রযোজনায় এবং শম্ভু মিত্রের পরিচালনায় ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে 'বিভাব' নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
      প্রাথমিকভাবে শম্ভু মিত্রের পরামর্শে একটা আইডিয়ার কাঠামো ঠিক করে নিয়ে, নাটকের কুশীলবেরা যে যার মতো সংলাপ বানিয়ে নাটকটিকে গড়ে তুলেছিল। তবে পরবর্তীতে শম্ভু মিত্র নিজেই এটিকে লিখিত রূপ দিয়েছিলেন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে 'বহুরূপী' নাট্যপত্রে 'বিভাব' নাটকটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
     আরও পরে কুমার রায় সম্পাদিত 'বাংলা একাঙ্ক নাটক সংকলন' এবং শম্ভু মিত্রের 'দুটি নাটক' বইতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

১০) "নানা রঙের দিন"
নাট্যকার: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
উৎস: আন্তন চেখভের 'Swan Song' নামক একাঙ্ক নাটকটির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় 'নানা রঙের দিন' একাঙ্কিকাটি লেখেন। এটিকে তরজমা বা অনুবাদের বদলে পুনর্সৃজন বলাই শ্রেয়।


🍂আন্তর্জাতিক কবিতাঃ🍂

১১) "পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন"
কবি: বের্টোল্ট ব্রেখ্ট[অনুবাদ:শঙ্খ ঘোষ]
 উৎস: আলোচ্য কবিতাটি বের্টোল্ট ব্রেখ্টের "Questions From A Worker Who Reads" নামক কবিতাটির বাংলা অনুবাদ।
    এই কবিতাটি শঙ্খ ঘোষের অনুবাদ কবিতার সংকলন "বহুল দেবতা বহু স্বর" থেকে নেওয়া।
      এখানে ব্রেখ্টের মোট চোদ্দোটি কবিতা অনূদিত হয়েছে।



🌺ভারতীয় গল্পঃ🌺

১২) "অলৌকিক"
গল্পকার: কর্তার সিং দুগগাল[অনুবাদ: অনিন্দ্য সৌরভ]
 উৎস: কর্তার সিং দুগগালের ইংরেজি  ভাষায় লেখা 'The Miracle' নামক গল্পটি 'অলৌকিক' নামে বাংলায় অনুবাদ করেছেন  অনিন্দ্য সৌরভ।
      এই গল্পটি "জ্যোৎস্না রাতের ট্র্যাজেডি" নামক গল্প-সংকলন থেকে নেওয়া।

🌷পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থঃ🌷

১৩) "আমার বাংলা"
লেখক: সুভাষ মুখোপাধ্যায়
উৎস: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে 'জনযুদ্ধ' পত্রিকায় প্রথমে কিছু বাংলা গদ্য রচনা করেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
    এই লেখাগুলিই ১৯৫১ সালে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভ্রমনমূলক লেখা  হিসাবে "আমার বাংলা" নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
     এখানে মোট এগারোটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়।

    কয়েকটি রচনা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং লেখকবন্ধু দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত মাসিক "রংমশাল" পত্রিকায়।

      সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর "আমার বাংলা" গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন "বাংলা দেশের জেলখানায় বন্দি কাশ্মীরের ছেলে জলিমোহন কলকে"।


  🌹সংগ্রাহকঃ ইউসুফ মোল্লা🌹
      অ্যাডমিন, স্কুল শিক্ষক, পত্রিকা সম্পাদক, বিভিন্ন গ্রন্থের লেখক, সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটার, অভিনেতা
সরাসরি যোগাযোগ🗣📲📞 (+91) 7908778177/8436871092

[3/11, 11:18 AM] You Suf: [3/11, 11:20 AM] You Suf: [3/11, 11:31 AM] You Suf: