Skip to main content

হোলি

🌈বিভিন্ন জায়গার হোলি এবং তার ব্যাখ্যা🌈
     -ইউসুফ মোল্লামো


Yousuf Molla
ল্লা
     বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড়, ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷
সারা বছরে বসন্তের আগমনেই আর্যদের সবচেয়ে আনন্দের সময়, বসন্ত ঋতু আর্যদের উৎসবের ঋতু৷ এই উৎসবে তারা ভেড়াকে মনে করতো শীতের প্রতিনিধি (কারণ ভেড়ার লোম থেকেই হত শীতের কম্বল), আর ভেড়ার পিঠে জবু–থবু হয়ে বসে থাকা বুড়ো–বুড়িকে মনে করতো তাদের দুঃসহ শীতের প্রতীক৷ তাই উৎসবের শুরুতেই পূর্ণিমার পূর্ব রাতে বুড়ো–বুড়িকে পুড়িয়ে দিয়ে তারা বলত, শীতকে পুড়িয়ে দিলুম৷ পরদিন পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হত বসন্ত ঋতু, আর একে ঘিরে আর্যদের ‘বসন্তোৎসব’৷
উত্তর–গোলার্ধে পূর্ব ফাল্গুনী অথবা উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রের অবস্থান কালে পূর্ণিমা তিথি পড়লে চান্দ্রমাসটার নাম রাখা হয় ‘ফাল্গুন’৷ সেই সঙ্গে সৌর মাসটারও নাম হয় ‘ফাল্গুন’৷ তাই বিহার ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে বসন্তোৎসবের নাম ‘ফাগুয়া’৷
উত্তর ভারতে বিশেষ করে পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে এই উৎসবকে বলা হয় ‘হোলি’ উৎসব৷ এই ‘হোলি’ নামটার পেছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনী৷ হিরণ্যকশিপু নামে এক রাজা ছিল৷ তার বোনের নাম ছিল হোলিকা৷ সে ছিল নর–রাক্ষসী৷ তাই পূর্ণিমার আগের রাতে অর্থাৎ চতুর্দশীর রাতে লোকেরা হোলিকা নর–রাক্ষসীকে পুড়িয়ে মেরেছিল৷ এই উপলক্ষ্যে সেদিন তারা আনন্দে যে উৎসব করেছিল তার নাম ‘হোলিকা–দহন’ উৎসব৷ সেই থেকে এই উৎসব চলে আসছে ‘হোলি উৎসব’ নামে৷ সারা ভারতেই এখন বসন্তোৎসবের সূচনা হয় আগের দিন রাতে খড়–পাতা দিয়ে গড়া দৈত্যের প্রতীক অথবা শীত বুড়ীর ঘর পোড়ানোর মধ্য দিয়ে৷ এটা সেই মূল আর্যরীতিরই সংস্ক্রণ৷ বাঙলায় এটাকে বলা হয় ‘চাঁচর’, গ্রাম বাঙলায় ‘ন্যাড়াপোড়া’৷
বাঙলায় এই উৎসবের সূচনা করেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রায় ৫০০ বছর আগে৷ তিনি বৃন্দাবন পরিক্রমাকালে ওখানে ‘হোলি উৎসব’ দেখেন৷ মহাপ্রভু বাঙলায় এসে বিধান দিলেন, এ দিনটায় ভক্তেরা কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণকে রঙ–আবির দেবে৷ তারপর সেই রঙ–আবির নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে খেলবে৷ আর যে যাকে রঙ দেবে, সে তাকে মালপো খাওয়াতে বাধ্য থাকবে৷ এ ভাবেই মহাপ্রভু বাঙলায় ‘শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা’ উৎসব প্রবর্তন করেছিলেন৷ ‘দোলযাত্রা’ কথাটার তাৎপর্য হ’ল, শীত চলে গেছে, মানুষ আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে, মনে নানান চিন্তা, নানান ভাবনা আসছে, নূতন নূতন কল্পনা জাগছে৷ শ্রীকৃষ্ণের কথা ভাবতে গিয়ে মন আনন্দে ভরে উঠছে, সে ভাবনায় মনে দোলা লাগছে, মন আন্দোলিত হচ্ছে৷ ভক্তের মনও দুলছে, তা তো নয়, ভক্তের মনের দোলা ভক্তের প্রিয়তম শ্রীকৃষ্ণের মনকেও দুলিয়ে দিচ্ছে, ভগবানের মনে সাড়া তুলছে৷ এই হ’ল শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা৷
অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতায় মহাসমারোহে এই উৎসব পালিত হ’ত৷ এই উৎসব ছিল মূলতঃ কলকাতার রাজা–জমিদারদের পারিবারিক উৎসব, তাহলেও এর আকর্ষণ ছিল সার্বজনীন৷ প্রত্যেক জমিদার ও রাজবাড়ীর কৃষ্ণমন্দিরে বিগ্রহের গায়ে ফাগ–রঙ দিয়ে শুরু হত শুকনো ফাগ–রঙ বা রং মেশানো জল নিয়ে হোলি খেলা, সঙ্গে থাকতো ঢালাও মিষ্টিমুখের আয়োজন৷ এই উপলক্ষ্যে থাকতো নানা ধরনের লোক–বিনোদনের ব্যবস্থা, মেলা, যাত্রা, রকমারী নাচ–গান–বাজনা, ইত্যাদি নানা আয়োজন, চলতো মাস জুড়ে৷ এই উৎসব এতই জনপ্রিয় ছিল যে, কোম্পানীর কর্মচারীদের জন্যে এই উপলক্ষ্যে পাঁচদিন ছুটি বরাদ্দ ছিল৷ মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হলেও জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ীর দোল উৎসব ছিল আকর্ষণীয়৷
বিহার ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের ফাগুয়া উৎসব যেমন জন–জাতির উৎসব বা পিপ্লস ফেষ্টিভ্যাল, বাঙলার দোলযাত্রা তেমনি জনজাতীয় উৎসব নয়–এটা এক ধরনের ধর্মীয়  উৎসব৷ কিন্তু আজকাল বাঙলায় বসন্তোৎসবের ফাগ–রঙ–আবিরের খেলা ধর্মমতের আঙ্গিনা পেরিয়ে মন রাঙানোর জাতীয় উৎসবের রূপ নিয়েছে৷ রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে এই জাতীয় বসন্তোৎসবের সূচনা করেন৷ কবি নিজে কয়েকবারই বসন্তোৎসবে উপস্থিত থেকে এই উৎসবের মাধুর্য্য তুঙ্গে তুলে দিয়েছেন৷
বসন্তোৎসবের মূল আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছেন, ভক্তের মনের বর্ণ পরমপুরুষের বর্ণে মিশিয়ে দিয়ে বর্ণাতীত হওয়ার যে সাধনা সেটা হ’ল গোপী সাধনা৷ ‘গোপী’ কে? ‘গোপী’ হ’ল পরমভক্ত৷ যে মানুষ অন্তরের সম্যক মসৃণতা দিয়ে, সরলতা দিয়ে, সরসতা দিয়ে, গভীর মাধুর্যপূর্ণ মনোভাবের দ্বারা পরমপুরুষের দিকে এগিয়ে যাবে, সেইই গোপী৷ পরমপুরুষের প্রতি ঐকান্তিক অনুরক্তি হেতু গোপী ভাবের জাগরণ ঘটে৷
গোপী–ভাবে থেকেও কোন কোন সময় এমন হয় যে, মন কিছুটা যেন ক্ষণিকের জন্যে জাগতিক চাওয়া–পাওয়ার পানে ছুটতে চায়৷ জাগতিক চাওয়া–পাওয়ার স্থূল বর্ণময়তা মনে আবিলতা এনে দেয়৷ মনের ষোল–আনা সরসতা, মাধুর্য্যপূর্ণ মনোভাব অক্ষুণ্ণ থাকে না৷ ভক্তমনের মাধুর্য্য, মসৃণতায় আবিলতা এসে যায়৷ পরমপুরুষ হ’ল, ‘রসো বৈ সঃ’–আনন্দময় রসঘন সত্তা৷ অণুমনে ষোল–আনা সরসতা থাকলে তবেই সেই রসঘন আনন্দময় সত্তার সাথে একাত্ম হওয়া যায়–যা ভক্তমনের একান্ত আকুতি৷ যে প্রকৃত গোপী, সে এ তত্ত্বটা জানে, মানে৷ তাই গোপী কী করবে? সে পরমপুরুষকে বলবে, ‘হে পরমপুরুষ, তুমি ছাড়া আর অন্য কিছু চাওয়াটা আমার ভুল হয়ে যাচ্ছে৷ এই যে আমি ভুলটা করলুম–অন্যায়টা করলুম–বর্ণময় জাগতিক বস্তু চাইতে গিয়ে আমার মধ্যে যে সাময়িক আবিলতা এসে গেল, তার জন্যে আমি আমার ভুল স্বীকার করছি৷ তাই আমার মনের বর্ণ তোমার বর্ণে মিশিয়ে দিয়ে আমি বর্ণহীন হতে চাই–আমার মানস–চিন্তার ত্রুটির জন্যে আমি সাময়িক ভাবে যে বর্ণাধীনতায় এসে গিয়েছি, আমি এই ভাবে সেটা কাটিয়ে উঠতে চাই৷ বসন্তোৎসবের মূল আধ্যাত্মিক তাৎপর্য–এখানেই৷
(তথ্যসূত্র:  মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত গ্রন্থ ‘অভিমত’ ৫ম খণ্ড)


