Skip to main content

©বঙ্কিমচন্দ্র ফেল করেছিলেন বাংলায়©


©বঙ্কিমচন্দ্র ফেল করেছিলেন বাংলায়©
®বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ফেল®

বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে প্রথম গ্র‍্যাজুয়েট। কিন্তু হলে হবে কী, বি.এ. পরীক্ষায় আসলে তিনি ফেল করেছিলেন। তাকে গ্রেস দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। কল্পনা করুন তো, তিনি কোন পেপারে ফেল করেছিলেন? কোন পেপারে তাকে গ্রেস দিয়েছিল?
তিনি ফেল করেছিলেন বাংলায়। যে বঙ্কিমচন্দ্রের বাংলা পড়তে গিয়ে আমরা উঠতে-বসতে ফেল করি তিনি সেই বাংলাতেই ফেল! ভাবা যায়? সেই পরীক্ষায় তার একজামিনারের নাম শুনলে হয়তো আরো অবাক হবেন- একজামিনার ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। হয়তো এই আহত মর্যাদার জন্যে বঙ্কিমচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে অবচেতন মনে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারেননি। বিদ্যাসাগর বিধবা আন্দোলন শুরু করলে তিনি তার বিরুদ্ধতা করেছিলেন। বিধবা বিয়ের বিষময় ফল কী হতে পারে তা দেখানোর জন্যে 'কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাস লিখেছিলেন।
আসল কথায় আসি সেবার বি.এ. পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনজন, তিনজনই ফেল করেছিলেন। বঙ্কিম হয়েছিলেন ফেলের মধ্যে ফার্স্ট। এভাবেই বাঙালির ইতিহাসে তিনি প্রথম গ্রাজুয়েট হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন। এখন প্রশ্ন- কেন বঙ্কিমের মতো এমন প্রতিভাবান একজন মানুষ এমন সহজ একটি বিষয়ে ফেল করেছিলেন? এর উত্তর কঠিন নয়। বাংলা তখনও ছিল সংস্কৃত-ঘেঁষা। সংস্কৃত ব্যাকরণের অনেক কঠিন জিনিস ছিল বাংলার অন্তর্ভুক্ত। সেগুলো চোখ বন্ধ করে মুখস্থ না করে উপায় ছিলো না। বঙ্কিম এবং তাঁর ব্যাচের অন্যেরা হয়তো সেগুলো ঠিকমতো মুখস্থ করতে পারেননি। বাংলার সেই প্রশ্নটা বেরিয়েছিল কলকাতার সাপ্তাহিক 'দেশ' পত্রিকায়। এই গল্পটা যার বইয়ে পড়া সেই আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারও আদা-জল খেয়ে চেষ্টা করেছিলেন প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে। কিন্তু কিছুতেই একশোর মধ্যে ১৬ নম্বরের বেশি উত্তর দিতে পারেননি।

সংগৃহীত

https://m.timesofindia.com/india/Grace-marks-helped-Bankim-Chandra-pass-exam/articleshow/1967678.cms

Comments

Popular posts from this blog

লীলা মজুমদারের সম্পূর্ণ তথ্য

 লীলা মজুমদার - ইউসুফ   মোল্লা #আজ_সকাল_সকাল_চলে_এসেছি #লীলা_মজুমদার_নিয়ে  (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭)         আমাদের দেশে ‘শতায়ু হও’ বলে আশীর্বাদ করা হয়ে থাকে। বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার। তবে শত বর্ষের কাছাকাছি আয়ুতে পৌঁছালে অনেক ক্ষেত্রেই সুখের চেয়ে দুঃখ বেদনাই বেশী থাকে। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী প্রায় পুরো সময়টাকেই লেখা পড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার শেষের প্রায় এক দশক বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু লীলা মজুমদার নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে। বিশেষতঃ শিশু সাহিত্যে লীলা মজুমদার একটি অপ্রতিদ্বন্দী নাম। এখানে লীলা মজুমদারের পূর্ণাঙ্গ জীবন , তাঁর সাহিত্য কর্মগুলির আলোচনার সাথে সাথে তাঁর রচনা বৈশিষ্ট্য ও বর্তমান প্রজন্মে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।  ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ...

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য

আ শাপূর্ণা দেবী - ইউসুফ মোল্লা   #কথা_মতো_ভোর_ভোর_চলে_এসেছি #আশাপূর্ণা_দেবীকে_নিয়ে #জন্ম : ৮ ই জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর কলকাতায় মাতুলালয়ে। #পিতা : হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। #মাতা : সরলাসুন্দরী দেবী। #আদি_নিবাস : হুগলি জেলার বেগমপুর। #জীবনসঙ্গী : কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস সেনগুপ্তের সঙ্গে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৫ বছর ৮ মাস বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। #মৃত্যু : ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫।         ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।        বড়োদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী”। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়।       আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।    ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন - “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।     বড়োদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশি...

🌸দশম শ্রেণীর উৎস সন্ধানে🌸

🕸দশম শ্রেণীর সাহিত্য সঞ্চয়ন,সাহিত্য সম্ভার ও কোনির সকল গ্রন্থের উৎস🕸 **সাহিত্য সঞ্চয়ন (দশম শ্রেণি)** ১)"শাবলতলার মাঠ" লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় । উৎস: বিভূতি রচনাবলী অষ্টম খন্ড । ২)"তিন পাহাড়ের কোলে" কবি: শক্তি চট্টোপাধ্যায় । উৎস: "অগ্রন্থিত পদ্য" (বাজার চলতি বই-এ লেখা "হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান") ৩)"জ্ঞানচক্ষু" লেখিকা : আশাপূর্ণা দেবী । উৎস : কুমকুম গল্প সংকলন। ৪)"বুধুয়ার পাখি" কবি : আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত । উৎস : যৌবন বাউল । ৫)"অসুখী একজন" কবি :পাবলো নেরুদা । উৎস :বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে ।(পাবলো নেরুদার "Extravagaria" কাব্যের “La Desdichada”কবিতাটি নবারুণ ভট্টাচার্য "অসুখী একজন" নামে অনুবাদ করেন এবং অনূদিত " বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে" গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত হয়)। তরজমা : নবারুণ ভট্টাচার্য । ৬)"আমাকে দেখুন" লেখক :শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় । উৎস :'শ্রেষ্ঠ গল্পসংকলন'। পরে "শীর্ষেন্দুর সেরা ১০১" অন্তর্ভুক্ত হয়। ৭)"আয়...