💝অজানা কিছু প্রশ্ন-উত্তর💝
1.বৈষ্ণব পদাবলী 'পদ 'শব্দটি প্রথম কে, কোথায় ব্যবহার করেছেন?
উঃকবি জয়দেব, তাঁর "গীতগোবিন্দমে" এটি উল্লেখ করেন
2.কে বেহুলাকে 'খন্ড কপালিনী ' বলে গালি দিয়েছেন?
উঃশাশুড়ি সনকা বেহুলাকে গালি দেয় –
সিঁতার সিঁদুরে তোর না পড়িল কালি ।।
পরিধান বস্ত্রে তোর না পড়িল মলি ।
পায়ের আলতা তোর না পড়িল ধূলি ।।
খন্ড কপালিনী বেহুলা চিরুণী দাঁতী ।
বিভাদিনে খাইলি পতি না পোহালে রাতি
3.কোন গ্রন্থে সৈয়দ আলাওল তাঁর জীবনের কাহিনী বর্ণনা করেন?
উঃপদ্মাবতী ও সেকন্দরনামাতে
4.কোথায় বসে কাশীরাম দাস মহাভারত অনুবাদ করেন?
উঃমেদনীপুর জেলার আউসগড় নামকস্থানে তিনি নিমবাগ করতেন ! সেইসময় তিনি কথক পন্ডিতদের মুখে অমৃত সমান মহাভারতের কাহিনী শুনে মহাভারত অনুবাদ করার প্রেরণা লাভ করেন ! আর সেখানেই বসে এটি অনুবাদ করেন।
5.কৃষ্ণদাস কবিরাজের জীবনী কোন গ্রন্থ থেকে জানা যায়?
উঃবৃন্দাবন দাসের "চৈতন্যভাগবত"-এ
6.বৃন্দাদাস চৈতন্যজীবনী ছাড়া আর কোন গ্রন্থ রচনা করেন?
উঃনিত্যানন্দবংশবিস্তার
7.শ্রীরুপ গোস্বামীর আসল নাম কী?
উঃসন্তোষ গোস্বামী(সাকর মল্লিক)
আর উপাধি ছিল-দবীর খাস
8.ড: ক্ষেত্রগুপ্ত রবীন্দ্রনাথের কোন ছোট গল্পের কোন নায়িকাকে "বাংলা সাহিত্যের প্রথম নি:সঙ্গ মানুষ " বলেছেন?
উঃ"জীবিত ও মৃত" গল্প।
কাদম্বিনী চরিত্র।
9.ইংল্যান্ডের পত্রকাব্য রচয়িতার নাম কি?
উঃ স্যামুয়েল ড্যানিয়েল।
10.জাগরী উপন্যাসের বিলুর আসল নাম কি?
উঃনীলু ও বিলু--দুজনের ডাক নাম। বিলুর আসল বা পুরো নাম বিপ্লব। বিলু ম্যাট্রিক পাশ করলো কিন্তু আশ্রমের আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাকে আর কলেজে পড়ানো চলল না। কাশী বিদ্যাপীঠে পড়ে সে শাস্ত্রী উপাধি পেল।
11.শরৎচন্দ্র কোন গল্পের জন্য 'কুন্তলীন 'পুরস্কার পান?
উঃ'মন্দির' নামে একটি গল্প লিখে ১৯০৩ সালে 'কুন্তলীন' প্রতিযোগিতায় পাঠালে তা বিজয়ী ঘোষিত হয়।
12.বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত উপন্যাস কোনটি?
উঃঅশনি সংকেত(অসমাপ্ত, ১৩৬৬ বঙ্গাব্দ)। এবং তাঁর আরো কিছু মৃত্যুর পর প্রকাশিত গ্রন্থ নিচে দিলাম---রূপ হলুদ (১৯৫৭,মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
অনুসন্ধান (১৯৬০,বঙ্গাব্দ ১৩৬৬, মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
ছায়াছবি (১৯৬০,বঙ্গাব্দ ১৩৬৬, মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
13.'সত্যমেব জয়তে '---উক্তিটি কোন গ্রন্থ থেকে গৃহিত?
