💝💝বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়💝💝
★★লিখছেন--ইউসুফ মোল্লা★★
সাধারণভাবে জাতি বা উপজাতি বলতে নির্দিষ্ট ভাষার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা, নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী নরগোষ্ঠীকে বোঝায়।আবার, ধর্ম ও জাতি কখনো কখনো সমার্থক হয়ে যায়। যেমন--ইহুদি জাতি ও ধর্ম। ব্যক্তিবিশেষের স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও যখন কোনো বিশেষ জনসমষ্টির মধ্যে জিন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিরিখে এমন কতকগুলো চেহারা বা অবযবগত সাদৃশ্য থাকে যাকে তাদের একই পর্যায়ভুক্ত করা যায়, তখন সেই পর্যায়কে বলে নৃতাত্ত্বিক পর্যায়। নৃতত্ত্ববিদদের কাজ হলো সেই বিশেষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অবয়বগত সাদৃশ্য নিরুপন করে তাদের নৃতাত্ত্বিক পর্যায়গত করা।
কিছু মতো পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সাধারণভাবে যে সাদৃশ্যগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি সূত্রাকারে নিচে দিলাম---
1) মাথার চুলের বৈশিষ্ট্য ও রং।
2)গায়ের রং।
3)চোখের রং এবং বৈশিষ্ট্য।
4)দেহের দৈর্ঘ্য।
5)মাথার আকৃতি।
6)মুখের গঠন।
7)নাকের আকার।
8)রক্তের বর্গ বা Blood Group।
◆◆প্রথমেই বলি সাধারণভাবে চুলের প্রকার তিন রকমের।
a)সোজা চুল, যা মঙ্গোলীয় জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
b) কোঁকড়ানো চুল, যা নিগ্রো জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
c) ঢেউ খেলানো চুল, যা পৃথিবীর বাকি জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
●●এরপর আসছি গায়ের রং নিয়ে। এটি সাধারণভাবে তিন প্রকার।
a)ফর্সা বা সাদা।
b)কালো।
c)পীত।
★★মানুষের দেহের দৈর্ঘ্যের নিরিখে পাঁচটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন---
a)বামন: 1480 মিলিমিটারের কম উচ্চতা যাদের।
b)বেঁটে: যাদের উচ্চতা 1480 থেকে 1581 মিলিমিটারের মধ্যে।
c)মাঝারি: যাদের উচ্চতা 1582 থেকে 1676 মিলিমিটারের মধ্যে।
d)লম্বা: যাদের উচ্চতা 1677 থেকে 1720 মিলিমিটারের মধ্যে।
e)খুব লম্বা: 1721 মিলিমিটারের উপর উচ্চতা যাদের।
■■মানুষের মাথাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়----(মানুষের মাথার আকার একটি সূচক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যার নাম শিরসূচক সংখ্যা বা কপালাঙ্ক)
a)লম্বা মাথা: 75 শতাংশের কম অনুপাত বিশিষ্ট কপালাঙ্ক।
b)মাঝারি মাথা: এক্ষেত্রে অনুপাত হবে 75 থেকে 80 শতাংশের কম।
c)গোল বা বিস্তৃত মাথা: এখানে অনুপাত 80 শতাংশের কম।
◆◆নাকের প্রস্থের সঙ্গে দৈর্ঘ্যের অনুপাতের শতাংশকে নাসিকসূচক সংখ্যা বা nasal index বলা হয়। এই অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে মানুষের নাককে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন----
a) লম্বা-সরু নাক: অনুপাত 55-77%।
b)মাঝারি নাক: অনুপাত 78-85%।
c)চওড়া নাক: অনুপাত 86-100%।
গ্রন্থ ঋণ:
1. নীহাররঞ্জন রায়, বাঙালীর ইতিহাস, আদি পর্ব
2.অতুল সুর, বাঙালীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয়
3.বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি(একাদশ শ্রেণী)
4. বাংলা শিক্ষক-ছায়া প্রকাশনী
★★ইউসুফ মোল্লা★★
