Skip to main content
বিহঙ্গমের অপরিণত প্রেম
____ইউসুফ আমিন

আমি বিহঙ্গম, আমার চেপে রাখা প্রেমের কাহিনি আজ তোমাদের শোনাবো।
#
আমাদের প্রথম পরিচয় হয় সচেতনভাবে ফেসবুকে।
তখন আমি তোমাকে খেয়াল করতাম,
কখন তুমি ফেসবুকে অন হচ্ছো আর অফ হচ্ছে।
যখনি তোমার ছবি পোস্ট দেখতাম,
আমি লাভ রিয়াক্ট করতে ছাড়ি নি।
তুমি প্রতিবারই রিপ্লাই দিতে সো সুইট।
আমি খুব খুশি হয়েছিলাম তোমাকে নিজের করে পাবো বলে।
তারপর যখন তুমি ইনবক্সে আমাকে ম্যাসেজ দিলে--
তোমার WhatsApp নম্বরটা দেওয়া যাবে,
আমি অবাক হয়েছিলাম সেদিন, আজও।
এটা তো আমারি চাওয়ার কথা ছিল!
তাহলে, তুমিও কি আমার মতো আমাকে চাও?
সেদিন প্রথম মাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়েছিলাম।
মা সেদিন কী বুঝেছিল জানিনা।
হয়তো, ভেবেছিলেন বেড়াতে যাওয়ার কথায় এতো খুশি।
হ্যাঁ, সেদিনই আমরা কালকা মেল ধরে দার্জিলিং ঘুরতে গিয়েছিলাম।
তোমাকে তাই আর ফোন করা হয়নি। WhatsApp এ আমার প্রতিটা মুহুর্ত তোমাকে জানাচ্ছিলাম।
তুমি বললে, ওই ছবিতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে,
এটাতে তোমার দাঁড়ানোর style টা একদম হয়নি। এইভাবে দাঁড়াবে।
#
সেদিনই আমি ঠিক করেছিলাম,
তুমি আমার জন্য একদম পারফেক্ট।
#
এইভাবে আমাদের একটা মাস কেটে গেল।
#
হঠাৎ একদিন তুমি ফোন করে বললে,
খুব দরকার ভিক্টোরিয়ার সামনে আজ ১০ টায় দেখা করতে পারবে?
তোমার কথা আমি না করতে পারিনি।
আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে দিলে।
#
সেদিন ১৩ মার্চ ঠিক সকাল ১০ টায় আমি সেজেগুজে দাঁড়িয়ে আছি তোমার অপেক্ষায়।
এই প্রথম আমরা দেখা করবো,
তাই ভয় আর ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
#
১০টার সময় যখন তুমি এলে না,
আমি ফোন করলাম।
কিন্তু ফোন unreachable বললো!
#
সেদিন থেকে আজও ফোন করি তোমাকে,
কিন্তু ওই একই গলা শুনি এই নম্বরে এখন পৌঁছানো যাবে না।

(#এটা_কবিতা_কি_জানিনা_তবে_সত্যি_ঘটনা_অবলম্বনে_লেখা)

#বন্ধুরা_বিহঙ্গম_কি_আর_তাকে_খুঁজে_পাবে?
#তার_সাথে_কি_আবার_দেখা_দেখা_হবে_দু'জনের?
#কমেন্ট_করে_জানান।

Comments

Popular posts from this blog

লীলা মজুমদারের সম্পূর্ণ তথ্য

 লীলা মজুমদার - ইউসুফ   মোল্লা #আজ_সকাল_সকাল_চলে_এসেছি #লীলা_মজুমদার_নিয়ে  (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭)         আমাদের দেশে ‘শতায়ু হও’ বলে আশীর্বাদ করা হয়ে থাকে। বাঙ্গালী লেখক-লেখিকাদের মধ্যে মাত্র দুজন এই একশ বছরের আয়ু স্পর্শ করেছেন বা স্পর্শ করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা হলেন - নীরদ চন্দ্র চৌধুরী এবং লীলা মজুমদার। তবে শত বর্ষের কাছাকাছি আয়ুতে পৌঁছালে অনেক ক্ষেত্রেই সুখের চেয়ে দুঃখ বেদনাই বেশী থাকে। নীরদ চন্দ্র চৌধুরী প্রায় পুরো সময়টাকেই লেখা পড়ার কাজে লাগিয়েছিলেন। লীলা মজুমদার শেষের প্রায় এক দশক বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু লীলা মজুমদার নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে। বিশেষতঃ শিশু সাহিত্যে লীলা মজুমদার একটি অপ্রতিদ্বন্দী নাম। এখানে লীলা মজুমদারের পূর্ণাঙ্গ জীবন , তাঁর সাহিত্য কর্মগুলির আলোচনার সাথে সাথে তাঁর রচনা বৈশিষ্ট্য ও বর্তমান প্রজন্মে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।  ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ...

🌸দশম শ্রেণীর উৎস সন্ধানে🌸

🕸দশম শ্রেণীর সাহিত্য সঞ্চয়ন,সাহিত্য সম্ভার ও কোনির সকল গ্রন্থের উৎস🕸 **সাহিত্য সঞ্চয়ন (দশম শ্রেণি)** ১)"শাবলতলার মাঠ" লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় । উৎস: বিভূতি রচনাবলী অষ্টম খন্ড । ২)"তিন পাহাড়ের কোলে" কবি: শক্তি চট্টোপাধ্যায় । উৎস: "অগ্রন্থিত পদ্য" (বাজার চলতি বই-এ লেখা "হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান") ৩)"জ্ঞানচক্ষু" লেখিকা : আশাপূর্ণা দেবী । উৎস : কুমকুম গল্প সংকলন। ৪)"বুধুয়ার পাখি" কবি : আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত । উৎস : যৌবন বাউল । ৫)"অসুখী একজন" কবি :পাবলো নেরুদা । উৎস :বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে ।(পাবলো নেরুদার "Extravagaria" কাব্যের “La Desdichada”কবিতাটি নবারুণ ভট্টাচার্য "অসুখী একজন" নামে অনুবাদ করেন এবং অনূদিত " বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে" গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত হয়)। তরজমা : নবারুণ ভট্টাচার্য । ৬)"আমাকে দেখুন" লেখক :শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় । উৎস :'শ্রেষ্ঠ গল্পসংকলন'। পরে "শীর্ষেন্দুর সেরা ১০১" অন্তর্ভুক্ত হয়। ৭)"আয়...

আশাপূর্ণা দেবীর সম্পূর্ণ তথ্য

আ শাপূর্ণা দেবী - ইউসুফ মোল্লা   #কথা_মতো_ভোর_ভোর_চলে_এসেছি #আশাপূর্ণা_দেবীকে_নিয়ে #জন্ম : ৮ ই জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর কলকাতায় মাতুলালয়ে। #পিতা : হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত। #মাতা : সরলাসুন্দরী দেবী। #আদি_নিবাস : হুগলি জেলার বেগমপুর। #জীবনসঙ্গী : কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা কালিদাস সেনগুপ্তের সঙ্গে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৫ বছর ৮ মাস বয়সে আশাপূর্ণা দেবীর বিবাহ হয়। #মৃত্যু : ১৩ ই জুলাই ১৯৯৫।         ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা “বাইরের ডাক” প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।        বড়োদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প  “পত্নী ও প্রেয়সী”। এই ছোটগল্পটি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে শারদীয়া "আনন্দবাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়।       আশাপূর্ণা দেবীর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প "পাশাপাশি"।    ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন - “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা” ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।     বড়োদের জন্য লেখা প্রথম প্রকাশি...