🌻পাঠাভ্যাস অধিবেশন-পত্রিকা🌻

_________________________________________________

🌹সম্পাদকের নিবেদন🌹

আজ এক বিশেষ উদ্দেশ্যে নিয়ে এই ডিজিটাল পত্রিকা অর্থাৎ web magazine বের করতে চলেছি। উদ্দেশ্যটা তেমন কিছু নয়, উদ্যোগটাই প্রধান। আজ ২১ জুন, ২০১৯,ঠিক এর এক বছর আগে ২১ জুন, ২০১৮ এই এইরকম এক বেকারত্বের সংকটময় পরিস্থিতিতে  যখন আমরা সবাই দিশেহারা, তখন কিছু একান্ত বন্ধুদের অনুরোধে এই "পাঠাভ্যাস অধিবেশন- বাংলা বিভাগ" গ্রুপটি খোলা হয়। দেখতে দেখতে এক আনন্দঘন মূহুর্তের মধ্য দিয়ে একটা বছর সকল অ্যাডমিন, মডারেটর, মেম্বারদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় পার করে দিলাম। আশা করছি আপনারা এইভাবে আমাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আরো অনেকটা পথ স্বর্গীয় সুখে পার করে দিতে পারবো।  একটা গ্রুপ মানে একটা সংসার, তাই সেখানে মান-অভিমান থাকবে, তাই বলে আমরা কেউ একে অপরকে ভুলে যাবো না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরকে সাহায্যের মাধ্যমে নিজেদের সাফল্য অর্জন করার চেষ্টা করবো। আজ গ্রুপের মেম্বার সংখ্যা প্রায় ৫০০০ জন। অতএব একে অপরের সহযোগিতায় সাফল্য আসবে, মানে সাফল্য আসতে বাধ্য।

   সকল অ্যাডমিন, মডারেটরদের অনুরোধে এই সম্পাদকীয় ভার গ্রহণ করতে হয়েছে। যদিও আমি চেয়েছিলাম, অন্য কেউ এই দায়িত্বটা নিক। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসাই বাধ্য করেছে এই দায়িত্ব পালনে। জানি না কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারছি বা ভবিষ্যতে পারবো, কিন্তু সবসময় চেষ্টা করি পর হিতার্থে জীবন যেন উৎসর্গিত করতে পারি। বর্তমান উত্তর আধুনিকতার যুগে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় আমাদের, এছাড়া গ্রুপের সদস্যদের বাড়ি বিভিন্ন জনের বিভিন্ন জেলাতে। এছাড়া আমাদের গ্রুপে বাংলাদেশের কিছু মেম্বার আছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই এই গ্রুপ ফলো করার জন্য তাদের প্রতি গ্রুপের পক্ষ থেকে রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তাই এই পত্রিকা সবার দোরগোড়ায় খুব সহজেই পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ। যদিও জানি পুস্তক আকারে বের করা হলে খুব ভালো হতো। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি আমার একটা লিটিল ম্যাগাজিন আছে, যার নাম "স্বপ্ন সন্ধানী", এই পত্রিকার নামও " স্বপ্ন সন্ধানী" রাখা হয়েছে। প্রতি বছর এই উদ্যোগ নেওয়া হবে যদি আপনাদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাই।

    সাহিত্যের এই পরিমন্ডলে যেসব লেখক- লেখিকা ভাবনার বিনিময়ের এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি রইল গ্রুপের এবং আমার তরফ হতে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনারা পরবর্তীতে এইভাবে পাশে থাকবেন। পত্রিকা কেমন হলো, লেখকদের লেখা কেমন লাগলো তা পাঠকরাই বিচার করবেন। যদি পাঠক সমাজে সমাদৃত হয়, তাহলে আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক। আশা রাখছি তা পাঠক সমাজে সমাদৃত হবে, কারণ লেখাগুলো গুণগত মানে অনেক উন্নত। তাই আমার প্রত্যয় পাঠককূল মনোযোগ সহকারে প্রত্যেকটি লেখা পড়বেন।

   অন্তিম লগ্নে এসে জানাতে চাই, যাদের ভরসা না পেলে আমার এতো বড়ো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হতো না, সেই সকল অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গ যেন সারাজীবন পাই এইভাবে। তাদের মধ্যে কিছু জনের নাম না বললে থাকতে পারছি না- পম্পা মন্ডল, সম্রাট মন্ডল, শ্রী অআ কখ, দীনবন্ধু বর্মন, তাবারক হোসেন, নীল আকাশে নীলাঞ্জনা, রবিউল সেখ, সাদিয়া নাসরিন, মুকুল রায়, তপতী দাস, কুসুম মন্ডল, দেবযানী ধাড়া, কৃষ্ণা মাঝি, ইন্দ্রজিৎ দুয়ারী, কেকা দাস, সুজাতা প্রামাণিক, পায়েল দেবনাথ, মিঠুন দাস, পিকু টিকু, কাবেরী কুন্ডু, অজানা পথ, পূজা সুন্দর, আশরাফুল হক, অপর্ণা সিংহ, পিঙ্কি দেবনাথ, ইন্দ্রজিৎ দাস ছোটন, সুদীপ মন্ডল, মিঠু মাল, কপিল বৈদ্য, গৌরাঙ্গ পাইন,দেবিকা দাস, মৌসুমী দত্ত, মৌ কর্মকার, মনিষা খাতুন, সুবর্ণা সিংহ সাহা, আরো অনেকেই।

   বিশিষ্ট লেখকদের মধ্যে যাঁরা আছেন, তাদের সম্পর্কে একটু জানানো প্রয়োজন। আমার অনুরোধে, আমাদের ভালোবেসে, গ্রুপের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে, যাঁনারা লেখা দিয়ে সাহায্য করেছেন- তৈমুর খান (দেশ, কৃত্তিবাস, কলম, আনন্দবাজার প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত লিখে চলেছেন। নতুন গতি পুরস্কার থেকে শুরু করে আরো অনেক বিখ্যাত পুরস্কারে  সম্মানিত কবি), মিঠু নস্কর(বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবি), আসাদ বিন হাফিজ (বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি), বিপাশা জানা (বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষিকা), এছাড়া আমাদের গ্রুপের অনেক অ্যাডমিন, মডারেটর ও মেম্বারগণ।

   ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। অপেক্ষায় থাকবো আপনাদের মতামতের। শুভ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস।

                                 ধন্যবাদান্তে
                               ইউসুফ মোল্লা
                              ২১/০৬/২০১৯
কলকাতা
মোঃ 8436871092/7908778177

_________________________________________________


তৈমুর খানের দুটি কবিতা

🌈ইচ্ছেগাছ🌈
_________
ইচ্ছেগাছ বেড়ে উঠছে
অলীক কুসুম সব ফুটছে ডালে ডালে
আর পাতাগুলি ধ্বনি
বাতাসে কানাকানি
বলে যাচ্ছে আপন কাহিনি ।
দু একটি প্রেমের পাখি
করে ডাকাডাকি
কাকে ডাকে ?
উদাসীন চেয়ে দেখি !
পৃথিবীতে রাত আসে
অনেক গভীর রাত —
কারা চেয়ে থাকে জানালার পাশে ?
ইচ্ছেগাছ স্তব্ধ হয়
কে যেন বাজায় বাঁশি জলের ভাষায় !







🌊জলের মতন সহজ🌊
_________________
পাখিটি জলের কাছে আসে
হরিণটিও
নদীটি সমুদ্রের কাছে যায়
নৌকাটিও

আমি তোমার কাছে আসি
আমার কাছে তুমিও
প্রতিটি দিন রাত্রির কাছে যায়
দিনের কাছে রাত্রিও

প্রতিটি মৃত্যুর কাছে জন্ম আসে
জন্মের কাছে মৃত্যুও
ভালোবাসা আসে যায়
পাশাপাশি ঘৃণাও

প্রশ্ন কঠিন হোক যতও
জলের মতন সহজ উত্তরও ।

_________________________________________________


🐚ছড়ড়া-১৭৯৬🐚
আসাদ বিন হাফিজ(বাংলাদেশ)

আম গাছে আম ধরে জাম গাছে জাম
মন্দ লোকে করে শুধু অপরের বদনাম।
ডালিম গাছে ডালিম হয় কুল গাছে কুল
দুষ্ট লোকে শেষ বয়সে ছিঁড়ে মাথার চুল।

তাল গাছে তাল হয় কলা গাছে কলা
এই দুনিয়ায় বড় হয় দুষ্ট লোকের গলা।
ধানের গাছে ধান হয় পানের গাছে পান
এ পৃথিবীর সকল কিছু আল্লাতালার দান।

আম গাছে আম ধরে জাম গাছে জাম
আল্লাহ সহায় হলে মিটে নিজের মনস্কাম।
১৮/৬/১৯।


_________________________________________________


🦞#ফুটপাত ও কলম🦞
#মিঠু নস্কর।

আমি অত্যন্ত রেগে আছি,,,আমি বিরক্ত আপনার কলমের উপর,,,একটাও কবিতা লিখবেন না আমাদের নিয়ে,,,নাহ্ একটাও শব্দ খরচ নয়,,,আমি ফুটপাতের পাশে পড়ে আছি,,কুন্ডলী পাকিয়ে,,সেই গত আদমসুমারী থেকে,চোখের কোলে কালি,,,পায়ে ঘা,রক্ত পুঁজ,,দু চারটাকা ছুঁড়ে দিচ্ছি কোনও মহিয়সী,,আমার গায়ে দুর্গন্ধ,,সমাজ তাকিয়ে,,রাষ্ট্র তাকিয়ে,,দেশের রাজা তাকিয়ে,,কারও কিচ্ছু করার নেই যে!আপনি দয়া করে এক লাইনও লিখবেন না আমাকে নিয়ে।

আমি রংমেখে ফুপাতের পাশে দাঁড়াই,,খদ্দেরদের সামলাতে সামলাতে যখন ভোর হয়,,মুখের উপর প্রথম সূর্যের আলো পড়ে আমি তাকিয়ে দেখি আমার বাবা বমি করে পড়ে আছে বিছানায়,,ওষুধ নেই,পথ্য নেই,,,,দয়া করে এই বারবনীতাকে নিয়ে ন্যাকামী করে কবিতা লিখবেন না,,,,আমাদের কবিতা আমরাই লিখি রোজ,,শরীরের পরতে পরতে।

আমি এগারোয় পা দিয়েছি,,ফুটপাতেই দিন কাটে,,হোটের এঁটো বাসন মেজে,,,পরিত্যক্ত খাবার খেয়ে,,,অ আ বর্নেরা গলা টিপে খুন করে আমায়,,দিনের শেষে মাতাল বাবা মদের নেশায় মায়ের বুকে বিড়ির ছ্যাঁকা মারে,,,
আমায় নিয়ে কবিতা লিখবেন না।সাফ জানিয়ে দিলাম,,আমাদের নিয়ে আর পরিহাস করবেন না।আমরা সমাজের পরিত্যক্ত মানুষ,,,,আমাদের নিয়ে কলম চালাবেন না।স্রেফ তর্কে মাতুন,,স্রেফ ফুটপাতের দিকে তাকিয়ে থুথু ফেলুন।কিন্তু দয়াকরে কবিতা লিখবেন না।