উঃসত্যমেব জয়তে মার্কণ্ড উপনিষদের একটি মন্ত্র।১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় এই মন্ত্রটিকে জাতীয় রাজনীতিতে নিয়ে এসে জনপ্রিয় করেন। এই মন্ত্রটি দেবনাগরী হরফে ভারতের জাতীয় প্রতীকের নিচের অংশে এবং সমস্ত ভারতীয় মুদ্রায় লেখা থাকে।
14.বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কবি কে?
উঃসুকুমার সেন, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় আরো অনেকেই স্বীকার করেছেন লুই পাদ আদি কবি। কারণ হিসাবে বলেছেন, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ, আর যেখানে লুই পাদ প্রথম কবি। এছাড়া নীহাররঞ্জন দাশগুপ্ত চর্যাপদের রচনাকাল সম্পর্কে বলেন, লুই পাদ দশম শতাব্দীর কবি আর কাহ্ন পাদ দ্বাদশ শতাব্দীর কবি, এঁরা প্রথম ও শেষ কবি। কিন্তু ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে - আদি কবি শবর পা । তিনি লুইপাদের গুরু।
15.ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গল কাব্য কে কবে কোথা থেকে প্রকাশ করেন?
উঃ১৮৪৪ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য
16.মঙ্গল কাব্য ধারার কোন কবি স্বপ্নাদিষ্ট না হয়ে মঙ্গল কাব্য রচনা করেছেন?
উঃনবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের অনুরোধে ভারতচন্দ্র কৃষ্ণনগর গেলে রাজা তাঁকে চল্লিশ টাকা বেতন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। তাঁর আদেশে ভারতচন্দ্র ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর রচনা প্রণালীতে অন্নদামঙ্গল রচনা করতে শুরু করেন। এই একমাত্র কবি, যিনি কিনা কোনো দেবীর আদেশে গ্রন্থ রচনা করেন নি মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্য ধারায়।
17.'শিলাসন ' গল্পগ্রন্থের রচয়িতা---(ক)মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, (খ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, (গ)তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, (ঘ)সুভাষ মুখোপাধ্যায় ।
উঃ গ) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
18.'শ্রীমধুব্রত 'ছদ্মনামটি কোন কবির?
উঃমোহিতলাল মজুমদার
19.তারাশঙ্কর রচিত 'আরোগ্য নিকেতন 'উপন্যাসের পূর্ব নাম কি ছিল?
উঃসঞ্জীবনী ফার্মেসি
20.হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় 'রসিক মোল্লা 'ছদ্মনামে কি রচনা করেছেন?
উঃহুতুম প্যাঁচার গান----আশ্বিন,১২৯১
21.'রুপনারায়নের কূলে ' --- কার আত্মজীবনী?
উঃগোপাল হালদার
22.'বিদায়বানী ' কার অসমাপ্ত উপন্যাস এবং এটি কে সমাপ্ত করেন?
উঃবিদায় বাণী -- উপন্যাস ,৬ পৌষ ১৩৩৭ সালের আশ্বিন হইতে ১৩৩৮ সালের চৈত্র-সংখ্যা পর্য্যন্ত ‘মাসিক বসুমতী’তে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত। প্রভাতকুমার ইহা সম্পূর্ণ করে যেতে পারে নি । পুস্তকের ১৫২ পৃষ্ঠা পৰ্য্যন্ত প্রভাতকুমারের রচনা ; বাকী অংশ শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের ।
23.বাংলা সাহিত্যে প্রথম ব্যাকরন বই এর নাম কি?
উঃএকরকম প্রয়োজনের তাগিদেই পর্তুগিজ ধর্মযাজক মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ (Manoel da Assumpcam) পর্তুগিজ ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
ম্যানওয়েল দ্যা আসসুম্পসাঁও রচিত “কৃপার
শাস্ত্রের অর্থভেদ” (রচনাকাল – ১৭৩৪,
প্রকাশকাল - ১৭৪৩)।
24.অমৃতলাল বসুর নাট্য গুরু কে ছিলেন?
উঃঅর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফি
25.শব্দকল্পদ্রুম ' কী?
