🌺রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পূর্ণ তথ্য🌺

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-ইউসুফ মোল্লা (উইকিপিডিয়ার নিয়মিত লেখক) 

Yousuf Molla

🍁রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 🍁
- ইউসুফ মোল্লা

#জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮) ।

#জন্মস্থান:
 কলকাতার জোড়াসাঁকোর সম্ভ্রান্ত ঠাকুর পরিবারে ।

# পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

# মাতা: সারদা দেবী।

#পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর

#পিতামহী: দিগম্বরী দেবী।


@রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর মোট ৯৫টি ছোটগল্প এবং ১৯১৫টি গান যথাক্রমে ‘গল্পগুচ্ছ’ ও ‘গীতবিতান’ সংকলনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত এবং গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২টি খণ্ডে ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য ১৯ খণ্ডে ‘চিঠিপত্র’ সংকলনে ও অন্য চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি প্রায় দু’হাজার ছবিও এঁকেছিলেন। তাঁর রচনা আজ বিশ্বের নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে ও হচ্ছে।

@রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কন্যার মৃত্যু হয় নাম রাখার আগেই। সেই হিসেবে ১৫ জন ভাইবোনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন কনিষ্ঠতম অগ্রজ।অষ্টম পুত্র সন্তান। রবীন্দ্রনাথ সুস্থ-সবল ও দীর্ঘায়ু সম্পন্ন হলেও তাঁর অনেক ভাই-ই ছিলেন অসুস্থ, মস্তিস্ক বিকৃত ও স্বল্পায়ুর অধিকারী। দেশভ্রমণের নেশায় রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর উত্তর ভারত, ইংল্যান্ডসহ বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে কাটাতেন। এ কারণে তিনি
১.দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭-১৯০৫)
২. রাজা রাম মোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩)
৩.সারদা দেবী (১৮২৪-৭৫)
জীবনের প্রথম দশটি বছর পিতার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাননি।

@রবীন্দ্রনাথের ভাইবোনেরা তাঁকে আদর করে রবি বলে ডাকতেন। উজ্জ্বল বর্ণের শিশুদের সবাই একটু বেশিই পছন্দ করে। এটা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। রবীন্দ্রনাথ তাঁর অন্যান্য সহোদরদের তুলনায় অতটা উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী ছিলেন না। তাঁর বড় দিদি সৌদামিনী দেবী তাঁকে উদ্দেশ্য করে প্রায়ই বলতেন, আমার রবি শ্যাম বর্ণের হতে পারে, কিন্তু জ্ঞান-গরিমার উজ্জ্বলতায় সে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে।

@ তাঁর ‘কবিকাহিনী’ (১৮৭৮), ‘বনফুল’ (১৮৮০) ও ‘ভগ্নহৃদয়’ (১৮৮১) কাব্য তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট।

 @শেষ কবিতা ‘তোমার সৃষ্টির পথ’ মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

#স্ত্রী: ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আশার পর, অবশেষে ১৮৮৩ সালে ৯ই ডিসেম্বর তারিখে রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয় বেণীমাধব রায়চৌধুরী নামে ঠাকুরবাড়ির এক অধস্তন কর্মচারীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে | বিয়ের সময় ভবতারিণীর পুণরায় নামকরণ করা হয় এবং তাঁর নাম পাল্টে রাখা হয় মৃণালিনী দেবী |

#সন্তান:
পরবর্তীকালে, মৃণালিনী দেবী ও রবীন্দ্রনাথের মোট পাঁচ সন্তান হয় | তাঁদের নাম যথাক্রমে ছিলো- @মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), @রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১),  @রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩),
@  মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) এবং @শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭) |

∆কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথ মারা যায় |

#ছদ্মনাম:
ভানুসিংহ ঠাকুর, অকপটচন্দ্র, আ্ন্নাকালী পাকড়াশী; দিকশূন্য ভট্টাচার্য ; নবীন কিশোর শর্মণ:; ষষ্ঠীচর দেবশর্মা
;বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ; শ্রীমতি কনিষ্ঠা , শ্রীমতি মধ্যমা।


#সম্মানে ভূষিত:
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘গুরুদেব’ সম্মানে ভূষিত করেন - মহাত্ম গান্ধী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকবি’ সম্মানে ভূষিত করেন - ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘কবিগুরু’ উপাধিতে ভূষিত করেন - ক্ষিতিমোহন সেন।
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘ভারতের মহাকবি’ উপাধিতে ভূষিত করেন - চীনা কবি চি-সি-লিজন।

#শৈশব, কৈশোর ও শিক্ষাজীবন: শিশু রবীন্দ্রনাথ বেড়ে উঠেছেন নিতান্তই সহজ সরল ও সাদাসিদেভাবে। একটু বড় হলেই প্রথমে ভর্তি হলেন কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে, কিছুদিন পর চলে গেলেন নর্মাল স্কুলে তারপর বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে কিন্তু কোথাও তাঁর মন বসেনি। ঠাকুরবাড়ির রুটিন বাঁধা জীবনে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। অভিভাবকদের নিরালস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি স্কুলের গন্ডি পার হতে পারেননি। স্থির করলেন মেজভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বিলেতে গিয়ে ব্যারিস্টার হবেন। লন্ডনে গিয়ে প্রথমে পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হন। কিন্তু পড়াশুনায় মন না থাকায় তাঁর বেশির ভাগ সময় কাটে সাহিত্য চর্চায়। দেড় বছর পর ১৯ বছর বয়সে পিতার নির্দেশে শিক্ষা অসম্পূর্ণ রেখে দেশে ফিরে আসেন। এখানেই তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে।

#সাহিত্যকর্ম ও সাহিত্য ভাবনা: তাঁর লেখালেখির হাতে খড়ি হয় আট বছর বয়সে।  রবীন্দ্রনাথ ওরিএন্টাল সেমিনারিতে পড়বার সময় তাঁর ভাগ্নে জ্যোতিপ্রকাশ তাঁকে কবিতা লেখা শেখান।এটা স্কুলে রটে যায় ।মাস্টারমশাই তাঁর লেখা কবিতা দু'লাইন লিখে ছোটো রবিকে বলেন এই কবিতার অন্ত্যমিল যুক্ত পাদপূরণ করতে ।উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম লেখা কবিতা বলে মনে করা হয়।

"আন্দিবোসের কাটুম
           বা
রবিকরে জ্বালাতন আছিল
                                   সবাই ,
বরষা ভরসা দিল আর ভয়
                                       নাই ।" (এটুকু মাস্টার মশাইয়ের)
"মীনগণ হীন হয়ে  ছিল
                                সরোবরে ,
এখন তাঁহারা সুখে জলক্রীড়া
                                 করে ।।" -এই কবিতার মাধ্যমে।
তারপর, ১৮৭৪ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। কবিতাটির নাম ছিল ‘অভিলাষ’। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা।

১৪ বছর বয়সে ‘অমৃতবাজার’ নামে দ্বিভাষিক পত্রিকায় (১৮৭৫) ‘হিন্দুমেলার উপহার’ নামে কবিতা প্রকাশিত হয়। প্রথম স্বাক্ষর যুক্ত কবিতা।

১৮৮৭ সালে মাত্র ষোল বছর বয়সে "ভানুসিংহ" ছদ্মনামে প্রথম কবিতা প্রকাশিত।

#প্রভাব:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি।
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মধ্যযুগীয় বৈষ্ণব পদাবলি, উপনিষদ্‌, কবীরের দোঁহাবলি, লালনের বাউল গান ও রামপ্রসাদ সেনের শাক্ত পদাবলি সাহিত্যের প্রভাব লক্ষিত হয়।

#পত্রিকা সম্পাদনা:
সাধনা : ১২৯৮ – ১৩০২ বঙ্গাব্দ
ভারতী : ১৩০৫-১৩০৬ বঙ্গাব্দ
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা : ১৩১৮ - ১৩২১ বঙ্গাব্দ
ভাণ্ডার : ১৩১২ – ১৩১৪ বঙ্গাব্দ
বঙ্গদর্শন ( নবপর্যায় ) : ১৩০৮ – ১৩১২ বঙ্গাব্দ
বিশ্বভারতী কোয়ার্টারলি: ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল সংখ্যাটি। (বৈশাখ, ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) ।

   হিতবাদী, বিচিত্রা প্রভৃতি।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তিনি ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ এর সাথেও যুক্ত ছিলেন।

#রবীন্দ্রনাথ_ঠাকুর_যখন_অভিনেতা:
গীতিনাট্য রচনার পর রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন। শেকসপিয়রীয় পঞ্চাঙ্ক রীতিতে রচিত তাঁর রাজা ও রাণী(১৮৮৯ ও বিসর্জন (১৮৯০) বহুবার সাধারণ রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয় এবং তিনি নিজে এই নাটকগুলিতে অভিনয়ও করেন। ১৮৮৯ সালে রাজা ও রাণী নাটকে বিক্রমদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ। বিসর্জন নাটকটি দুটি ভিন্ন সময়ে মঞ্চায়িত করেছিলেন তিনি। ১৮৯০ সালের মঞ্চায়নের সময় যুবক রবীন্দ্রনাথ বৃদ্ধ রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালের মঞ্চায়নের সময় বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ যুবক জয়সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কাব্যনাট্য পর্বে রবীন্দ্রনাথের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২) ও মালিনী (১৮৯৬)।

১৯১১ সালে শারদোৎসব নাটকে সন্ন্যাসী এবং রাজানাটকে রাজা ও ঠাকুরদাদার যুগ্ম ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৪ সালে অচলায়তন নাটকে অদীনপুণ্যের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৫ সালে ফাল্গুনী নাটকে অন্ধ বাউলের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৭ সালে ডাকঘর নাটকে ঠাকুরদা, প্রহরী ও বাউলের ভূমিকায় অভিনয়। নাট্যরচনার পাশাপাশি এই পর্বে ছাত্রছাত্রীদের অভিনয়ের প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথ পুরোন নাটকগুলি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ করে নতুন নামে প্রকাশ করেন। শারদোৎসব নাটকটি হয় ঋণশোধ (১৯২১), রাজা হয় অরূপরতন (১৯২০), অচলায়তন হয় গুরু (১৯১৮), গোড়ায় গলদ হয় শেষরক্ষা (১৯২৮), রাজা ও রাণী হয় তপতী (১৯২৯) এবং প্রায়শ্চিত্ত হয় পরিত্রাণ (১৯২৯)।

#নাটক ও উৎসর্গিত ব্যক্তিবর্গ:

রুদ্রচন্ড - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
কালের যাত্রা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
তাসের দেশ - সুভাষ চন্দ্র বসু
বিসর্জন - সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর
চিত্রাঙ্গদা - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজা ও রানী - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফাল্গুনী - দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
বসন্ত - নজরুল ইসলাম
গোড়ায় গলদ - প্রিয়নাথ সেন
অচলায়তন - যদুনাথ সরকার
প্রকৃতির প্রতিশোধ - কাদম্বরী দেবী

 #উপন্যাস ও উৎসর্গিত ব্যক্তিবর্গ:

বউ ঠাকুরানীর হাট - সৌদামিনি দেবী
গোরা - রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে - প্রমথ নাথ চৌধুরী
দুই বোন - রাজশেখর বসু

# গদ্য প্রবন্ধ ও উৎসর্গিত ব্যক্তিবর্গ:

য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরী - লোকেন্দ্রনাথ পালিত
ভানুসিংহের পত্রাবলী - রানু
জাপানযাত্রী - রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়
রাশিয়ার চিঠি - সুরেন্দ্রনাথ কর
ছন্দ - দিলীপকুমার রায়
সাহিত্যের পথে - অমিয়চন্দ্র চক্রবর্তী
বিশ্বপরিচয় - সত্যেন্দ্রনাথ বসু
বাংলা ভাষা পরিচয় - সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
পঞ্চভূত-জগদীন্দ্র নাথ রায় বাহাদুর।
জাপানে পারস্যে- রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়
পথে ও পথের প্রান্তে- রাণী মহলানবীশ।


 #কাব্যগ্রন্থ ও উৎসর্গিত ব্যক্তিবর্গ:

ভগ্নহৃদয় - কাদম্বরী দেবী
প্রভাতসঙ্গীত - ইন্দিরা দেবী
শৈশবসঙ্গীত - কাদম্বরী দেবী
ছবি ও গান - কাদম্বরী দেবী
ভানুসিংহের পদাবলী - কাদম্বরী দেবী
কড়ি ও কোমল - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সোনার তরী - দেবেন্দ্রনাথ সেন
নদী - বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর
চৈতালী - পরান বল্লভ ( জীবন দেবতা)
কণিকা - প্রমথনাথ চৌধুরী
কথা - জগদীশ চন্দ্র বসু
কাহিনী - রাধাকিশোর দেবমানিক্য
কল্পনা - শ্রীশ চন্দ্ৰ মজুমদার
নৈবেদ্য - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্মরণ - মৃণালিনী দেবী
উৎসর্গ - সি. এফ. আনড্রুজ
খেয়া - জগদীশ চন্দ্র বসু
বলাকা - উইলি পিয়ারসন
পূরবী -  ভিক্টরিয়া ওকাম্পো
বনবানী - জগদীশ চন্দ্র বসু
পরিশেষ - অতুলপ্রসাদ সেন
পুনশ্চ - নিতীন্দ্রমোহন ঠাকুর
পত্রপুট - নন্দিতা এবং কৃষ্ণ কৃপালিনী
শ্যামলী - রানী মহলানবীশ
খাপছাড়া - রাজশেখর বসু
ছড়ার ছবি - প্রমিত দেবী
সেঁজুতি -নীলরতন সরকার
আকাশপ্রদীপ - সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
নবজাতক - অমিয় চক্রবর্তী
আরোগ্য - সুরেন্দ্রনাথ কর।