                           Yousuf Molla

       প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে হোলির বহু বিস্তৃত বর্ণনা রয়েছে ৷ শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণে বসন্তরাসের বর্ণনা আছে ৷ অন্যত্র 'রঙ্গ' নামক উৎসবের বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ হর্ষের প্রিয়দর্শিকা ও রত্নাবলী এবং কালিদাসের কুমারসম্ভব ও মালবিকাগ্নিমিত্রম্ এ ও বসন্তোৎসবের উল্লেখ আছে ৷ কালিদাসের ঋতুসংহার এ পুরো একটি সর্গে বসন্তোৎসবের বিবরণ রয়েছে ৷ ভারবি, মাঘ এবং অন্য কয়কজন কবিও কাব্যে বসন্ত বর্ণনা করেন ৷ নারদপুরাণ, ভবিষ্যপুরাণ ও জৈমিনী মীমাংসায় রঙের উৎসবের বিবরণ পাওয়া যায় ৷ তিন শো খ্রিস্টাব্দের এক শিলালিপিতে রাজা হর্ষবর্ধন কর্তৃক হোলিকোৎসব পালনের উল্লেখ পাওয়া যায় ৷বাৎস্যায়নের কামসূত্র রচিত হয়েছিল তৃতীয়-চতুর্থ শতকে ৷ তাতে এই উৎসবের উল্লেখ আছে ৷এখানে দোলায় বসে আমোদ প্রমোদের উল্লেখ পাই ৷ চতুর্থ শতকের শেষ দিকে এই হোলি উৎসবকে শবরস্বামী তাঁর দর্শনশাস্ত্রে বর্ণনা করে গেছেন 'হোলক উৎসব' নামে ৷ সপ্তম শতকে রচিত রত্নাবলী এবং অষ্টম শতকের মালতীমাধব নাটকেও বসন্তোৎসবের বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ জীমূতবাহনের কালবিবেক ছাড়া ষোড়শ শতকের রচিত রঘুনন্দন গ্রন্থেও এই উৎসবের বর্ণনা রয়েছে ৷ আল বেরুনির বিবরণে জানা যায় মধ্যযুগে কোনো কোনো অঞ্চলে মুসলমানরাও হোলিকোৎসবে সামিল হতেন ৷

কবি বিদ্যাপতি থেকে শুরু করে সুরদাস, রহিম, পদ্মাকর, জায়সী, মীরাবাই, কবীর এবং বিহারী, কেশব,ঘনানন্দ প্রমুখ অনেক কবির প্রিয় বিষয় ছিল বসন্ত ৷ মহাকবি সুরদাস বসন্ত ও হোলির উপর আটাত্তরটির মতো পদ রচনা করেছিলেন ৷ এ ছাড়া সুফি সন্ত হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া, আমির খসরু এবং বাহাদুর শাহ জাফর প্রভৃতি মুসলমান কবিগণও হোলিবিষয়ক সুন্দর পদ রচনা করেন ৷

