Skip to main content

আরাকান রাজসভার গোপন ইতিহাস (দৌলত কাজী, সৈয়দ আলাওল)

প্রথমেই আসি আরাকান রাজসভার আলোচনায়। আরাকানের অধিবাসীদের "মগ" বা "মঘ" বলা হয়। যেহেতু এদের পূর্বসূরীরা "মগধ" থেকে এসেছিলেন,তাই তাদের মগ বলা হয়। একটা রাজবংশ থেকে আসার জন্য অনেক সমালোচক রাজবংশীও বলে থাকেন। কিন্তু সবর্ত্র সন লেখার সময় "মঘী" সন লেখা হয়ে থাকে।তাই বাকি আলোচনাতে আমি(ইউসুফ মোল্লা) "মঘ" শব্দের ব্যবহার করাকে সমীচীন মনে করেছি।

  আশ্চার্যের বিষয় যখন জ্ঞানদান, গোবিন্দ দাস, নরহরি সরকার,যদুনন্দন দাস,প্রেমদাস,কবিশেখর প্রভৃতি খ্যাতনামা কবিগণ দেবদেবীর বন্দনা ছাড়া অন্য কিছু রচনার কথা ভাবতে পারেন নি, তখন আরাকান রাজসভার মুসলমান কবিদের হাতে প্রথম দেবদেবী ছেড়ে মানুষের কথা উঠে এলো। যার ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা নতুন রূপ ও নবীন প্রেরণা লাভ করলো।

   সুলায়মান (৮৫১ খ্রিস্টাব্দে জীবিত),আবু জায়দুল হাসান,ইবনু খুরদবা(মৃত ৯১২ খ্রিস্টাব্দে),আল মাসূদী(মৃত ৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে),ইবনু হাওকল,আল ইদরিসী প্রভৃতি প্রাচীন আরব পরিব্রাজক ও ভৌগোলিকদের লিখিত বিবরণ থেকে জানা যায় যে, আরব বণিকরা বাণিজ্য করতে এসে "রামরী" দ্বীপে জাহাজ ভেঙে যাওয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং আরাকান রাজের কাছ থেকে থাকার অনুমতি নিয়ে নেয় সেখানে বসবাস শুরু করেন। একসময় জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ক্ষুদ্র অঞ্চলে ক্ষুদ্র রাজ্য স্থাপন করেন।আর তার অধিপতি "সুলতান" নামে পরিচিতি লাভ করে।পরে সেখানকার সুলতান ৎচন্দয়অ ৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যের সীমানা বাড়াতে বাড়াতে বাঙ্গালা জয় করতে থাকে। শেষে পাত্র- মিত্রের অনুরোধে চেত্তগৌং অর্থাৎ চট্টগ্রাম নামে বিজয় স্তম্ভ স্থাপন করে ফিরে যান। তাদের মতে চেত্তগৌং শব্দের অর্থ যুদ্ধ করা অনুচিত। আধুনিক চট্টগ্রাম জেলার নাম,এই চেত্তগৌং শব্দ থেকেই এসেছে। তারা "মঘের মুলুক" বানিয়ে ফেললেও, একটা আশ্চর্য বিষয় হলো- "বুদ্ধের মোকাম" নামক এক অদ্ভুত মসজিদ বানিয়েছিলেন, যেখানে বৌদ্ধ,চীনা ও মুসলমান জাতি সমানভাবে সন্মান প্রদর্শন করেন। এইভাবে আসামের সীমা থেকে মালয় উপদ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা রোসাঙ্গ অর্থাৎ আরাকান হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে লাগলো।

উনিশ শতকের শেষভাগে হাতে লেখা পুঁথি সংগ্রহের ব্যাপক প্রচেষ্টায় ড. দীনেশচন্দ্র সেন প্রমূখ উদ্যোগী হলে সেখানেও মুসলমান কবিদের রচনা উপেক্ষিতই থেকে যায়। পরবর্তীতে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ উদ্যোগ গ্রহণ না করলে হয়তো বা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মুসলমান কবিগণের বিস্ময়কর অবদানের কথা আজও অনুদঘাটিতই থেকে যেতো। বলা যায় তিনিই প্রথম উদ্যোগী হয়ে মুসলমানদের রচিত বাংলা সাহিত্যের বিশাল ভাণ্ডার উদঘাটন করতে সক্ষম হন এবং বাংলাদেশের গবেষকদের আন্তরিক ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বমহিমায় অধিষ্ঠত হন মুসলমান কবিগণ। আরাকান অঞ্চলটি বর্তমানে মিয়ানমারের ‘রাখাইন স্টেট’ নামে পরিচিত একটি প্রদেশ। এটি এক সময়ের স্বাধীন রাজ্য এবং মুসলমানদের শান্তিময় বাসস্থান ছিল। ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বার্মারাজা বোদাপায়া আরাকান দখল করে বার্মার অধীনে নেন। এর আগে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে আরাকানের স্বাধীন সত্তা, সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা ও রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ইতিহাস পাওয়া যায়। ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খান কর্তৃক দখল করার আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম অঞ্চলও আরাকানের অধীনে ছিল।

  বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার বাইরে বর্তমান মিয়ানমার তথা বার্মার অন্তর্ভুক্ত আরাকান রাজ্যে বাংলা কাব্য তথা সাহিত্য চর্চার বিষয়টি ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সংস্কৃতে আরাকানকে ‘রোসাঙ্গ’ বা ‘রোসাং’ নামে উল্লেখ করা হয়। বার্মার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে ও বাংলাদেশের চট্টগ্রামের দক্ষিণে এর অবস্থান। ‘আইন-ই-আকবরী’তে এ অঞ্চলটিকে ‘আখরঙ’ নামে অবিহিত করা হয়েছে।

শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসে এই প্রবাসী বাঙালি সমাজের পরিচয় পাওয়া যায়।

 লেখক ও সমালোচক সলিমুল্লাহ খানের মতে-
"আরাকানের রাজারা পঞ্চদশ শতাব্দীতে যখন ক্ষমতা হারায়, তাদের সিংহাসন উদ্ধার করে দিয়েছে বাংলার রাজারা। এটা ১৪৩০ সনের কথা। এরপর থেকে আরাকান রাজসভায় বাংলাই ছিল, বলা যেতে পারে, এক নম্বর রাজ ভাষা।"

সপ্তদশ শতাব্দীতে রোসাঙ্গ রাজ্যের যেসকল মুসলমান সভাসদ বাঙ্গালা ভাষার চর্চায় স্বজাতীয় কবিকে নিয়োজিত করে মাতৃভাষার উৎকর্ষ সাধন করেছিলেন,সেই রোসাঙ্গ-রাজদের নাম নিম্নে দিলামঃ
১)শ্রীসুধর্ম্মা রাজা (থিরী থু-ধম্মা রাজা)- ১৬২২-১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ।
২)মিন্ সানি-১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ (২৮ দিন মাত্র)।
৩)নৃপতিগিরি(নরপদিগ্যি)-১৬৩৮-১৬৪৫ খ্রিস্টাব্দ।
৪)ছদো উমাদার (থদো মিন্তার)- ১৬৪৫-১৬৫২ খ্রিস্টাব্দ।
৫) চন্দ্র সুধর্ম্মা (সান্দ থুধম্মা)-১৬৫২-১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দ।

দৌলত কাজী বা কাজী দৌলত নামে সবাই যাকে চেনে। আমি (ইউসুফ মোল্লা) আলোচনার সুবিধার্থে সর্বত্র দৌলত কাজী ব্যবহার করবো। কবি দৌলত কাজী চট্টগ্রামের রাউজান থানার অন্তর্গত সুপ্রসিদ্ধ সুলতানপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় প্রাচীন লোকদের থেকে জানতে পারা যায়, কবি অল্প বয়সেই নানা শাস্ত্রে সুপন্ডিত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তরুণ বয়স বলে ঐ অঞ্চলের বৃদ্ধ পন্ডিতগণ তাঁর পান্ডিত্য স্বীকার করতেন না। এইজন্য তিনি মাতৃভূমি ত্যাগ করে আরাকান রাজসভায় চলে যান। আরাকান রাজসভায় তখন বহু পন্ডিতের সমাগম ছিল। আরাকান রাজার প্রধান অমাত্য আশরাফ খান সভা করে কাব্যালোচনা করতেন। একদা রাজসভায় পন্ডিতদের মধ্যে "সাধন" নামক কোন কবির ঠেঠ হিন্দি ভাষায় বিরচিত,চৌপদী ও দোহার ছন্দে লিখিত "সতী ময়না" কাব্যালোচনা প্রসঙ্গে ভীষণ তর্ক বেঁধে গিয়েছিল। অনেকক্ষণ ধরে তর্কের সুমীমাংসা না হওয়ায়, কবি দৌলত কাজী সমস্যার সমাধান করতে পারবেন বলে মত প্রকাশ করেন। পন্ডিতগণ তরুণ বয়স্ক কবির কথাকে মূর্খ বালকের ধৃষ্টতা বলে উপহাস করতে থাকে,রাজমন্ত্রী কবিকে ঐ বিষয়ে মত প্রকাশ করতে আদেশ দেন। কবি অতি সুন্দরভাবে সমস্যাটির সমাধান করে সভাস্থ সকলকে তাঁহার পান্ডিত্যে মুগ্ধ করে দেন।