উঃশব্দকল্পদ্রুম সংস্কৃত অভিধান। সংকলক রাজা রাধাকান্ত দেব (১৭৮৩-১৮৬৭) এবং সম্পাদক করুণাসিন্ধু বিদ্যানিধি। সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরের পরিশ্রমে আট খন্ডে এ কোষগ্রন্থটি সংকলিত হয়। সংকলনের কাজ শুরু হয় ১৮০৩ সালে। প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয় ১৮১৯ সালে এবং সর্বশেষ অষ্টম খন্ড পরিশিষ্ট খন্ড হিসেবে প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ সালে।
‘কল্পদ্রুম’ শব্দের অর্থ কল্পবৃক্ষ, অর্থাৎ যে বৃক্ষের নিকট যা কামনা করা হয় তা-ই পাওয়া যায়। কথিত আছে, এমন কোনো সংস্কৃত শব্দ নেই যা এ কোষগ্রন্থটিতে পাওয়া যায় না। তাই এর নাম রাখা হয় ‘শব্দকল্পদ্রুম’। সংস্কৃত ভাষায় গদ্যে রচিত সর্ববৃহৎ এ অভিধানটি বাংলা হরফে মুদ্রিত। এতে প্রতিটি সংস্কৃত শব্দের অর্থ, ব্যুৎপত্তি এবং সংস্কৃত ভাষায় তার প্রয়োগ দেওয়া আছে।
তৎকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত এবং সংস্কৃত গ্রন্থের পঠন-পাঠনের প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে রাধাকান্ত দেব গ্রন্থটি প্রণয়নে ব্রতি হয়েছিলেন। তাই গ্রন্থটি সংস্কৃত স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষক, আদালতের আইনজীবী-বিচারক এবং সংস্কৃত গ্রন্থের পাঠকদের নিকট ব্যাপক সমাদর লাভ করে। পন্ডিতমহলে রাধাকান্ত দেবের পান্ডিত্য এবং দুরূহ অধ্যবসায়ের কথা প্রচারিত হয়। রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি এবং ভারতবিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গ তাঁকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে KCSI (Knight Commander of the Star of India) এবং ‘রাজা বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। রাধাকান্ত দেবের পরে আজ অবধি এমন আর দ্বিতীয় কোনো সংস্কৃত অভিধান রচিত হয়নি।
26.'পথের দাবী ' উপন্যাস কবে বাজেয়াপ্ত হয়?
উঃপথের দাবী ধারাবাহিক ভাবে বঙ্গবাণী পত্রকায় বের হত। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ছিল পত্রিকার অফিস। পুলিশ কমিশনারের চিঠি ও নোট অনুযায়ী তদানিন্তন চিফ সেক্রেটারি পথের দাবীকে 'বিষময়' বলে উল্লেখ করেন। ১৯২৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এডভোকেট জেনারেল ব্রজেন্দ্রনাথ মিত্র মত দেন যে পথের দাবী দেশদ্রোহকর ও বাজেয়াপ্তযোগ্য। ১৯২৭ এর ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে পথের দাবী নিষিদ্ধ হয়।গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৬
27.কোন কবির রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যের সূচনায় সম্রাট আকবরের নাম উল্লেখ আছে?
উঃমাধবাচার্য
28.কে কোন কাব্যে নিজেকে 'কবি বিধুসূত ' বলেছেন?
উঃদ্বিজ রামদেব, চন্ডীমঙ্গলে
29.ষষ্ঠীবর দত্তের কাব্য কার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়?
উঃবিরজাকান্ত ঘোষ
30.কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যকে 'মনসা ভাসান ' কে বলেছেন?
উঃরামগতি ন্যায়রত্ন
31.মঙ্গলকাব্যের 'গবেষক নামে কে পরিচিত?
উঃআশুতোষ ভট্টাচার্য
32.শরৎচন্দ্রের প্রথম আত্মপ্রকাশ কোন পত্রিকায়?
উঃভারতী>বড়দিদি
33.'সোনার চেয়ে দামি '--উপন্যাস টি কার লেখা?
উঃমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
34.শ্রীকৃষ্ণবিজয় ' কাব্য কে সম্পাদনা করেন?
উঃকেদারনাথ দত্ত
35."আধুনিক ভারতের পানিনী "----কোন ভাষাতাত্ত্বিক কে বলা হয়?
উঃসুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
36.কোন গ্রন্থ থেকে জীবনানন্দ দাসগুপ্ত থেকে 'গুপ্ত ' বজন করেন?
উঃঝরাপালক (১৯২৭)
37.মধ্যযুগের একমাত্র ঐতিহাসিক কাব্যের নাম কি?