এ থেকে অনুভব করা যায় যে দোলযাত্রা একটি ধর্মনিরপেক্ষ অনুষ্ঠানও বটে ৷আর এক্ষেত্রে অনুষ্ঠানটিকে আধুনিকতায় নিয়ে দাঁড় করান কবি সার্বভৌম রবীন্দ্রনাথ, শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালন প্রবর্তন করে ৷ যৌবনোচ্ছ্বল উল্লাসের পাশাপাশি সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরার এক অনন্য অনুষ্ঠান ও উৎসব এই হোলি ।

[3/11, 11:18 AM] You Suf: [3/11, 11:20 AM] You Suf: [3/11, 11:31 AM] You Suf:

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

লীলা মজুমদারের সম্পূর্ণ তথ্য

 লীলা মজুমদার - ইউসুফ   মোল্লা #আজ_সকাল_সকাল_চলে_এসেছি #লীলা_মজুমদার_নিয়ে  (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭)         আমাদের দেশে ‘শতায়ু হও’ বলে আশীর্বাদ করা হয়ে থাকে। বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার। তবে শত বর্ষের কাছাকাছি আয়ুতে পৌঁছালে অনেক ক্ষেত্রেই সুখের চেয়ে দুঃখ বেদনাই বেশী থাকে। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী প্রায় পুরো সময়টাকেই লেখা পড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার শেষের প্রায় এক দশক বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু লীলা মজুমদার নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে। বিশেষতঃ শিশু সাহিত্যে লীলা মজুমদার একটি অপ্রতিদ্বন্দী নাম। এখানে লীলা মজুমদারের পূর্ণাঙ্গ জীবন , তাঁর সাহিত্য কর্মগুলির আলোচনার সাথে সাথে তাঁর রচনা বৈশিষ্ট্য ও বর্তমান প্রজন্মে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।  ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ...

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য

আ শাপূর্ণা দেবী - ইউসুফ মোল্লা   #কথা_মতো_ভোর_ভোর_চলে_এসেছি #আশাপূর্ণা_দেবীকে_নিয়ে #জন্ম : ৮ ই জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর কলকাতায় মাতুলালয়ে। #পিতা : হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। #মাতা : সরলাসুন্দরী দেবী। #আদি_নিবাস : হুগলি জেলার বেগমপুর। #জীবনসঙ্গী : কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস সেনগুপ্তের সঙ্গে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৫ বছর ৮ মাস বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। #মৃত্যু : ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫।         ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।        বড়োদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী”। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়।       আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।    ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন - “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।     বড়োদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশি...

নবম শ্রেণীর উৎস সন্ধানে

∆সকল গল্প,কবিতা,নাটক,প্রবন্ধের উৎস নির্দেশ∆ #নবম_শ্রেণীর_সাহিত্যসঞ্চয়ন_সাহিত্যসম্ভার_ও_প্রফেসর_শঙ্কুর_ডায়রি **সাহিত্য সঞ্চয়ন নবম শ্রেণী** ১."কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি" কবি - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী । উৎস : চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ড তথা কালকেতুর উপাখ্যান অন্তর্ভুক্ত "কলিঙ্গ দেশে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ"। ২."ধীবর বৃত্তান্ত" লেখক - কালিদাস । উৎস :অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক ।  তর্জমা : সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী । ৩."ইলিয়াস" লেখক : লিও টলস্টয় উৎস : Twenty Three Tales (১৮৮৫) তর্জমা :মণীন্দ্র দত্ত । ৪."সাত ভাই চম্পা" কবি : বিষ্ণু দে । উৎস : সাত ভাই চম্পা । ৫."দাম" লেখক : নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় উৎস : ১৩৬৫ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "তরুণের স্বপ্ন" তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল । ৬."এই জীবন" কবি : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । উৎস : "দেখা হলো ভালোবাসা বেদনায়" । ৭."নব নব সৃষ্টি" লেখক : সৈয়দ মুজতবা আলী । উৎস : এটি "মাম্ দোর পুনর্জন্ম" প্রবন্ধের সম্পাদিত অংশ । মূল ...