কবি দৌলত সম্ভ্রান্ত "কাজী" বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কবি অল্পবয়সে দেহত্যাগ। তাই সম্ভবত কবি নিঃসন্তান ছিলেন।

খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে কবি জন্মগ্রহণ করেছিলেন; কেননা তিনি রোসাঙ্গ-রাজ শ্রীসুধর্ম্মার আমলে অর্থাৎ ১৬২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তদীয় লস্কর উজীর অর্থাৎ সমর সচিব আশরফ খাঁর আদেশে সতী ময়না কাব্য রচনা করতে আরম্ভ করেছিলেন। কবি তাঁর কাব্যের শুরুতে এই আরাকান রাজ শ্রীসুধর্ম্মা ও তাঁর সমর সচিব আশরফ খাঁর প্রশংসা কীর্ত্তনে পঞ্চমুখ। একটা শ্লোক দিয়ে বিষয়টি পরিস্কার করছি-
"কর্ণফুলী নদী পূব্বে আচে এক পুরী।
রোসাঙ্গ নগর নাম স্বর্ণ অবতারী।।
তাহাতে মগধবংশ ক্রমে বুদ্ধাচার।
নাম শ্রীসুধর্ম্মা রাজা ধর্ম্ম অবতার।।
প্রতাপে প্রভাত ভানু বিখ্যাত ভুবন।
পুত্রের সমান করে প্রজার পালন।।
পুণ্যফলে দেখে যদি রাজার বদন।
নারকিহ স্বর্গ পাএ সাফল্য জীবন।।
  * * *
মুখ্যপাত্র শ্রীযুক্ত আশরফ খান।
হানাফী মোজহাব ধ'র চিস্তিয়া খান্দান।।
* * *
শ্রীআশরফ খান লস্কর উজীর।
যাহার প্রতাপ বজ্রে চুর্ণ অরি শীর।।"(সতী ময়না)

দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো কবি অল্প বয়সেই মারা যান,তাই সতী ময়না কাব্য সমাপ্ত করতে পারেন নি। তিনি যে অল্প বয়সেই মারা গিয়েছিলেন তার প্রমাণ আমরা পাই আলাওল কর্তৃক সতী ময়নার সমাপ্তির তারিখ সূচক শ্লোক দেখে-
"মুসলমানী সক সংখ্যা শুন দিআ মন।
অল্প ভাবিলে পাইবা বুদ্ধিমন্ত জন।।
সিন্ধু শূন্য দেখিআ আপনা দুই দিগে।
সুত কলানিধিরে রাখিলা বাম ভাগে।।
মগদের সনের শুনহ বিবরণ।
যুগ শূন্য মধ্যে যুগ বামে মৃগাঙ্কন।।"(সতী ময়না)
অর্থাৎ আলাওল এই কাব্য যথাক্রমে ১০৭০ হিজরী অর্থাৎ ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে ও ১০২০ মঘীতে(১০২০+৬৩৮=১৬৫৮খ্রিঃ) সমাপ্ত করেছিলেন। দৌলত কাজী শ্রীসুধর্ম্মার রাজত্বের (১৬২২-১৬৩৮) শেষ বছর পর্যন্ত বাঁচলেও দেখা যাবে দৌলত কাজীর মৃত্যুর ২১ বছর (১৬৫৯-১৬৩৮=২১) পরে তাঁহার অসমাপ্ত কাব্য আলাওল কর্তৃক সমাপ্ত হয়েছিল। তাই দৌলত কাজী ৩৮ বছরের বেশি বাঁচেন নি বলে মনে হয়।

অনেক সমালোচক আনুমানিক ১৫৮০ সালে জন্ম আর ১৬৩৮ সালে মৃত্যু বলে মনে করেন। এই ভ্রম হওয়ার কারণ কবি নিজের সম্পর্কে কিছু বলে যাননি। সমালোচকরা মনে করেন আরাকান রাজ্যের আকিয়াবের কোনো এক স্থানে তাঁর কবর আছে।

[5/3, 4:21 PM] You Suf: google.com, pub-9150759165799348, DIRECT, f08c47fec0942fa0 [5/3, 4:21 PM] You Suf: [5/3, 4:21 PM] You Suf:
[5/3, 4:21 PM] You Suf: [5/3, 4:21 PM] You Suf:

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পূর্ণ তথ্য

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় 🍄 তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়🍄 ✒কলমেঃ ইউসুফ মোল্লা 🍁 জন্ম: ২৫ জুলাই, ১৮৯৮ (৮ শ্রাবণ, ১৩০৫ বঙ্গাব্দ) 🍁 জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে। এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। যদিও সেটা ক্ষয়িষ্ণু ছিল। পরে ১৯৪০ সালে তিনি ও তাঁর পরিবার নিয়ে কলকাতার বাগবাজারে চলে আসেন এবং ১৯৪১ সালে চলে যান বরানগরে। 🍁 পিতা: হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। (বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ হলে তিনি মা ও বিধবা পিসির কাছে পালিত হয়)। 🍁 মাতা: প্রভাবতী দেবী 🍁পত্নী: উমাশশী দেবী (১৯১৬ সালে বিবাহ হয়) 🍁পিসিমা: শৈলজা দেবী(ধাত্রীদেবতা উপন্যাসে অমর হয়ে আছেন) 🍁মৃত্যু: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ 🍁নামকরণের তাৎপর্য: লেখকের জন্মের আগেই তাঁর বড়োভাই মৃত্যুবরণ করেন। তাই, 'তারা' মায়ের পূজো করেন। সেই পূজোর ঠিক দশমাস পরেই জন্ম নিয়েছিলেন বলে মায়ের প্রতি সন্মান রেখে নামকরণ করা হয় তারাশঙ্কর। 🍁তারাশঙ্কর বিভ্রান্তি: 'শ্রীময়ী' উপন্যাসের জনকও শ্রীতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ইনি আমাদের আলোচিত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নন। তাই একই নামেই দুজন তারাশঙ্করের আবির্ভ

বনফুলের সম্পূর্ণ তথ্য

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল)  - ইউসুফ মোল্লা( কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)  #জন্ম: ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই। #জন্মস্থান: বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বনফুলের পূর্বপুরুষদের আদি নিবাস ছিল হুগলি জেলার শিয়ালখালায়। #পিতা: সত্যচরণ মুখোপাধ্যায়। তিনি পূর্ণিয়া জেলার মণিহারী ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন। #মাতা: মৃণালিনী দেবী। #ছোট ভাই: অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় #ভ্রাতুষ্পুত্র: অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় #স্ত্রী: লীলাবতী বন্দ্যোপাধ্যায়(মুখোপাধ্যায়) #সন্তান: #বড়োমেয়ে: কেয়া মুখোপাধ্যায় #বড় ছেলে: অসীম মুখোপাধ্যায় #ছোটছেলে: রঞ্জন মুখোপাধ্যায় #ছোটমেয়ে: করবী মুখোপাধ্যায় (স্বামী: কাজলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের) #মৃত্যু: ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি কলকাতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। #ছদ্মনাম: বনফুল #সম্পাদনা:   ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত 'বিকাশ' নামে হাতে-লেখা একটি সাহিত্য পত্রিকা। #শিক্ষাজীবন:       তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় প্রথমে মণিহারী স্কুলে। পরে সাহেবগঞ্জ উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯১৮ খ্রিষ

নবম শ্রেণীর উৎস সন্ধানে

∆সকল গল্প,কবিতা,নাটক,প্রবন্ধের উৎস নির্দেশ∆ #নবম_শ্রেণীর_সাহিত্যসঞ্চয়ন_সাহিত্যসম্ভার_ও_প্রফেসর_শঙ্কুর_ডায়রি **সাহিত্য সঞ্চয়ন নবম শ্রেণী** ১."কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি" কবি - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী । উৎস : চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ড তথা কালকেতুর উপাখ্যান অন্তর্ভুক্ত "কলিঙ্গ দেশে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ"। ২."ধীবর বৃত্তান্ত" লেখক - কালিদাস । উৎস :অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক ।  তর্জমা : সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী । ৩."ইলিয়াস" লেখক : লিও টলস্টয় উৎস : Twenty Three Tales (১৮৮৫) তর্জমা :মণীন্দ্র দত্ত । ৪."সাত ভাই চম্পা" কবি : বিষ্ণু দে । উৎস : সাত ভাই চম্পা । ৫."দাম" লেখক : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় উৎস : ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "তরুণের স্বপ্ন" তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল । ৬."এই জীবন" কবি : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । উৎস : "দেখা হলো ভালোবাসা বেদনায়" । ৭."নব নব সৃষ্টি" লেখক : সৈয়দ মুজতবা আলী । উৎস : এটি "মাম্ দোর পুনর্জন্ম" প্রবন্ধের সম্পাদিত অংশ । মূল