উঃগঙ্গারামের 'মহারাষ্ট্র পুরাণ '।
38.বাংলায় লেখা প্রথম নাটকের নাম কী?
উ:১৮৪০ খ্রি : বিশ্বনাথ ন্যায়রত্নের 'প্রবোধচন্দ্রোদয় '।
39.'সারদামঙ্গল 'নামে রামকাহিনী রচনা করেছেন কোন কবি?
উঃদ্বিজ মাধব
40.কার মনসামঙ্গল কাব্যে কালিদাসের 'কুমারসম্ভব 'এর প্রভাব আছে?
উঃনারায়ণ দেব
41.কোন কবির মঙ্গলকাব্যে চৈতন্য বন্দনা আছে?
উঃনারায়ন দেব
42.কোন আধুনিক লেখক মঙ্গল কাব্য কে অপাঠ্য বলেছেন?
উঃসুধীন্দ্রনাথ দত্ত ।
43.মধুসূদন দত্তের লেখা 'মায়াকানন 'এর পূর্ব নাম কি?
উঃসুভদ্রা
44.মনসামঙ্গল কাব্যে কতজন কবির নাম জানা যায়?
উঃ২২ জন , তাই বলা হয় বাইশা
45.যোগ রুঢ় শব্দ কাকে বলে?
উঃযোগরূঢ় শব্দ : সমাস দ্বারা গঠিত যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ থেকে ব্যবহারিক অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা, সেসব শব্দকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন : পঙ্কজ, জলধি প্রভৃতি।
46.রুঢ় শব্দ কাকে বলে?
উঃরূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ: যেসব প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ তাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তাদের রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন: ‘সন্দেশ’ শব্দের শব্দ ও প্রত্যয়গত অর্থ ‘সংবাদ’। কিন্তু এর প্রচলিত অর্থ ‘মিষ্টান্ন বিশেষ’। কাজেই ‘সন্দেশ’ রূঢ়ি শব্দ। হস্তী, তৈল, বাঁশি ইত্যাদি রূঢ়ি শব্দের উদাহরণ।
47.যৌগিক শব্দ কাকে বলে?
উঃযৌগিক শব্দ : যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন : গায়ক, কর্তব্য প্রভৃতি।
48.কোন জাতির লোকদের সোজাচুল দেখা যায়?
উঃবাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয় দিতে গিয়ে যে আট প্রকার সাদৃশের কথা কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মাথার চুলের বৈশিষ্ট্য। সেখানে তিন প্রকার বৈশিষ্ট্য এর কথা বলা হয়েছে।
1) সোজা চুল, যা মঙ্গোলীয় জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
2)কোঁকড়া চুল, যা নিগ্রো জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
3) ঢেউ খেলানো চুল, যা পৃথিবীর বাকি জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
49.রামরাজা রতিদেব কোন ধারার কবি?
উঃচট্টগ্রামে শিব মহিমা বিষয়ে যে কয়েকটি পৌরাণিক পুথি পাওয়া যায় তাকে মৃগ লুব্ধ বলে । এর কবি রতিদেব ও রাম রাজা।
50.দ্বিজেন্দ্রলাল রায় পাষানী নাটক কাকে উৎসর্গ করেন?
উঃপাষাণী(1900)--উৎসর্গ করেন লোকেন্দ্রনাথ পালিতকে
★★সংগ্রাহক--ইউসুফ মোল্লা★★
**গ্রুপ এডমিন, স্কুল শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রন্থের লেখক, পত্রিকার সম্পাদক, সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখক, অভিনেতা**
◆প্রশ্নগুলি করেছিলেন-দুর্যোধন মান্দি ও ভোরের আলো◆
**সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন-ইউসুফ মোল্লা**
●আমার ব্লগের নাম-www.yousufmolla.blogspot.com
●আমার YouTube চ্যানেলের নাম-Yousuf Molla
●আমার পত্রিকায় নাম-"স্বপ্ন সন্ধানী"
●আমাদের ফেসবুক গ্রুপের নাম-**পাঠাভ্যাস অধিবেশন-বাংলা বিভাগ**
1.বৈষ্ণব পদাবলী 'পদ 'শব্দটি প্রথম কে, কোথায় ব্যবহার করেছেন?