_________________________________________________

🦜ঋণী🦜
___বিপাশা জানা

কিছু কিছু মানুষের কাছে
ঋণী হয়ে থাকতে মন চায়
মনে হয় এই ঋণ তো
মিটিয়ে ফেলায় যায়
তবু কেন না জানি--
ঋণী হয়ে থাকতে মন চায়--
      ঋণ--দেওয়া-নেওয়া খেলা
বাস্তবে খুব সুখকর নয়।
জানি--তবু কিছু কিছু ঋণে
নতুন সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।
এই যে মায়ের অসহ্য যন্ত্রণা ঋণ
অপত‍্য সম্পর্কের বীজ বোনে,
প্রকৃতির জল,হাওয়া, আলো,মাটি
জীবন-সম্পর্ক গড়ে প্রতি ক্ষণে,
এই ঋণ কি শোধ করা যায়?
কিছু কিছু মানুষের কাছে
ঋণী হয়ে থাকতে মন চায়---
ঋণদাতা র গগনচুম্বী হৃদয়
তার কাছে এসব তুচ্ছ-নগণ্য
এমন বিরাট কিছুই নয়
ঋণী যে কেবল জানে সে
ঋণী থাকার এই আনন্দটাই
দ্বিগুণ হয়,যদি এ হৃদয়
প্রতি পল তার সঙ্গ পাই
তার কাছে এটা দয়া-মায়া
কিংবা সহানুভূতি,
আমার কাছে দেহ,মন,প্রাণে
শিহরণ জাগানো অনুভূতি।
জানি তার অবহেলা কিংবা নীরব সায়
---কিছু কিছু মানুষের কাছে
ঋণী হয়ে থাকতে মন চায়---

_________________________________________________


🥀।। ব্যর্থ প্রেম।।🥀
     সম্রাট মণ্ডল
    এম.এ,বি এড (বাংলা)

তুমি চলে গেলে?...আসবে না আর?...
কেনো ছেড়ে গেলে?
কেনো?...কেনো?...কেনো?..
ছেড়ে যাবে তো দেখা দিয়েছিলে কেনো?
কেনো চলেছিলে একই পথে?
একই সাথে হাত ধরাধরি করে?
জানো তোমাকে নিয়ে দেখেছিলাম,
কত সব রঙিন স্বপ্ন!
কোনোটা দুঃখের, কোনোটা বা সুখের -
কোনোটা বা তার চেয়েও আলাদা!
লিখেছিলাম নানান মধুর কবিতা,
তার মধ্যে ছিল তোমার আমার
প্রানবন্ত স্পর্শ!
কিন্তু তা আজ আর নেই,
উড়ে গেছে কালবৈশাখীর ঝড়ে-
নয়তো বা ভেসে গেছে
বর্ষার জলে!
শুধু স্বপ্নই দেখিয়ে গেলে,
বাস্তবায়িত করলে না!
জানি, স্বপ্ন তো স্বপ্নই হয়।
জীবনে না হোক, স্বপ্নেই থাকতে
ধানের শীষের এক ফোঁটা -
শিশির বিন্দু হয়ে;
তাও থাকলে না...
ঝরে গেলে...!!

_________________________________________________


🍁আমার ভালো থাকা🍁
____কুসুম মন্ডল

যদি কেও বলে কেমন আছি আমি...??
হয়তো বলবো.. ভালো আছি...

কিন্তু সত্যিই কি ভালো আছি...????
আগের মতো হাসতে পারি না..
তাহলে কি বলব, ভালো আছি....!!
কপালে সর্বদা চিন্তার ভাঁজ...
 তাহলে কি বলব, ভালো আছি....!!
বিষন্ন মন খুঁজে চলে কারো পায়ের শব্দ...
শুধুই কি অকারন ??
সবই কি মূল্যহীন...??

একা তো আছি... তবু লুকোতে চাই নিজেকে গভীর অন্তরালে...
তাহলে কি বলব, ভালো আছি আমি....!!
সত্যিই কি সব ঠিক হবে কোনোদিন.???
আজ যে সময় পেরিয়ে যায়...
পাবো কি কোনোদিন তাদের ছুঁয়ে দেখতে...??

কোনো দিন কি সে ফিরে আসবে...??
হাতের মুঠো শক্ত করে ধরে বলবে...
" এখনো আছি আমি.... তোমারই পাশে ।"
এবার কি তবে বলবো আমি... ??
সত্যই আমি ..... ভালো আছি....!!
_________________________________________________

🌷আশা🌷
__তপতী দাস

হৃদয় হয়ে গেছে মরুভূমি
তবু আশা ছাড়িনি যে আমি
সেই বটগাছ না বলা সেই প্রেম
প্রতিটি আছে স্মৃতির গহনে
মরুভূমিতে উটপাখির মতো মাথা লুকোতে চাই না
বাঁচতে চাই বাঁচার মতন
এ পৃথিবীর সব আশা নিয়ে ।

_________________________________________________

🌹#ভালোবাসার গল্প🌹
____শ্রী অআ কখ


অমল ও সবিতার প্রেম টা টিকে যেত,,
অমল চাকরি টা পেলেই
সবিতা কে বিয়ে করত।
অমল চাকরি টি পায় নি
তাই সবিতাকে বিয়ে করল বিমল।

বিমল চাকরি পাবার আগে ও পরে কোনো দিনও ববিতা কে
নিজের মনের কথাটা বলতে পারেনি
তাই বোধ হয় আজ সবিতার হাসবেন্ড

তার মানে এই নয় অমল ও ববিতার প্রেম বা বিয়ে হবে ।
আর বিমল সবিতারও দুঃখী সংসার করতে হবে
এমন দিব্যিও কেউ দেয় নি।

রতন চাকরি পেয়েছে কিন্তু সমস্যা টা হচ্ছে সুজাতা ঠিক আগের মতোন দেখতে নেই কিংবা রতন হয়তো আরো ভালো ডিজার্ভ করে
তাই বোধ হয় চাকরি তে সমস্যা মেটে নি।

অনেক নারী দেহের গন্ধ শুকে ক্লান্ত চাকুরিজীবী কমল
এখন শুধুমাত্র জবা র দেহের গন্ধে আজীবন কাটাবে বলে
স্হির সিদ্ধান্ত করেছে। ফলে জবা তার পুতুল খেলার স্বপ্নে দেখা ভালোবাসার রাজপুত্তুর টিকে পেয়েছে।

একটা বেকার ছেলে একটা বেকার মেয়ে
আর বসে না পার্ক বাগান গাছের নীচে রেস্টুরেন্ট এ
হয়তো একটা মেয়ে একটা ছেলে নাকি 144 ধারা
কিছু একটা সমস্যা হয়েছে...