   #ছোটগল্প:
ঘাটের কথা, দিদি, ব্যবধান, কাবুলিওয়ালা, দান প্রতিদান, হালদার গোষ্ঠী, একরাত্রি, সমাপ্তি, মাল্যদান, রবিবার, শেষকথা, ইত্যাদি ।

   #প্রবন্ধ :
 প্রাচীন সাহিত্য, লোক সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, কালান্তর, সমাজ, স্বদেশ, মানুষের ধর্ম, শিক্ষার বিকিরণ ইত্যাদি । রবীন্দ্রনাথের রচনা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে ।


    রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তামূলক প্রবন্ধগুলি সমাজ(১৯০৮) সংকলনে সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে লেখা রাজনীতি-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলি সংকলিত হয়েছে কালান্তর (১৯৩৭) সংকলনে। রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা ও আধ্যাত্মিক অভিভাষণগুলি সংকলিত হয়েছে ধর্ম (১৯০৯) ও শান্তিনিকেতন (১৯০৯-১৬) অভিভাষণমালায়। রবীন্দ্রনাথের ইতিহাস-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলি স্থান পেয়েছে ভারতবর্ষ (১৯০৬), ইতিহাস (১৯৫৫) ইত্যাদি গ্রন্থে।সাহিত্য (১৯০৭), সাহিত্যের পথে (১৯৩৬) ও সাহিত্যের স্বরূপ (১৯৪৩) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যতত্ত্ব আলোচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্য ও আধুনিক সাহিত্যের সমালোচনা করেছেন যথাক্রমে প্রাচীন সাহিত্য (১৯০৭) ও আধুনিক সাহিত্য (১৯০৭) গ্রন্থদুটিতে। লোকসাহিত্য (১৯০৭) প্রবন্ধমালায় তিনি আলোচনা করেছেন বাংলা লোকসাহিত্যের প্রকৃতি। ভাষাতত্ত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ রয়েছে শব্দতত্ত্ব (১৯০৯), বাংলা ভাষা পরিচয় (১৯৩৮) ইত্যাদি গ্রন্থে। ছন্দ ও সংগীত নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন যথাক্রমে ছন্দ (১৯৩৬) ও সংগীতচিন্তা (১৯৬৬) গ্রন্থে। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষা-সংক্রান্ত ভাবনাচিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা(১৯০৮) প্রবন্ধমালায়। ন্যাশনালিজম (ইংরেজি: Nationalism, ১৯১৭) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষণ করে তার বিরোধিতা করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েতিনি দর্শন বিষয়ে যে বিখ্যাত বক্তৃতাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি রিলিজিয়ন অফ ম্যান (ইংরেজি: Religion of Man, ১৯৩০; বাংলা অনুবাদ মানুষের ধর্ম, ১৯৩৩) নামে সংকলিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা জন্মদিনের অভিভাষণ সভ্যতার সংকট (১৯৪১) তাঁর সর্বশেষ প্রবন্ধগ্রন্থ। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বপরিচয় (১৯৩৭) নামে একটি তথ্যমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। জীবনস্মৃতি (১৯১২), ছেলেবেলা (১৯৪০) ও আত্মপরিচয় (১৯৪৩) তাঁর আত্মকথামূলক গ্রন্থ।
চোখের বালি উপন্যাসে দেখানো হয়েছে সমসাময়িককালে বিধবাদের জীবনের নানা সমস্যা। নৌকাডুবি উপন্যাসটি আবার লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে। গোরা রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের হিন্দু ও ব্রাহ্মসমাজের সংঘাত ও ভারতের তদানীন্তন সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলি। ঘরে বাইরেউপন্যাসের বিষয়বস্তু ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নারী ও পুরুষের সম্পর্কের জটিলতা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা আরও সূক্ষ্মভাবে উঠে এসেছে তাঁর পরবর্তী যোগাযোগ উপন্যাসেও। চতুরঙ্গ উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের “ছোটগল্পধর্মী উপন্যাস”। স্ত্রীর অসুস্থতার সুযোগে স্বামীর অন্য স্ত্রীলোকের প্রতি আসক্তি – এই বিষয়টিকে উপজীব্য করে রবীন্দ্রনাথ দুই বোন ও মালঞ্চ উপন্যাসদুটি লেখেন। এর মধ্যে প্রথম উপন্যাসটি মিলনান্তক ও দ্বিতীয়টি বিয়োগান্তক। রবীন্দ্রনাথের শেষ উপন্যাস চার অধ্যায় সমসাময়িক বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি বিয়োগান্তক প্রেমের উপন্যাস।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাইরে ও ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখের বালি।
চলচ্চিত্রায়ণ হল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত তিন কন্যা ("মনিহারা", "পোস্টমাস্টার" ও "সমাপ্তি" অবলম্বনে) ও চারুলতা ("নষ্টনীড়" অবলম্বনে), তপন সিংহ পরিচালিত অতিথি, কাবুলিওয়ালা ও ক্ষুধিত পাষাণ, পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত স্ত্রীর পত্র ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অনুভব করা তথা জীবন ও জগতকে উপলব্ধি করার জন্য যে দূরত্ব অতিক্রম করা প্রয়োজন, তাঁর প্রিয়জনের মৃত্যু এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। যার বহিঃপ্রকাশ ‘কড়ি ও কোমল’ এ পাওয়া যায়-
“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।”
‘কড়ি ও কোমলে’ এ কবি আত্ম-প্রতিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। কিন্তু মানসীতে পেরেছেন। তাই কবি বলেছেন-
“মানসীতে যাকে খাড়া করেছি যে মানসেই আছে,
সে আর্টিস্টের হাতে রচিত ঈশ্বরের প্রথম অসম্পূর্ণ প্রতিমা।”
বর্তমান বাংলাদেশের পূর্ববঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে তাদের বিস্তৃত জমিদারী ছিল। এই জমিদারীর ভার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশে এসেছিলেন  এবং বাংলার গ্রাম-গঞ্জ, নদীপথ ঘুরে তিনি যে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন তা তাঁর রচিত পরবর্তী সাহিত্যকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। যার প্রমাণ ‘ভানু সিংহের পত্রাবলী’তে পাওয়া যায়- ‘আমি জীবনের কতকাল যে এই নদীর বাণী থেকেই বাণী পেয়েছি মনে হয় সে যেন আমি আমার আগামী জন্মেও ভুলব না।’
রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে গানের প্রসঙ্গ আসবেই, তাঁর কবিতা আসলে গানেরই অনুজ সহোদরা। বিভিন্ন সময়ে লেখা বিভিন্ন কবিতার সমন্বয়ে তাঁর কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