উঃকবি জয়দেব, তাঁর "গীতগোবিন্দমে" এটি উল্লেখ করেন
2.কে বেহুলাকে 'খন্ড কপালিনী ' বলে গালি দিয়েছেন?
উঃশাশুড়ি সনকা বেহুলাকে গালি দেয় –
সিঁতার সিঁদুরে তোর না পড়িল কালি ।।
পরিধান বস্ত্রে তোর না পড়িল মলি ।
পায়ের আলতা তোর না পড়িল ধূলি ।।
খন্ড কপালিনী বেহুলা চিরুণী দাঁতী ।
বিভাদিনে খাইলি পতি না পোহালে রাতি
3.কোন গ্রন্থে সৈয়দ আলাওল তাঁর জীবনের কাহিনী বর্ণনা করেন?
উঃপদ্মাবতী ও সেকন্দরনামাতে
4.কোথায় বসে কাশীরাম দাস মহাভারত অনুবাদ করেন?
উঃমেদনীপুর জেলার আউসগড় নামকস্থানে তিনি নিমবাগ করতেন ! সেইসময় তিনি কথক পন্ডিতদের মুখে অমৃত সমান মহাভারতের কাহিনী শুনে মহাভারত অনুবাদ করার প্রেরণা লাভ করেন ! আর সেখানেই বসে এটি অনুবাদ করেন।
5.কৃষ্ণদাস কবিরাজের জীবনী কোন গ্রন্থ থেকে জানা যায়?
উঃবৃন্দাবন দাসের "চৈতন্যভাগবত"-এ
6.বৃন্দাদাস চৈতন্যজীবনী ছাড়া আর কোন গ্রন্থ রচনা করেন?
উঃনিত্যানন্দবংশবিস্তার
7.শ্রীরুপ গোস্বামীর আসল নাম কী?
উঃসন্তোষ গোস্বামী(সাকর মল্লিক)
আর উপাধি ছিল-দবীর খাস
8.ড: ক্ষেত্রগুপ্ত রবীন্দ্রনাথের কোন ছোট গল্পের কোন নায়িকাকে "বাংলা সাহিত্যের প্রথম নি:সঙ্গ মানুষ " বলেছেন?
উঃ"জীবিত ও মৃত" গল্প।
কাদম্বিনী চরিত্র।
9.ইংল্যান্ডের পত্রকাব্য রচয়িতার নাম কি?
উঃ স্যামুয়েল ড্যানিয়েল।
10.জাগরী উপন্যাসের বিলুর আসল নাম কি?
উঃনীলু ও বিলু--দুজনের ডাক নাম। বিলুর আসল বা পুরো নাম বিপ্লব। বিলু ম্যাট্রিক পাশ করলো কিন্তু আশ্রমের আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাকে আর কলেজে পড়ানো চলল না। কাশী বিদ্যাপীঠে পড়ে সে শাস্ত্রী উপাধি পেল।
11.শরৎচন্দ্র কোন গল্পের জন্য 'কুন্তলীন 'পুরস্কার পান?
উঃ'মন্দির' নামে একটি গল্প লিখে ১৯০৩ সালে 'কুন্তলীন' প্রতিযোগিতায় পাঠালে তা বিজয়ী ঘোষিত হয়।
12.বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত উপন্যাস কোনটি?
উঃঅশনি সংকেত(অসমাপ্ত, ১৩৬৬ বঙ্গাব্দ)। এবং তাঁর আরো কিছু মৃত্যুর পর প্রকাশিত গ্রন্থ নিচে দিলাম---রূপ হলুদ (১৯৫৭,মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
অনুসন্ধান (১৯৬০,বঙ্গাব্দ ১৩৬৬, মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
ছায়াছবি (১৯৬০,বঙ্গাব্দ ১৩৬৬, মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
13.'সত্যমেব জয়তে '---উক্তিটি কোন গ্রন্থ থেকে গৃহিত?
উঃসত্যমেব জয়তে মার্কণ্ড উপনিষদের একটি মন্ত্র।১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় এই মন্ত্রটিকে জাতীয় রাজনীতিতে নিয়ে এসে জনপ্রিয় করেন। এই মন্ত্রটি দেবনাগরী হরফে ভারতের জাতীয় প্রতীকের নিচের অংশে এবং সমস্ত ভারতীয় মুদ্রায় লেখা থাকে।
14.বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কবি কে?