সবক্ষেত্রেই ভালোবাসার মৃত্যু ঘটানো হয়েছে।

_________________________________________________

🌾"সবাই কেন সমান নয়"🌾
          তাবারোক হোসেন

পায়ের নিচে মাটি সবার, মাথার উপর আকাশ।
তবে কেন হয়না সবার, এক অন্ন বস্ত্র আবাস।।
কেউ চেয়ারে বসে খায়রে সুখে সন্দেশ পরোটা।
কেউ কেন খায় লবন ভাত আর আলু ভর্তা।।
এক আকাশের তলে মোদের সবার বসবাস।
দুঃখ শোকে কাটছে কারো দেখছি বারোমাস।।
উৎসবেতে কেউ বা পরে নতুন জামা জুতো।
কারো গায়ে নেইকো জামা শীতে পরার মতো।।
এই ধরনীর মাটির- পরে সবাই করি বাস।
কেউবা হাসে কেউবা কাঁদে ভাগ্যের পরিহাস।।
কেউবা থাকে অট্টলিকায় শুয়ে খাটের-পরে।
কেউবা থাকে অতিকষ্টে ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে।।
মানব কুলে জন্ম সবার, সবাই মানুষ মোরা।
সবাই কেন নয়কো সমান, ব্যাবধানে মোড়া।।

_________________________________________________


🐦* শেষ রক্ষা *🐦
__কুসুম মন্ডল

কেটে যায় দিন, বয়ে যায় সময়
তবুও থাকে অধরা স্বপ্নরা,
দিনে দিনে পলে পলে জমে ওঠে
   শুধু বাতিল আর খরচের হিসাবেরা ।
পাওয়ার তালিকায় থাকে শুধু
 গুটিকয়েক অপমান আর ভাঙ্গা হৃদয়,
না পাওয়ার হিসেব কষতে গিয়ে
দেখি জমে উঠেছে বিস্তর বিষয় ।

কখনো ডুকরে কেঁদে ওঠে মন
  কখনো আশায় বাঁধে বুক,
কখনো ছাড়িয়ে যায় সহ্যের সীমা
আবার কখনো বসে থাকে নিশ্চুপ ।
শরতের স্নিগ্ধ আকাশে যেমন
  ধূসর মেঘরাশি করে আসা-যাওয়া,
জীবন সাগরে সুখ-দুখের ঢেউ
    করে তেমনি ওঠা-নামা ।

তমসাময় রজনীতে আকাশের বুকে
যেমন উজ্জ্বল এক তারা দেয় পাড়ি,
তেমনি দুর্যোগময় জীবন সাগরের তীরেও
পথ ভুলে আসে কোনো কান্ডারী ।
ভাবতে বসি উঠব কিনা তার ছোটো নৌকায়
  চকিতে এক ঝড় এসে করে খন্ড খন্ড তারে,
চিৎকার করে উঠি,
   আর্তনাদে গলা যায় ফেটে
কী বীভৎস! কী বীভৎস!
কী ভয়ানক সে দৃশ্য ।
করি হায় হায় শেষ আশাও বুঝি যায়....
তবুও হয়না শেষরক্ষা,
     বসে থাকি নিরালায় ।


_________________________________________________

🐧চিরদিনের সাথী🐧
___মিঠুন দাস

চিরদিনের সাথী তুমি
           হে চির মহান
পৃথিবীর মানবজাতি
          তোমারই অবদান,
সকল প্রানের সাথী তুমি
           তুমি অন্তর্যামী
সবচেয়ে শান্তির কাজ
         তোমারই গোলামী।
সুখ-দুঃখের খেলা হাসি কান্নার সুর
         আমার জীবনযাত্রা বহুদুর
কত প্রিয়জন কত আপনজন হারিয়েছি তবে
        তাদের সাথে তোমার কোলে দেখা নাহি হবে,
তাদের মত আমিও একদিন ছাড়বো তোমার কোল
      বিদায়কালে পড়বে তখন কান্নার রোল,
তোমার কথা তোমার মায়া পারিনা ভুলিতে
       যেদিন হবো আমি শ্মশানবাসী পারবো না তোমায় দেখিতে
 কাঁদে সদা মন প্রান তোমায় শুধু দেখিতে।।

_________________________________________________

🕸অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কের সেতু🕸
শ্যামল চন্দ্র ভাওয়াল।