বলা চলে, তিনিই বাংলার ভাষায় প্রথম সার্থক ছোটগল্প লিখেছেন।

 তাঁর গদ্যে তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয় ঘটিয়েছেন। তিনি কেবল বিশ্বমানের ছোটগল্প লিখেছেন, তাই-ই নয়, বিশ্বকে ছোটগল্পের নতুন পথও দেখিয়েছেন, তাই এখানে উদ্ধৃতিযোগ্য-
‘নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ
অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়েও হইল না শেষ’।
শুধু কবিতা আর গানই নয় পাশাপাশি লিখেছেন একের পর এক কাব্যনাটক, হাস্যরসাত্মক রচনা। এগুলোর পাশাপাশি প্রকাশিত হতে থাকে তাঁর উপন্যাস।

রবীন্দ্রনাথ বিশ্বমানের একজন চিত্রশিল্পীও ছিলেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি দুই হাজারের বেশি ছবি এঁকেছেন।

#রাজনীতি ও সমাজকল্যাণ:
১৯ শতকের শেষ এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকে রবীন্দ্রনাথ সক্রিয়ভাবে রাজনীতি ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের কারণে তিনি বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা, সভা-সমাবেশে যোগদান করতেন। এ সময়ে তাঁর রচিত গান বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বিবেচিত-
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
এছাড়াও তিনি শিলাইদহে অবস্থানকালে কৃষক ও শ্রমজীবীদের জন্য কাজ করেছেন। ১৯১৭ সালে ভারতে ব্রিটিশ দমননীতির বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেন, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ‘নাইট’ উপাধি বর্জন করেন। তাছাড়াও হিন্দু-মুসলিম সংকট, ভারতীয় রাজনীতি ও সমাজনীতি, বিশ্ব পরিস্থিতি প্রভৃতি নিয়ে তিনি অসংখ্য লেখা লিখেন।

#সমাজগঠনমূলক প্রতিষ্ঠান: সাহিত্য রচনার পাশাপাশি তিনি সমাজ গঠনমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শান্তিনিকেতনে ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামে একটি আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন। পরবর্তীকালে এটিই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপলাভ করে।বাবার সেই কেনা জমিতে রবীন্দ্রনাথ একটা শিক্ষাকেন্দ্র তৈরী করতে চেয়েছিলেন | তাই প্রথমে তিনি সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন “পাঠ্য ভবন” নামে একটা স্কুল, যেটা বাকি সব স্কুলের থেকে বেশ আলাদা ছিলো | কারণ সেই স্কুল ছিলো সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নীচে একটা গাছের তলায় |১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীনিকেতন।এই সংস্থা গ্রামীণ সমাজের সার্বিক উন্নয়নের কাজে আত্মনিয়োগ করে। ১৯২৩ সালে শান্তিনিকেতনেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বভারতী বিদ্যালয়।

সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে তিনি আবার ১৯২৪ সালে আরেকটি শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেন যেটা ছিলো “শিক্ষা সত্র” | তিনি এই প্রতিষ্ঠান মাত্র ৭ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে শুরু করেছিলেন |

#রবি_ঠাকুরের_বিশ্বভ্রমণ:

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ সহ তাঁর চার সঙ্গীকে নিয়ে  দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে গেছিলেন ১৯২৭ সালে | তারপর তিনি একে একে ভ্রমণ করেন সুইজারল্যান্ড,  সোভিয়েত রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরাক, ইরান,পারস্য,চিন, জাপান,ইউরোপের বিভিন্ন দেশ | ১৯৩৪ সালে শ্রীলঙ্কা যাত্রাই ছিলো কবিগুরুর শেষ বিদেশ যাত্রা।

#পুরষ্কার ও সম্মাননা: তিনি তাঁর বহুকৌণিক কাজের পাশাপাশি অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার আর সম্মান-সম্মাননা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ১৯১৩ সালে ডি. লিট উপাধি দেয়। ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে।কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯১৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন কবিকে।

 ১৯১৩ সালে তিনি এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে শান্তিনিকেতনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে "ডক্টরেট অব লিটারেচার" ডিগ্রি দেয় ১৯৪০ সালে। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধি প্রদান করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

৭ই মে ১৯৬১ সালে, ভারতীয় ডাকবিভাগ সম্মান জ্ঞাপনের উদেশ্যে; তাঁর ছবি দেওয়া একটা ডাক টিকিট প্রকাশ করে।
জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বহির্বিশ্বের প্রথম দেশ ব্রাজিল তাঁকে নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।

@১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের কারণে তিনি সক্রিয় অংশ নেন । এই পরি প্রেক্ষিতে তিনি ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি রচনা করেন ।

@ সারা দেশ জুড়ে হিন্দু-মুসলিম সকল ধর্মের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে রবীন্দ্রনাথ "রাখিবন্ধন" উৎসব  পালন করেন ।

@দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তিনি রচনা করেন।

#প্রথম প্রকাশিত:

তের বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম- কবি কাহিনী।(১৮৭৮)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- বনফুল।(১৮৮০)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম  -বাল্মীকি প্রতিভা।(১৮৮১)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম রচিত নাটকের নাম-রুদ্রচন্ড(১৮৮১)।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত  উপন্যাসের নাম -বৌ ঠাকুরাণীর হাট।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত ছোট গল্পের নাম- ভিখারিনী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত গদ্যগ্রন্থ-   ইউরোপ প্রবাসীর পত্র(১৮৮২)।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ - বিবিধপ্রসঙ্গ(১৮৮৩)।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস - চোখের বালি।

#উপন্যাস থেকে নাটক :
           উপন্যাস ➡️ নাটক 
১. “বউঠাকুরাণীর হাট” - “প্রায়শ্চিত্ত”(১৯০৯)

২. “রাজর্ষি”  - “বিসর্জন”(১৮৯০)

৩. “প্রজাপতির নিবন্ধ” - “চিরকুমার সভা”(১৯২৬)
 
৪. “মুকুট” (ক্ষুদ্র উপন্যাস) - “মুকুট”(১৯০৮)
         
#গল্প থেকে নাটক :
        গল্প ➡️ নাটক
৫. “কর্মফল” - “শোধবোধ”(১৯১৬)

৬. “শেষরাত্রি” - “গৃহপ্রবেশ”(১৯২৫)

৭. “একটি আষাঢ়ে গল্প” - "তাসের দেশ" (১৯৩৩)
                     
#নাটক থেকে  অভিনয়োপযোগি নাট্যরূপ :
        নাটক -- অভিনয়োপযোগি নাট্যরূপ

৮. “রাজা” - “অরূপরতন”(১৯২০)

৯. “অচলায়তন” - “গুরু”(১৯১৮)

১০. “গোড়ায়গলদ” - “শেষরক্ষা”

১১. “শারদোৎসব” - “ঋণশোধ”

১২. “নলিনী” (গদ্যনাটিকা) - “মায়ার খেলা”(১৮৮৮)


১৩. “রাজা ও রাণী” - “তপতী”(১৯২৯)

১৪. “প্রায়শ্চিত্ত”-“পরিত্রান”(১৯২৯)

১৫. “পথ” -“মুক্তধারা”(১৯২৫)

১৬. “যক্ষপুরী” - “রক্তকরবী”(১৯২৬)

১৭. “চিত্রাঙ্গদা” - “নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা”(১৯৩৬)

#কবিতা থেকে নাটক :
       কবিতা ➡️ নাটক
১৮. “পূজারিণী” - “নটীর পূজা”