উঃসুকুমার সেন, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় আরো অনেকেই স্বীকার করেছেন লুই পাদ আদি কবি। কারণ হিসাবে বলেছেন, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ, আর যেখানে লুই পাদ প্রথম কবি। এছাড়া নীহাররঞ্জন দাশগুপ্ত চর্যাপদের রচনাকাল সম্পর্কে বলেন, লুই পাদ দশম শতাব্দীর কবি আর কাহ্ন পাদ দ্বাদশ শতাব্দীর কবি, এঁরা প্রথম ও শেষ কবি। কিন্তু ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে - আদি কবি শবর পা । তিনি লুইপাদের গুরু।
15.ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গল কাব্য কে কবে কোথা থেকে প্রকাশ করেন?
উঃ১৮৪৪ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য
16.মঙ্গল কাব্য ধারার কোন কবি স্বপ্নাদিষ্ট না হয়ে মঙ্গল কাব্য রচনা করেছেন?
উঃনবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের অনুরোধে ভারতচন্দ্র কৃষ্ণনগর গেলে রাজা তাঁকে চল্লিশ টাকা বেতন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। তাঁর আদেশে ভারতচন্দ্র ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর রচনা প্রণালীতে অন্নদামঙ্গল রচনা করতে শুরু করেন। এই একমাত্র কবি, যিনি কিনা কোনো দেবীর আদেশে গ্রন্থ রচনা করেন নি মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্য ধারায়।
17.'শিলাসন ' গল্পগ্রন্থের রচয়িতা---(ক)মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, (খ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, (গ)তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, (ঘ)সুভাষ মুখোপাধ্যায় ।
উঃ গ) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
18.'শ্রীমধুব্রত 'ছদ্মনামটি কোন কবির?
উঃমোহিতলাল মজুমদার
19.তারাশঙ্কর রচিত 'আরোগ্য নিকেতন 'উপন্যাসের পূর্ব নাম কি ছিল?
উঃসঞ্জীবনী ফার্মেসি
20.হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় 'রসিক মোল্লা 'ছদ্মনামে কি রচনা করেছেন?
উঃহুতুম প্যাঁচার গান----আশ্বিন,১২৯১
21.'রুপনারায়নের কূলে ' --- কার আত্মজীবনী?
উঃগোপাল হালদার
22.'বিদায়বানী ' কার অসমাপ্ত উপন্যাস এবং এটি কে সমাপ্ত করেন?
উঃবিদায় বাণী -- উপন্যাস ,৬ পৌষ ১৩৩৭ সালের আশ্বিন হইতে ১৩৩৮ সালের চৈত্র-সংখ্যা পর্য্যন্ত ‘মাসিক বসুমতী’তে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত। প্রভাতকুমার ইহা সম্পূর্ণ করে যেতে পারে নি । পুস্তকের ১৫২ পৃষ্ঠা পৰ্য্যন্ত প্রভাতকুমারের রচনা ; বাকী অংশ শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের ।
23.বাংলা সাহিত্যে প্রথম ব্যাকরন বই এর নাম কি?
উঃএকরকম প্রয়োজনের তাগিদেই পর্তুগিজ ধর্মযাজক মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ (Manoel da Assumpcam) পর্তুগিজ ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
ম্যানওয়েল দ্যা আসসুম্পসাঁও রচিত “কৃপার
শাস্ত্রের অর্থভেদ” (রচনাকাল – ১৭৩৪,
প্রকাশকাল - ১৭৪৩)।
24.অমৃতলাল বসুর নাট্য গুরু কে ছিলেন?
উঃঅর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফি
25.শব্দকল্পদ্রুম ' কী?
উঃশব্দকল্পদ্রুম সংস্কৃত অভিধান। সংকলক রাজা রাধাকান্ত দেব (১৭৮৩-১৮৬৭) এবং সম্পাদক করুণাসিন্ধু বিদ্যানিধি। সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরের পরিশ্রমে আট খন্ডে এ কোষগ্রন্থটি সংকলিত হয়। সংকলনের কাজ শুরু হয় ১৮০৩ সালে। প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয় ১৮১৯ সালে এবং সর্বশেষ অষ্টম খন্ড পরিশিষ্ট খন্ড হিসেবে প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ সালে।
‘কল্পদ্রুম’ শব্দের অর্থ কল্পবৃক্ষ, অর্থাৎ যে বৃক্ষের নিকট যা কামনা করা হয় তা-ই পাওয়া যায়। কথিত আছে, এমন কোনো সংস্কৃত শব্দ নেই যা এ কোষগ্রন্থটিতে পাওয়া যায় না। তাই এর নাম রাখা হয় ‘শব্দকল্পদ্রুম’। সংস্কৃত ভাষায় গদ্যে রচিত সর্ববৃহৎ এ অভিধানটি বাংলা হরফে মুদ্রিত। এতে প্রতিটি সংস্কৃত শব্দের অর্থ, ব্যুৎপত্তি এবং সংস্কৃত ভাষায় তার প্রয়োগ দেওয়া আছে।
তৎকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত এবং সংস্কৃত গ্রন্থের পঠন-পাঠনের প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে রাধাকান্ত দেব গ্রন্থটি প্রণয়নে ব্রতি হয়েছিলেন। তাই গ্রন্থটি সংস্কৃত স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষক, আদালতের আইনজীবী-বিচারক এবং সংস্কৃত গ্রন্থের পাঠকদের নিকট ব্যাপক সমাদর লাভ করে। পন্ডিতমহলে রাধাকান্ত দেবের পান্ডিত্য এবং দুরূহ অধ্যবসায়ের কথা প্রচারিত হয়। রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি এবং ভারতবিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গ তাঁকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে KCSI (Knight Commander of the Star of India) এবং ‘রাজা বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। রাধাকান্ত দেবের পরে আজ অবধি এমন আর দ্বিতীয় কোনো সংস্কৃত অভিধান রচিত হয়নি।
26.'পথের দাবী ' উপন্যাস কবে বাজেয়াপ্ত হয়?
উঃপথের দাবী ধারাবাহিক ভাবে বঙ্গবাণী পত্রকায় বের হত। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ছিল পত্রিকার অফিস। পুলিশ কমিশনারের চিঠি ও নোট অনুযায়ী তদানিন্তন চিফ সেক্রেটারি পথের দাবীকে 'বিষময়' বলে উল্লেখ করেন। ১৯২৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এডভোকেট জেনারেল ব্রজেন্দ্রনাথ মিত্র মত দেন যে পথের দাবী দেশদ্রোহকর ও বাজেয়াপ্তযোগ্য। ১৯২৭ এর ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে পথের দাবী নিষিদ্ধ হয়।গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৬
27.কোন কবির রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যের সূচনায় সম্রাট আকবরের নাম উল্লেখ আছে?
উঃমাধবাচার্য
28.কে কোন কাব্যে নিজেকে 'কবি বিধুসূত ' বলেছেন?
উঃদ্বিজ রামদেব, চন্ডীমঙ্গলে
29.ষষ্ঠীবর দত্তের কাব্য কার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়?
উঃবিরজাকান্ত ঘোষ
30.কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যকে 'মনসা ভাসান ' কে বলেছেন?
উঃরামগতি ন্যায়রত্ন
31.মঙ্গলকাব্যের 'গবেষক নামে কে পরিচিত?
উঃআশুতোষ ভট্টাচার্য
32.শরৎচন্দ্রের প্রথম আত্মপ্রকাশ কোন পত্রিকায়?
উঃভারতী>বড়দিদি
33.'সোনার চেয়ে দামি '--উপন্যাস টি কার লেখা?
উঃমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
34.শ্রীকৃষ্ণবিজয় ' কাব্য কে সম্পাদনা করেন?
উঃকেদারনাথ দত্ত
35."আধুনিক ভারতের পানিনী "----কোন ভাষাতাত্ত্বিক কে বলা হয়?
উঃসুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
36.কোন গ্রন্থ থেকে জীবনানন্দ দাসগুপ্ত থেকে 'গুপ্ত ' বজন করেন?
উঃঝরাপালক (১৯২৭)
37.মধ্যযুগের একমাত্র ঐতিহাসিক কাব্যের নাম কি?
উঃগঙ্গারামের 'মহারাষ্ট্র পুরাণ '।
38.বাংলায় লেখা প্রথম নাটকের নাম কী?