এডমিন, স্কুল শিক্ষক, সম্পাদক, গ্রন্থ লেখক
18/10/2018
★★লিখছেন--ইউসুফ মোল্লা★★
সাধারণভাবে জাতি বা উপজাতি বলতে নির্দিষ্ট ভাষার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা, নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী নরগোষ্ঠীকে বোঝায়।আবার, ধর্ম ও জাতি কখনো কখনো সমার্থক হয়ে যায়। যেমন--ইহুদি জাতি ও ধর্ম। ব্যক্তিবিশেষের স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও যখন কোনো বিশেষ জনসমষ্টির মধ্যে জিন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিরিখে এমন কতকগুলো চেহারা বা অবযবগত সাদৃশ্য থাকে যাকে তাদের একই পর্যায়ভুক্ত করা যায়, তখন সেই পর্যায়কে বলে নৃতাত্ত্বিক পর্যায়। নৃতত্ত্ববিদদের কাজ হলো সেই বিশেষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অবয়বগত সাদৃশ্য নিরুপন করে তাদের নৃতাত্ত্বিক পর্যায়গত করা।
কিছু মতো পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সাধারণভাবে যে সাদৃশ্যগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি সূত্রাকারে নিচে দিলাম---
1) মাথার চুলের বৈশিষ্ট্য ও রং।
2)গায়ের রং।
3)চোখের রং এবং বৈশিষ্ট্য।
4)দেহের দৈর্ঘ্য।
5)মাথার আকৃতি।
6)মুখের গঠন।
7)নাকের আকার।
8)রক্তের বর্গ বা Blood Group।
◆◆প্রথমেই বলি সাধারণভাবে চুলের প্রকার তিন রকমের।
a)সোজা চুল, যা মঙ্গোলীয় জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
b) কোঁকড়ানো চুল, যা নিগ্রো জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
c) ঢেউ খেলানো চুল, যা পৃথিবীর বাকি জাতিগুলির মধ্যে দেখা যায়।
●●এরপর আসছি গায়ের রং নিয়ে। এটি সাধারণভাবে তিন প্রকার।
a)ফর্সা বা সাদা।
b)কালো।
c)পীত।
★★মানুষের দেহের দৈর্ঘ্যের নিরিখে পাঁচটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন---
a)বামন: 1480 মিলিমিটারের কম উচ্চতা যাদের।
b)বেঁটে: যাদের উচ্চতা 1480 থেকে 1581 মিলিমিটারের মধ্যে।
c)মাঝারি: যাদের উচ্চতা 1582 থেকে 1676 মিলিমিটারের মধ্যে।
d)লম্বা: যাদের উচ্চতা 1677 থেকে 1720 মিলিমিটারের মধ্যে।
e)খুব লম্বা: 1721 মিলিমিটারের উপর উচ্চতা যাদের।
■■মানুষের মাথাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়----(মানুষের মাথার আকার একটি সূচক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যার নাম শিরসূচক সংখ্যা বা কপালাঙ্ক)
a)লম্বা মাথা: 75 শতাংশের কম অনুপাত বিশিষ্ট কপালাঙ্ক।
b)মাঝারি মাথা: এক্ষেত্রে অনুপাত হবে 75 থেকে 80 শতাংশের কম।
c)গোল বা বিস্তৃত মাথা: এখানে অনুপাত 80 শতাংশের কম।
◆◆নাকের প্রস্থের সঙ্গে দৈর্ঘ্যের অনুপাতের শতাংশকে নাসিকসূচক সংখ্যা বা nasal index বলা হয়। এই অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে মানুষের নাককে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন----
a) লম্বা-সরু নাক: অনুপাত 55-77%।
b)মাঝারি নাক: অনুপাত 78-85%।
c)চওড়া নাক: অনুপাত 86-100%।
গ্রন্থ ঋণ:
1. নীহাররঞ্জন রায়, বাঙালীর ইতিহাস, আদি পর্ব
2.অতুল সুর, বাঙালীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয়
3.বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি(একাদশ শ্রেণী)
4. বাংলা শিক্ষক-ছায়া প্রকাশনী
★★ইউসুফ মোল্লা★★
এডমিন, স্কুল শিক্ষক, সম্পাদক, গ্রন্থ লেখক
18/10/2018
❤
ReplyDelete