@শান্তিনিকেতন থেকে ২৪ মার্চ, ২০০৪ সালে "নোবেল " চুরি হয়ে যায়।

#উপসংহার:
 রবীন্দ্রনাথ তাঁর দীর্ঘ আঁশি বছরের জীবনে যেমন সাহিত্য রচনা করেছেন তেমনি মর্যাদা এবং সাফল্যও পেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যিকার অর্থেই প্রতিভাবান। তিনি তার জীবনের শেষ সময়ে এসেও কবিতা লেখা ছাড়েননি।

  তাঁর সাথে পৃথিবী বিখ্যাত জার্মান বৈজ্ঞানিক আলবার্ট আইনস্টাইনের গভীর সম্পর্ক ছিল।


#মৃত্যু: ১৯৪১ সালের ৭ আগষ্ট (১৩৪৮, ২২ শ্রাবণ) মারা যান।

প্রশ্নঃ- কোন বাঙালি প্রথম গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(এ জন্য তিনি পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমেরিকার আরবানায় িইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান কৃষি ও পশুপালন বিদ্যায় প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে)

প্রশ্নঃ- ’বঙ্গভঙ্গ বিক্ষোভ’ প্রামান্য চিত্রের পরিচালক কে?
উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রশ্নঃ- ১৮৯২সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা থেকে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ আসেন এবং একটি কাব্য রচনা করেন তার নাম কি?
উত্তরঃ- সোনার তরী

প্রশ্নঃ- লালনের গান কে সর্বপ্রথম সংগ্রহ করেন ?
উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২৯৮টি)



প্রশ্নঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের আঁকা ছবিগুলোকে কী বলেছেন?
উত্তরঃ- শেষ বয়সের প্রিয়া ।

প্রশ্নঃ- আর্জেটিনার কোন মহিলা কবিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিজয়া নাম দেন ?
উত্তরঃ- ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো (তাঁকে উৎসর্গ করেন পূরবী কাব্য)

প্রশ্নঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কতটি নাটকে অভিনয় করেন ?
উত্তরঃ-১৩টি।

প্রশ্নঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের বংশের নাম কি ছিল ?
উত্তরঃ- পিরালি ব্রাহ্মণ

প্রশ্নঃ- পারিবারিক উপাধী ?
উত্তরঃ- কুশারী

প্রশ্নঃ- ১৯০৫সালের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধাচারণ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গান?
উত্তরঃ-‘বাংলার মাটি বাংলার জল।’

প্রশ্নঃ- আমার সোনার বাংলা — রচনা করেন?
উত্তরঃ-গগণ হরকরার সুরের অনুকরণে।

প্রশ্নঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধ্বনিবিজ্ঞানের উপর লেখা গ্রন্থের নাম?
উত্তরঃ- ‘শব্দতত্ত্ব

@কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী ১৯০২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।


♣প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের শ্বশুর বাড়ি কোথায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশের খুলনায়।

@ রবীন্দ্রনাথ কত সালে ব্রাহ্ম সমাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৮৮৪ সালে।

♥প্রশ্নঃ কবি কত সাল ‘শান্তিনিকেতন'-এ পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন?
উত্তরঃ ১৯০১ সালে।

♠প্রশ্নঃ কত সালে কবি শান্তিনিকেতনে ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামে একটি আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন?
উত্তরঃ ১৯০১ সালে।

♠প্রশ্নঃ কত সালে ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়?
উত্তরঃ ১৯২১ সালে।

♠প্রশ্নঃ ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য কত সালে প্রকাশিত হয়?উত্তরঃ ১৯১০ সালে।

♠প্রশ্নঃ গীতাঞ্জলির অনুবাদ 'ঝড়হম ড়ভভবৎরহমং' নামে কত সালে প্রকাশিতহয়।
উত্তরঃ ১৯১২ সালের নভেম্বরে, ইংল্যান্ডে।

♦প্রশ্নঃ 'Song offerings'-এর ভূমিকা লেখেন কে?উত্তরঃ ইংরেজ কবি W.B. Yeats.