সেতু,তুমি কি ভুলে গেছে সচেতন ভাবে,অবচেতন মনে?
আমি পারিনি আজও, সম্পর্কের রেস রয়ে গেছে অন্তরে!
জৈবিক আবহে নয় শাশ্বত নিয়মে!
সেতু,ঐ সময় যে টেথিস সাগর ছিল, তুমি পাখনা ঝাপটিয়ে ছিলে জল বলাকা হয়ে,আমিও ছিলাম কোন জলাঙ্গীর বুকে, তোমার ই প্রতীক্ষায়।
এসেও ছিলে,মিলনের প্রয়াসে প্রয়াণের আগে।
গতির আবর্তে হারিয়ে গেছেে সাগর হারিয়ে গেছো তুমি,
অপূর্ণ ইচ্ছেরা রায়ে গেছে আজও।
নিবিড় নিঃশব্দে হয়তো, তোমার আমার হৃদয়ে।
ভেবো না বালখিল্য প্রলাপ বা ভাবনা,
- তা ই সত্যি, তাই সত্য, বেদ তা বলে, সম্পর্ক জনম জনম রয়ে যায় উত্থান পতনের খাঁজে খাঁজে।
ভাবতে পারো, তবে এই জনমে গাঙ্গেয় উপত্যকায় কেনো দেখা হলো ব্রম্মযোগীর আশ্রমে?
নিমিত্ত অবশ্যই, হয়তো, পাইনি খুঁজে মহাত্ম।
আচরিক দ্বন্দ্বে সশব্দে কাঁন্নায় ভেঙে পড়ে ছিলে;
ভবিষ্যৎ বিচ্ছেদে,আমি বলে ছিলাম, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাই
সাড়া দিয়ে ছিল,আবার, পঞ্জিকাতে বিচার বিশ্লেষণ করে, দেখেছিও তাই।
সেতু, সেই কান্নার শব্দ আজও শোনি, রাত্রি আঁধারে,
কান পেতে,পাই।
আমি দূর্সাহসী, তোমায় নিয়ে যেতে চেয়েছি মহী সোপানে, সোমরস পানে।
গভীরতা শোনে ভয় পেয়ে ছিলে, আমি বলে ছিলাম ;
এটা আমাদের সম্পর্কের মতো অত গভীর নয়!
কেমন রহস্যময় ব্যাপার? আজ তুমি সুমেরুতে, আর আমি কুমেরুতে প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপছি থরথর করে।
তবে কি, স্মৃতি শাস্ত্র, আর শ্রুতি শাস্ত্র, সব এক হয়ে গেল?
সম্পর্কে চ্ছেদে।নাহ্, এটা আমাদেরই কর্ম ফল সম্পর্ক বিনির্মাণে,দৈবিক কোন ফল নয়।
সেতু, হলো না হয়তো সম্পর্কের সেতু বন্ধন।
অন্ত বিহীন পথ চলাই জীবন। কিন্তু, তাই বলে কি সব শেষ, হবে হয়তো, চৌরাশি লক্ষ যৌনি পরিভ্রমন কালে, কোন এক সময়ে, তোমার- আমার
অপূর্ণ আকঙ্খার পরি সমাপ্তির লক্ষ্যে।
জানো, অর্জুন আর কর্ণের কুরুক্ষেত্রেের রণাঙ্গনে কিসের পরি সমাপ্তি হলো?
সৃষ্টি প্রাক্-কালে রজোগুন ধারী ব্রম্মা, আর তমো গুনধারী দেবাদিদেব মহাদেব।
শ্রেষ্ঠত্ব লাড়াইয়ে বিষ্ণুর হস্তক্ষেপে মেনে নেয় ; কিন্তু ক্লেদবিন্ন্দু পতিত হয় বিষ্ণু চরণে, তাঁর ই সমাধান হয়
কুরুক্ষেত্রের ময়দানে।
বৈদিক মতে সম্পর্ক এমনই যুগে যুগে প্রবাহমান,
অবশেষে,-
 বললে তা ই??
হুম, জানো আজ যা তুলসীপাতা পূজার পবিত্র অর্ঘ এবং শঙ্খ ধ্বনি ও। কোন এক জন্মের পাপাচারের ফল;
- হলে কি হবে? আজ আছে পাশাপাশি পূজার উপচারে,আসলে বিচ্ছেদের চিৎকার শঙ্খের কন্ঠে আজও শোনি,আজও পূজার সময়ে।


_________________________________________________

🦋শেষ গোলাপ🦋
            জয়শ্রী মুখার্জি


দীর্ঘদিন পর আজ প্রণবেশের সাথে দেখা হবে।
প্রণবের বায়না ওর জন্য সাতটা টুকটুকে লাল গোলাপ নিয়ে যেতে হবে।
কলেজে পড়ার সময় যখনই আমরা আলাদা ভাবে দেখা করতাম তখনই প্রণব আমার জন্য একটা করে লাল গোলাম নিয়ে আসতো ।
আজ নাকি ওর জন্য আমাকে গুনে গুনে সাতটা গোলাপ নিয়ে যেতে হবে।
বাসের জানালায় কাছে বসে ভেনিটি ব্যাগ থেকে সেই ডাইরি টা বার করে ফিরে গেলাম সেই আমার কলেজ লাইফে ।
একটার পর একটা পাতা উল্টোতে উল্টোতে রয়েছে একটা করে লাল গোলাপ।
কলেজের শেষেপ্রণবের সাথে
আমার শেষ দেখা হয়েছিল
আমার বিয়ের কার্ড দিতে গেছিলাম তখন।
প্রণব সেদিন বলেছিল ভালো থাকিস ।
কখনো যদি আমাকে মিস করিস তবে লাল গোলাপ দেখিস।
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে হালকা ঘুমে চোখটা লেগেগেল বুঝতে পারিনি।
 হঠাৎ দেখি প্রণব আমাকে বলছে তুই এসেছিস ঋতু?।
আমার জন্য গোলাপ এনেছিস? লাল গোলাপ?
স্বপ্নের মধ্যেই হাসতে শুরু করলাম আমি প্রণবের এই পাগলামো দেখে।
প্রণব বলছে ওই যে দেখছিস
একটা টেবিলে আমার ছবি ফুলের মালা দেওয়া!
তুই তোর হাতের লাল গোলাপ দিয়ে আমার ছবি সাজিয়েদে ঋতু।
হঠাৎই চমকে উঠলাম !
এ কী দেখলাম আমি?
কিছুক্ষণের মধ্যে দুর্গাপুর পৌঁছোলাম।
প্রণবের বাড়ি ঢুকতেই প্রণবের মেয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো ।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম ।
তার পর প্রণবের স্ত্রী পিয়া আমাকে বললো
দুদিন আগে প্রণব কার এক্সিডেন্টে মারাগেছে ।
আমি আমার হাতে সাতটা লাল গোলাপের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার চোখের জলে লাল গোলাপের উপর যেন শিশির বিন্দু জমেছে ।
 আসতে আসতে সেই টেবিলের কাছে গেলাম
দেখলাম প্রণব আমার দিকে তাকিয়ে বেদনামিশ্রিত হাসছে।
আর বলছে কি রে আমার গোলাপ গুলো আমার হাতে দিতে পারলি না ত?
আমি প্রণবের ছবিতে সাতটা লাল গোলাপ দিয়ে বেরিয়ে এলাম চোখের জল মুছতে মুছতে।
আবারও বাসে উঠে জানালার পাশে বসে সেই কলেজ ডাইরিটা বার করলাম
দেখলাম একটা পাতা সাদা রয়েগেছে ...।
একটা কলম বার করে
লিখলাম ' প্রণব সাতটা গোলাপ ত নিলি আর একটা গোলাপ ত রয়েই গেল এই পৃথিবীতে ।
তোর কলেজ জীবনের ঋতু নামক গোলাপটি'।


_________________________________________________

🌴মন্থন///🌴
___পুরঞ্জয় তন্তুবায়

তোমাকেই স্পর্শ করে
             মায়াবুকে আঁছড়ে পড়া।
কিনারায় আগল তুলে
             পায়ে পায়ে তরঙ্গরা।

আদরের একমুঠো দাগ
             তুলে আনি বিষম শীতে।
আঘাতই তোমার সোহাগ
              হেরে গেছি পদ্ধতিতে।

হেরে গেছি নিয়ম মেনে
             ছুঁতে চেয়ে আবছা শোকে।
শিশিরের গন্ডী টেনে
              ভুলে গেছি দূরত্বকে।

সে বুঝি মেঘমন্থন
            সাক্ষীর দু'চার কণা!
এভাবেই ডাকলো যখন
             কে বলে তা শুনব না?

শুনেছি,একরোখা রাত
            কাঁপনের কান্না আরও।
প্রেম ছিল পাশেই নেহাত
              রাত তার চেয়েও গাঢ়।

রীতিনীতি যায় ভেসে যায়।
               মুখ ফুটে তাই বলিনি।
তুমি যেন বন্দীদশায়
               বাঁধভাঙা স্রোতস্বিনী।

_________________________________________________

🌳"মরীচিকা-জীবন"🌳
               - উজ্জ্বল কুমার নন্দী।


মাথার ভিতর খুঁড়ে খাচ্ছে দুশ্চিন্তা
           পেটের মধ্যে অস্বস্তির নিঃশ্বাস!
মন বিকারগ্ৰস্ত না পাওয়ার দ্বন্দ্বে -
           তবু কোথাও ক্ষুদ্র আশার ভ্রূকুটি!
তাই রাতের পর রাত জেগে অর্চনা -
            একটু একটু করে আয়ু উদ্বায়ী!
নিকটতম হচ্ছে মরীচিকার হাতছানি!
            অমোঘ মায়ার টানে চলেছি -
তারপর কাছে গিয়ে কেটে গেছে ভ্রম!
            শুষ্ক কন্ঠ, ওষ্ঠাগত প্রাণ এক!
এরপর সেই চেনা বাড়ির পথে চলা -
           আবার মরীচিকার হাতে পড়া।
আবার সেই সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
            ভ্রম কখনোই ঘুচতে চায় না।
আসলে জীবনটাই হল এক মরীচিকা!

_________________________________________________


🎄খুঁজেছি তোমায়: কল্পপ্রেমী;দেহস্থ অঙ্গনে🎄
____অপর্ণা সিংহ
****************************
কল্পনায় ভর করে চলেছি সন্তর্পণে
একটু একটু করে কল্পনার জালে
জড়িয়েছি নিজেকে।
মিথ্যার আশ্রয় কিংবা প্রশ্রয় হয়তো বা ছিল তাতে ,_
কিন্তু তবুও কল্পনায় _
কল্পনায় তাকে খুঁজেছি পথে,
আমি,খুঁজেছি অসীম আকাশে;
আর দূর দিগন্তের পারে।
খুঁজেছি আমি ঝর্ণার জলে,
বসন্তের হিন্দোলে;
আকাশে পাখির কল্লোলে , বাতাসের হিল্লোলে ।
শুকনো পাতার মর্মরে আর মানবের কোলাহলে।
খুঁজেছি কল্পনায় ভর করে সাতরঙা রামধনু রঙ জলে; কিংবা দীঘির শতদলে!
খুঁজেছি নরম আবির তুলতুলে সোনালী প্রাতে।
মিঠে রোদ্ দুরে কিংবা কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে,
স্বপ্নের জাল বুনে দেহস্থ অঙ্গনে;
মায়াময় কল্পনা:ঘিরেছে আমায় অমোঘ চিত্রাঙ্কণে ।
সবই কল্পনায় , কল্পনা... তোমার মধ্যেই আমি আছি; তোমার মধ্যেই বেঁচে থাকবো।
তাই তো তোমার ওপর ভর করে
হাতড়ে বেড়াই,খুঁজে বেড়াই
কল্পপ্রেমীকে।
কল্পনা,তোমার কল্পপ্রেমী কী শুধুই রূপকল্প?
বাস্তবতা,সত্যতা , মানবিকতা কি তার মধ্যে একদিন ও খুঁজে পাবো না?

_________________________________________________


নীল আকাশ যখন শরৎ বয়ে আনে..... তাই এ মরশুমের শেষ বর্ষাসম্ভব,বন্ধুদের জন্য....

🍄বর্ষাসম্ভব ৯🍄
___পুরঞ্জয় তন্তুবায়

ঝমঝম!আর পাতার গায়ে লাগল আগুন।
নদীর গায়ে শব্দমিছিল।বুক কাঁপানো।
চাতকচিত্ত।ভরাডুবি।পা টলমল।
তোমার ফেরার চিঠির কথা,তুমিই জানো।

ডেকেছিলাম যে ছন্দতে,কোনোওমতে,
ভুল ছিল কি?পংক্তি কিছু স্পর্ধাপোষা?
তখন যে কার ডানার পালক দিগন্ততে?
পুড়তে পুড়তে, শোক ছড়ানো।আর ভরসা

খোঁজে তোমায়।কয়েকফোঁটায়।কল্পকথায়।পা পুড়িয়ে।
জানলাতে চোখ।শ্রবণকোরক তোমায় স্পষ্ট শুনতে পেল তাও...

"হাওয়ার দাবী শেষ হয়েছে?" বলছ বুঝি ছন্দ দিয়ে?
তোমার গড়া নাব্যজলে
আমার পদ্য শুধুই বলে - "ভাসিয়ে দাও"
                                      দিলাম ভাসিয়ে।

আজ জানিনা,যাচ্ছো তুমি যে পথ দিয়ে, নামটা কী তার।
কয়েকফোঁটাই রাখবে বুঝি পাখির ঠোঁটে?চিহ্নস্বরূপ?
যাবার সময় নেই দোটানা।তবুও আমার
অসীম আকাশ টানছে বেড়া।আর তুমি চুপ।

চুপ থাকারই কথা।এ যে বিষম তো নয়।
নদীর পথেই তোমার রাস্তা।তোমার বাড়ি।
ভুলগুলো সব শুধরে দিও।আর অপচয়?
তোমার পথের শব্দে আমি গড়তে পারি।

যেতেই হবে।আমিও জানি।ডেকেছিলাম।
তোমার স্রোতে ভাসতে গেলে কিই বা ক্ষতি?
মনেই রেখো।ফিরতে হবে।সেই একই নাম।
ভাসার গায়ে ছন্দ দিলাম - এই প্রণতি।।

_________________________________________________


🍃*ঘুম ভাঙা ভোরের সিঁড়ি*🍃
দেবযানী ধাড়া
-----------------------------------
হাড় কাঁপানো শীতের উত্তরে হাওয়া
আর আমার ঘুম ভাঙা ভোরের সিঁড়ি ---
নিঃস্তব্ধ পদধ্বনির দীর্ঘ পথ যাত্রা।

ক্লান্ত অবসন্ন মনে,বাড়ি ফেরার দিনে
কাঠফাটা রোদের চোরাবালি তুই।
আর আমার বাঁচতে চাওয়ার প্রবল ইচ্ছা।

ফাল্গুনের দিনে দক্ষিণমুখো
গোল পৈঠেয় বসে আমার লেখা একগুচ্ছ কবিতা।
আর তুই--
আমার আঁকা জলছবির ক'টা পাতা।

ব্যস্ত জনজীবনে শহর কোলকাতার ঘেরাটোপ।
ভবিষ্যতে উষ্ণায়নের ফলশ্রুতি হিসেবে
কোলকাতার পরিণতির মতো
আজ আমার মনেও বিশ্বউষ্ণায়নের ছোঁওয়া।।


চেঙ্গাইল,হাওড়া

_________________________________________________


🎋আমি নওজওয়ান🎋

আমি নওজোয়ান
কর্মের টানে উদগ্রীব আমি
চঞ্চল আমার প্রাণ
জানি না আমি মানতে বাঁধা,
মানিতে ফরমান, ভেঙে আমি গুঁড়োতে পারি,
দুর্ভেদ্য আলিশান,
আমার মনের এই শক্তি,
আল্লাহ তায়ালার দান।
এই দানেরে জানিয়ে বন্ধু
মুক্ত অফুরান।
পাহাড় সম অটল আমি হইয়া কুরবান,
রুধিতে আমি অগ্র গামী
জুলুম নির্যাতন।
মানবতার শিক্ষা দিয়ে থেকে ঠেকাব ধর্ষণ।
শান্তি আমি আনিব ধরায়
করেছি কঠিন পন।।
                     ইতি
         হাসিবা খাতুন

_________________________________________________



🌺পরিযায়ী///🌺
__পুরঞ্জয় তন্তুবায়

আঁকার খাতায় রঙ লাগে না,লেখার খাতার দাগে
পংক্তিগুলো পিদিম নিয়ে রাত পোড়াতে জাগে।

কান পেতেছি,হয় নি শোনা,শব্দ গেল ভেসে
অন্ধকারের গন্ধবোনা যায় নি অবশেষে।

যে ভরসায় পেতেছি হাত,যার ভরসায় বুক
অথৈ জলের দুষ্টু দোয়াত লুকোতে ইচ্ছুক।

ইচ্ছে মেনে আর ডাকি নি,ভেজাই নি আর দ্বারও
চাইবে ফিরে লজ্জা ফেলে,দুঃখ হলে গাঢ়।

ভুল বুঝিনি।সামলে গেছি।মেঘ মেখেছি তাই
ছায়ার বুকে আলোর দ্যুতি - আঘাতে রোশনাই।

চোখ পুড়ে যায়।গভীরতায় আর খুঁজিনি মন,
বললে না তো একটিবারও - থেমেছে স্পন্দন।

হারিয়ে যাওয়া বায়নাগুলো পুতুল সাজার ঝোঁকে
মাটির কাছে ঋণ মেনে নেয়,জানলো না তো লোকে !

দেওয়াল ছবি ভিজল সবই,আটকে বালির ঘরে
জানতে না কি একলা চিঠি - আজও হাওয়ায় ওড়ে?


_________________________________________________

🌸*ফিরব না আর মানব হয়ে*🌸
দেবযানী ধাড়া
--------------------------------
ফিরবো না আর পৃথিবীর 'পরে
মানব জনম ল'য়ে।
ফিরবো না মা গো তোর কোলে আর
নাড়ি ছেঁড়া ব্যথা দিয়ে।
আসবো না আমি তোমাদের মাঝে
বাঁধবো না প্রেম ডোরে।
ধীরে ধীরে আমি মিলিয়ে যাব
রাতের তারা হয়ে।।

চেঙ্গাইল,হাওড়া


_________________________________________________

কবিতা-
🌼ডাইরি🌼
         ✍মৃণাল মণ্ডল
আমি ডাইরি।
তোমার সুন্দর নরম হাতের স্পর্শ সব সময় চাইলেও আমি পাই না।
সুখের দিন গুলিতে আমি তোমার ছোঁয়া চাই।
তোমার সঙ্গে কাটাতে চাই কিছুটা সুন্দর মুহূর্ত।
তোমার হাসিতে কণ্ঠ মিলিয়ে আমার মলাট গুলোকে করতে চাই ঝলমলে।
 আমি তোমার দুঃখি ডাইরি।
আমাকে একটু সুখের স্পর্শ দাও।
তোমার দুঃখ স্মৃতি ধরে রাখতে রাখতে আমি ক্লান্ত।
সুখের দিনে কি একটুও মনে পরে না আমায়?
মন কি চায় না সুখের স্পর্শ তাকে একটু হলেও দেওয়া যায়।

আমি তোমার ডাইরি--
 আমি তোমার সুখে সুখি হতে চাই।
তোমার ব্যর্থ ভালোবাসার কথা মনে রেখে আমি ক্লান্ত।
তোমার অশ্রু ফোঁটা আজও আমার পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় ছাপ রেখেছে।
সুখানুভূতি দিয়ে সেই ছাপ গুলি তুমি তুলে ফেলো।
আমায় আনন্দ দাও, আনন্দ।
আমি ডায়েরি, তোমার দুঃখি ডাইরি।


_________________________________________________

🥀মহেন্দ্র সিং ধোনি 🥀
___হাসিবা খাতুন
     
ক্যাপ্টেন কুল তুমি মহেন্দ্র সিং ধোনি
আমরা সকলেই তোমার পরিচয় জানি।
প্রথম ক্যাপ্টেন- শিপ করো 2007- এ
ভারত T-20 world cup চ্যাম্পিয়ন হল তোমারই নেতৃত্বে।

DLF , IPL কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগ
এখানেও দেখালে তুমি তোমার নেতৃত্বের ম্যাজিক।
নিজের হাতে তৈরি করে হেলিক্যাপ্টার শট টা
জয় করে নিলে গোটা ভারতবাসীর মনটা।

2011 এসেছিল ICC world cup
করোনি তুমি কোনও দলকে মাফ।
ধন্য মহেন্দ্র সিং, তুমি ধন্য
তোমার মতো ক্যাপ্টেন জগতে নেয় অন্য।

বিশ্ব বিখ্যাত ক্যাপ্টেন তুমি ভারতের গর্ব
তোমায় নিয়ে শুরু হয়েছিল নেতৃত্বের এক নতুন পর্ব।।


_________________________________________________

🌷।। আমার উপমা তুমি।।🌷
  সম্রাট মণ্ডল
   এম.এ,বি এড (বাংলা)

শিল্পী আঁকার মোনালিসা তুমি,
পটে আঁকা ফোঁটা ফুল।
তুমি যে উঁচু পাহাড়ের চূড়া
তুমি যে নদীর কূল।।

তুমি যে আমার অদেখা স্বপ্ন,
তুমি যে বিশাল সিন্ধু।
ঘাসের বুকেতে লুকিয়ে থাকা
ভোরের শিশির বিন্দু।।

জীবনানন্দের বনলতা তুমি
পাখির মিষ্টি গানে,
নিঃস্ব হৃদয়ে তুমি যে আমার
ছড়িয়ে আছো প্রাণে।।

কার সাথে বলো তুলনা দিয়ে
অপরাধী হবো আমি।
বিশ্বমাঝে এটাই সত্য-
আমার উপমা তুমি।।
         ---------


_________________________________________________

🍁ছোট্ট একটি পাখি🍁
___পায়েল দেবনাথ

আজ সকালে ঘুম ভেঙেছে ছোট্ট পাখির ডাকে
ছোট্ট ডানা হলদে পাখি দেখিয়ে দিলাম তাকে
বিকেল হলো, আঁধার হলো ফিরলো সে তার ঘরে
সকাল হলে নেচে বেড়ায় গাছের ঝোপে-ঝাড়ে
হঠাৎ দেখি জানলা দিয়ে ডাকছে আপন সুরে
কখনো সে থাকে কাছে, কখনো অনেক দূরে।
পাখিটি আজ সবার প্রিয় তাইতো ভালোবাসি
পাখির কথা অনেক হলো এবার তবে আসি।।


_________________________________________________

🍂।। বিছানা ।।🍂
        ____ইউসুফ আমিন

হঠাৎ কখন বন্ধ হলো জানলা-দরজা
চিরকালের ফ্রেমে আঁটা বাক্যহীন মুখ
এঁকেছিলাম যাকে নিভৃত সংগোপনে
চেয়েছিলাম;বুঝি কাছে পাবো চেনা মুখ
কিন্তু, মিশে গেল সে রঙিন পাথরবাটিতে,
উড়তে না পারলেও চেষ্টা করছে সে ওড়ার,
আমি চলে গেলাম সেখানে,
যেখানে বৃদ্ধ আর শিশুরা একতালে গাইছে গান।
#
বাঁশের বিছানায় সে শুয়ে ছিলো
যেখানে মশার পাল উড়ন্ত আনন্দে গান গায়;
তার সে ঘুম আজও ভাঙে নি তো,
সময়ের ঘরে হাত রাখতে পারলো না সে।
#
আমি এখনও ঘুমিয়ে আছি বিছানাতে।।

             ____________


                    💐সমাপ্ত💐