উ:১৮৪০ খ্রি : বিশ্বনাথ ন্যায়রত্নের 'প্রবোধচন্দ্রোদয় '।
39.'সারদামঙ্গল 'নামে রামকাহিনী রচনা করেছেন কোন কবি?
উঃদ্বিজ মাধব
40.কার মনসামঙ্গল কাব্যে কালিদাসের 'কুমারসম্ভব 'এর প্রভাব আছে?
উঃনারায়ণ দেব
41.কোন কবির মঙ্গলকাব্যে চৈতন্য বন্দনা আছে?
উঃনারায়ন দেব
42.কোন আধুনিক লেখক মঙ্গল কাব্য কে অপাঠ্য বলেছেন?
উঃসুধীন্দ্রনাথ দত্ত ।
43.মধুসূদন দত্তের লেখা 'মায়াকানন 'এর পূর্ব নাম কি?
উঃসুভদ্রা
44.মনসামঙ্গল কাব্যে কতজন কবির নাম জানা যায়?
উঃ২২ জন , তাই বলা হয় বাইশা
45.যোগ রুঢ় শব্দ কাকে বলে?
উঃযোগরূঢ় শব্দ : সমাস দ্বারা গঠিত যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ থেকে ব্যবহারিক অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা, সেসব শব্দকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন : পঙ্কজ, জলধি প্রভৃতি।
46.রুঢ় শব্দ কাকে বলে?
উঃরূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ: যেসব প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ তাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তাদের রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন: ‘সন্দেশ’ শব্দের শব্দ ও প্রত্যয়গত অর্থ ‘সংবাদ’। কিন্তু এর প্রচলিত অর্থ ‘মিষ্টান্ন বিশেষ’। কাজেই ‘সন্দেশ’ রূঢ়ি শব্দ। হস্তী, তৈল, বাঁশি ইত্যাদি রূঢ়ি শব্দের উদাহরণ।
47.যৌগিক শব্দ কাকে বলে?
উঃযৌগিক শব্দ : যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন : গায়ক, কর্তব্য প্রভৃতি।
48.কোন জাতির লোকদের সোজাচুল দেখা যায়?
উঃবাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয় দিতে গিয়ে যে আট প্রকার সাদৃশের কথা কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মাথার চুলের বৈশিষ্ট্য। সেখানে তিন প্রকার বৈশিষ্ট্য এর কথা বলা হয়েছে।
1) সোজা চুল, যা মঙ্গোলীয় জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
2)কোঁকড়া চুল, যা নিগ্রো জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
3) ঢেউ খেলানো চুল, যা পৃথিবীর বাকি জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
49.রামরাজা রতিদেব কোন ধারার কবি?
উঃচট্টগ্রামে শিব মহিমা বিষয়ে যে কয়েকটি পৌরাণিক পুথি পাওয়া যায় তাকে মৃগ লুব্ধ বলে । এর কবি রতিদেব ও রাম রাজা।
50.দ্বিজেন্দ্রলাল রায় পাষানী নাটক কাকে উৎসর্গ করেন?
উঃপাষাণী(1900)--উৎসর্গ করেন লোকেন্দ্রনাথ পালিতকে
★★সংগ্রাহক--ইউসুফ মোল্লা★★
**গ্রুপ এডমিন, স্কুল শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রন্থের লেখক, পত্রিকার সম্পাদক, সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখক, অভিনেতা**
◆প্রশ্নগুলি করেছিলেন-দুর্যোধন মান্দি ও ভোরের আলো◆
**সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন-ইউসুফ মোল্লা**
●আমার ব্লগের নাম-www.yousufmolla.blogspot.com
●আমার YouTube চ্যানেলের নাম-Yousuf Molla
●আমার পত্রিকায় নাম-"স্বপ্ন সন্ধানী"
●আমাদের ফেসবুক গ্রুপের নাম-**পাঠাভ্যাস অধিবেশন-বাংলা বিভাগ**
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ReplyDeleteআপনাকেও অনেক অনেক সুস্বাগতম
ReplyDeleteসবসময় পাশে থেকো
darun
Deleteধন্যবাদ বন্ধু পাশে থেকো সবসময়
Deleteখুব ভালো হয়েছে।
ReplyDeleteধন্যবাদ দাদা,সবসময় পাশে থেকো
Delete