♥প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিভান্ডারেরসংখ্যা কত?
উত্তরঃ কাব্যগ্রন্থ ৫৬টি, গীতিপুস্তক ৪টি, ছোটগল্প ১১৯টি, উপন্যাস ১২টি, ভ্রমণ কাহিনী ৯টি, নাটক ২৯টি, কাব্যনাট্য ১৯টি, চিঠিপত্রের বই১৩টি, গানের সংখ্যা ২২৩২টি এবং অঙ্কিত চিত্রাবলী প্রায় দু’হাজার।

♣প্রশ্নঃ ‘ছিন্নপত্র’ কাকে লেখা চিঠির সমাহার?
উত্তরঃ ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে লেখা। ছিন্নপত্র প্রকাশ: ১৯১২।

♣প্রশ্নঃ ইন্দিরা দেবীর সঙ্গে কার বিবাহ হয়?
উত্তরঃ প্রমথ চৌধুরীর। পরে তিনি ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণী হন।

♥প্রশ্নঃ ‘শেষলেখা’ কী?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর প্রকাশিত তাঁর শেষ কাব্যগ্রন্থ (১৯৪১)।

♠প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের গদ্যকবিতা রচনা কোন্ গ্রন্থ দিয়ে শুরু?
উত্তরঃ 'পুনশ্চ' (১৯৩২)।

♠প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের কোন্ গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত?
উত্তরঃ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি-গানের প্রথম ১০ পঙক্তি।

♠প্রশ্নঃ এই গানটি রবীন্দ্রনাথের কোন্ গ্রন্থভুক্ত?
উত্তরঃ 'গীতবিতান'-এর 'স্বরবিতান' অন্তর্ভুক্ত।

♦প্রশ্নঃ এই গানটি রবীন্দ্রনাথের কোন্ পর্যায়ের গান?উত্তরঃ স্বদেশ পর্যায়ের।

♦প্রশ্নঃ এই গানের সুরকার কে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং। (এই গানে বাউল গগন হরকরার সুরের প্রভাবপড়েছিল।)

♦প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এই সঙ্গীতের কত পঙক্তিবাদ্যযন্ত্রে বাজান হয়?
উত্তরঃ ৪ পঙক্তি।

♦প্রশ্নঃ এই সঙ্গীত প্রথম কোথায়, কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় ১৩১২/১৯০৫ সালে।

@প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে কত সালে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ আসেন?
উত্তরঃ ১৮৯২ সালে।

♠প্রশ্নঃ কোন কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় আসেন?
উত্তরঃ ১৮৯৮ সালে প্রথমবার, ১৯২৬ সালে দ্বিতীয়বার।

♠প্রশ্নঃ কত তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রথম বক্তৃতা দেন, কোথায়?
উত্তরঃ ১৯২৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, কার্জন হলে।

♠প্রশ্নঃ এই বক্তৃতার শিরোনাম কী ছিল?
উত্তরঃ 'The Meaning of Art'.

♠প্রশ্নঃ কত তারিখে তিনি দ্বিতীয় বক্তৃতা দান করেন?
উত্তরঃ ১৯২৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি।

♦প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বক্তৃতার শিরোনাম কী ছিল?
উত্তরঃ 'The Rule of the Giant'.

♦প্রশ্নঃ এই বক্তৃতা কোন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ প্রথম বক্তৃতার মত দ্বিতীয় বক্তৃতাও হয় কার্জন হলে।

@প্রশ্নঃ কত তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিম হলের (বর্তমানে সলিমুল্লাহ হল) ছাত্রদের সংবর্ধনায় যোগ দেন?
উত্তরঃ ১৯২৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।

@ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্রদের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ কোন গীতিকবিতা রচনা করেন?
উত্তরঃ 'বাসন্তিকা' নামের গীতিকবিতা।

@লালন ফকিরের ২৯৮ টি গান সর্বপ্রথম রবীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেন।

@ রবীন্দ্রনাথের চৈনিক নাম ছিল- চু চেন তান। এটি তাঁকে ক্রিসেন্ট মুন সোসাইটি দিয়েছিল।

@ রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চলচ্চিত্র করেছে- চিন।

@ বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথের ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ১৯৯১,৭ আগষ্ট ডাক টিকিট প্রকাশ করেন।

@ রবীন্দ্রনাথের নটীর পূজা নাটকটি বুদ্ধ ধর্মের কাহিনি নিয়ে লেখা।

@"সে" রবীন্দ্রনাথের একটি গল্পগ্রন্থ।

@ অশ্লীলতার কারণে রবি ঠাকুরের "বিচারক" নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ হয়।

#তথ্য_সংগ্রহ:
১) সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান- প্রথম খণ্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত

২) রবিজীবনী, প্রথম খণ্ড- প্রশান্তকুমার পাল

 ৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনস্মৃতি - বিশ্বভারতী

৪)বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস, চতুর্থ খণ্ড

 ৫) রবীন্দ্রকল্পনায় বিজ্ঞানের অধিকার-ড. ক্ষুদিরাম

৬) আধুনিকতা ও রবীন্দ্রনাথ - আবু সয়ীদ

৭) ইন্টারনেটের বিভিন্ন পেজ

[3/11, 11:18 AM] You Suf: [3/11, 11:20 AM] You Suf: [3/11, 11:31 AM] You Suf: